ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর জীবনী
লিখেছেন লিখেছেন ছালসাবিল ২৯ মে, ২০১৫, ০৫:২৬:৩৬ বিকাল
ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নাম হল আন-নুমান ইবন ছাবিত আত-তায়মী আল-কুফী তিনি ইরাকের ফকীহ ছিলেন। ইসলামের ইমামদের অন্যতম জ্ঞানী ও নেতৃস্থানীয় আলিমদের একজন সদস্য এবং তিনি তাদের সকলের আগে ইনতিকাল করেন। কেননা তিনি সাহাবীদের যুগ পেয়েছিলেন।
তিনি আনাস ইবন মালিক (রা) কে দেখেছেন। কেউ কেউ বলেন, অন্যকেও দেখেছিলেন। আবার কেউ উল্লেখ করেন, তিনি সাতজন সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রহ) বলেন, যদি আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে আবু হানিফা ও সুফিয়ান ছাওরী দ্বারা সহায়তা না করতেন তাহলে আমরাও অন্য সব লোকের ন্যায় অকর্মন্য হয়ে যেতাম।
ইমাম শাফেয়ী (রহ) বলেন, আমি এমন একটি লোক সম্মন্ধ্যে আমার অভিমত পেশ করছি যদি তিনি এ স্তম্ভটি স্বর্ণে পরিণত করার জন্য কারো সাথে কথা বলেন, তাহলে তিনি তার দলীল অবশ্যই উপস্থাপন করতে পারবেন।
আব্দুল্লাহ ইবন দাউদ আল-হারবী বলেন, মানুষের উচিত তাদের জন্য আবু হানীফার ফিকহ্ ও হাদীসের হিফাযত করা ও তাদের সালাতের মধ্যে আবু হানিফার জন্য দুআ করা।
আল-খাতীব আল বাগদাদী (রহ) নিজ সনদে আসাদ ইবন আমর (রহ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু হানিফা (রহ) রাতে সালাত আদায় করতেন এবং সমস্ত রাত কুরআন পাঠ করতেন। সালাতে এমন কান্নাকাটি করতেন যে প্রতিবেশীরা তার উপর দয়া দেখাতেন।
তিনি চল্লিশ বছর ঈশার সালাতের ওযু দিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন।
যে জায়গায় তিনি ইনতিকাল করেন সেখানে তিনি সত্তর হাজার বার কোরআন খতম করেন।
একশ পঞ্চাশ হিজরী রজব মাসে তিনি ইনতিকাল করেন। বাগদাদে তার সালাতের জানাযা অত্যন্ত ভিড়ের কারণে ছয়বার পড়া হয়। আর সেখানে তিনি সমাহিত হন।
আল্লাহ তা’আলা ইমাম আবু হানিফার উপর রহমত নাযিল করুন।
(নিজের হাতে টাইপ করেছি দ্বীনের জন্য কিছু কাজ করা দরকার তাই প্রজেক্ট হাতে নিলাম )
বিষয়: বিবিধ
২০০৬ বার পঠিত, ৪৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তিনি চল্লিশ বছর ঈশার সালাতের ওযু দিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। - এই কথাটি নিয়ে কিন্তু বেশ বিতর্ক আছে!
কোথা থেকে নিয়েছেন রেফারেন্স দিলে আরো ভালো হতো!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
এতে কি সমস্যা পড়তেই পারে
নামি দামী গ্রহনীয় বই থেকে ই দিয়েছি আপপপি কোন সন্দেহ নেই
তবে এখন আবার পড়লাম, তো কেমন যেন সন্দেহ লাগতেছে আপপপি
কিন্তু ভ্যা, একরাতে সম্পূর্ণ কু'রান শেষ করা ক্যামতে সম্ভব? সুরা ইখলাস তিনবার পড়ার কথা কইতেছেন?
ইমাম রবী ইবনে সুলাইমান থেকে দু’টি বা দুয়ের অধিক সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. রমজানে ষাট খতম কুরআন তেলাওয়াত করতেন। ইমাম ইবনে আবী হাতেম এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি এর সাথে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, ষাট খতমই তিনি নামাযে তেলাওয়াত করতেন।
-সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, খ.১০, পৃ.৩৬
-কপি পেষ্ট করলাম আহনাফ ভাইয়ের ওয়াল থেকে।
যারা ভালো মানের হাফেজ তারা ১ঘন্টায় ধিরস্থির ভাবে ৩ পাড়া পড়তে পারেন। আর দ্রুত পড়লে ৪পারা হতে পারে তবে এটা কষ্টকর।
আর মহান আল্লাহর কুদরতের কাছে এটা কোন ব্যাপার না যে আল্লাহ কোন ব্যাক্তির সময়ে বরকত দান করেন আর আল্লাহর রহমতে সে এক ক্ষতম পড়তে পারে।
অনেকে আছেন তাদের ধ্যান জ্ঞান কুরআনুল কারীম।
ভালোবাসা কুরআনুল কারীম । জাজাকাল্লাহ।
-আল্লাহ পাক চাইলেই সম্ভব।
এ নেয়ামত আল্লাহ পাকের দান ।
জাজাকাল্লাহ
আর, আল্লাহ চাইলেই পারেন তবে রসুল (সা) যা করেন নি সাহাবারা যা করেন নি তা মনেহয় আমাদের করে লাভ নাই।
আমি আর কি বলবো অফ গেলাম।
তবে দ্রুত পড়লে একরাতে হাফেজরা ৭ঘন্টায় কুরআন খতম করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
ঠিকই তো এখন চিন্তাহচ্ছে একাধারে ইশা থেকে ফজর এক ওযুতে
মাথা ঘুড়ঘুড় করছে আপপপি
*******************************************************************************
ইমাম যাহাবী রহ. লিখেছেন,
আসাদ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত, ইমাম আবু হানিফা রহ. চল্লিশ বছর যাবৎ একই ওজু দিয়ে ইশা ও ফজরের নামায পড়েছেন।
-সিয়ারু আ'লামিন নুবালা, খ.৬, পৃ.৩৯৯ , মানাকিবুল ইমাম আবি হানিফা, ইমাম কারদারী রহ, খ.১, পৃ.২৪১-২৪২
ইমাম ইবনে কাসীর রহ. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে বর্ণনা করেছেন -
ইবনে ইদরীস রহ. বলেন, সাইদ ইবনুল মুসায়্যাব রহ. পঞ্চাশ বছর যাবৎ ইশার ওজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন।
- আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খ.৯, সাইদু ইবনুল মুসায়্যাব রহ. এর জীবনী।
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. থেকে বর্ণিত,
সুলাইমান আত-তাইমী রহ. চল্লিশ বছর যাবৎ বসরার জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন, তিনি চল্লিশ বছর ইশার ওজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করতেন।
- সিয়ারু আ'লামিন নুবালা, খ.৬, পৃ.২০০, হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.৩, পৃ.২৯
হুশাইম ইবনে বিশর আবু মুয়াবিয়া রহ. (মৃত:১৮৩ হি বিশ বছর যাবৎ ইশার উজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন।
-সিয়ারু আ'লামিন নুবালা, খ.৮, পৃ.২৯০ , আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খ.১০, পৃ.১৯৮
ইমাম আবু বকর নাইসাপুরী রহ. চল্লিশ বছর যাবৎ ইশার উজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন।
-তাজকিরাতুল হুফফাজ, খ.৩, পৃ.৮২০, শাজারাতুয যাহাব, খ.৪, পৃ.১২৯
ইমাম আবুল হাসান আশআরী রহ. বিশ বছর যাবৎ ইশার উজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন।
-আত-ত্ববাকাতুল কুবরা, খ.২, পৃ.১৯০
শায়খ ইজহারুল ইসলাম আল কাউসারী এর লেখা থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে সংগ্রহিত।
তাই আমি চুপ থাকতেচাই আর ইমাম আবু হানিফার জন্য দুআ করতে চাই। অতিরঞ্জন করতে চাই না।
আল্লাহর রহমত ছাড়া এটা কোনভাবেই সম্ভব না।
কেউ একটা সিজদাহ আল্লাহকে করতে পারবেনা যদি সেটা আল্লাহ তৌফিক না দেন।
হা আমি হানাফী মাজহাবের অনসারী তবে আমি ইমাম আবু হানিফা (রহ.) কে নিয়ে প্রশংসা আমার অনলাইন লাইফের এবারই খুব সম্ভবত প্রথম বার করলাম।
আর এখানে বড়বড় তাবেয়ীদের ঘটনা এবং তাদের আমাল তিনি কপি পেষ্ট করেছেন।
তার জন্য দিয়ে দিলাম।
জাজাকাল্লাহ
আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিন সেভাবে চলার
শুকরিয়া!
সাদিয়া মুকিম আপুর সাথে একমতঃ
তিনি চল্লিশ বছর ঈশার সালাতের ওযু দিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। - এই কথাটি নিয়ে কিন্তু বেশ বিতর্ক আছে!
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : মনোযোগ দিয়ে পড়লুম... Day Dreaming
কিন্তু ভ্যা, একরাতে সম্পূর্ণ কু'রান শেষ করা ক্যামতে সম্ভব? সুরা ইখলাস তিনবার পড়ার কথা কইতেছেন?
উনাদের অক্লান্ত ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফলেই আজ আমাদের হাতে দ্বিনের কথাগুলো এসে পৌঁছেছে। তাই তাদের মেহনতকে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন