রাধারাণীর ইসলাম গ্রহণ-হৃদয় বিদারক Crying

লিখেছেন লিখেছেন ছালসাবিল ২৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:০১:৩৪ দুপুর





(এটি একটি সত্য ঘটনা। সবাই ঘটনাটি পড়ুন। এটি পড়ে সত্যি অনেক আনন্দ লেগেছে এবং অনেক দুঃখও পেয়েছি।)

রাধারাণীকে তিনবার দেখেছি আমি। তিন রূপে। আর ভুলতে পারিনি, পারবও না কোনদিন মনে হয়। তখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কল্পনাদের বাসায় প্রায়ই যাই। সেদিন গিয়ে দেখি কল্পনাদের বাসায় মেহমান এসেছে। অপূর্ব সুন্দর একটি ১৪/১৫ বছরের মেয়ে কল্পনার পাশে বসে আছে। আমি এত সুন্দর কালো মেয়ে কোনদিন দেখিনি। আমাকে দেখে বলল, ‘আপনি বুঝি শিরিন আপু?’ কণ্ঠস্বর তো নয় যেন সুরের মূর্ছনা ঝরে পড়ল। কথা বলার ধরন, মুখের হাসি, চোখের চাউনি সব কিছু মিলিয়ে সত্যি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মত ছবি।

আমি মুগ্ধ কণ্ঠে বললাম, ‘তুমি কী করে বুঝলে’?

‘এতক্ষণ কল্পনাদি’র সাথে আপনার কথাই হচ্ছিল।’ মেয়েটি কল্পনার ফুফাতো বোন। বেড়াতে এসেছে। একেই বোধ হয় বলে ‘আল্লাহ পাক নিজহাতে তৈরি করেছেন।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, তোমার নাম কী? ‘রাধারাণী।’

কল্পনা বলল, ‘জানিস ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, বরটির নাম নবকৃষ্ণ।’

তাই বুঝি? হাসলাম আমি। রাধারাণীও হাসল। রাধারাণীর বিয়ের কথা শুনে আমার ভালো লাগল না। বললাম, এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দেবে কেন? কোন ক্লাসে পড়ে?

‘ক্লাস নাইনে।’ রাধারাণীই উত্তর দিল।

আমিঃ এস. এস. সি টা পাস করো, তারপর বিয়ে হোক।

রাধারাণীঃ আমি কী করব বলেন? বাবা-মা কি তা মানবে? বলে হাসল রাধারাণী।

রাধারাণীর মুখখানি আমার মনের ক্যানভাসে আঁকা হয়ে থাকল। এর কিছুদিন পরেই শুনলাম রাধারাণীর বিয়ে হয়ে গেছে। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার নবকৃষ্ণ দাসের সাথে।

বছরখানেক পর রাধারাণীর সাথে আবার দেখা হল। কল্পনাদের বাসায়ই। স্বামীর সাথে বেড়াতে এসেছে। রাধারাণীকে দেখার জন্য মনটা যেন আমার অস্থির হয়েছিল। আমাকে দেখে রাধারাণী হাসলো। একেই মনে হয় বলে ভুবন মোহিনী হাসি। কাছে এসে বলল, কেমন আছেন শিরীন আপু?

আমি হাত ধরে বললাম, ‘ভালো আছি বোন। তুমি কেমন আছ?’ রাধারাণীর মুখটা ম্লান হয়ে উঠলো। ঠোঁটে হাসি টেনে বলল, ভালই আছি আপু।

ওর বরটা আমার পছন্দ হলো না। কেমন যেন কাঠখোট্টা ধরনের মনে হল। এত সুন্দর রাধারাণীর পাশে যেন সত্যি বেমানান।

কল্পনার কাছে শুনলাম রাধারাণী শান্তিতে নেই। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা ছিল। রাধারাণীর বাবা ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে আর ২০ হাজার এখনো দিতে পারেনি। তাই প্রায়ই রাধারাণীকে কথা শুনতে হয়। আমি রাধারাণীর মুখখানি তুলে ধলে বললাম, এ সুন্দর মুখের দিকে তাকালে তো সব ভুলে যাওয়ার কথা, টাকা কথা বলে কী করে? তোমার কৃষ্ণ কী বলে?

‘শিরীন আপু, আপনি যখন আমাকে সুন্দর বলেন, তখন মনে হয় আমি সত্যি সুন্দর। আমার শাশুড়ি বলে, পেত্নীমার্কা মেয়ে। ৫০ হাজার টাকা নগদ দেবে বলেই তো আমরা এ বিয়েতে রাজি হয়েছি, নইলে কেন ঐ পেত্নীমার্কা বউ আনবো ছেলের জন্য?’

‘তোমার কৃষ্ণ কী বলে?’

‘ওতো সেই কৃষ্ণ না আপু, ও হলো নবকৃষ্ণ। ওর হাতে বাঁশি নেই, বাঁশ আছে। কোনদিন যে আমার গলায় ফাঁস পরাবে তাই ভাবছি।’ হাসতে হাসতে বলল রাধারাণী।

আমি রাধারাণীর হাতটি ধরে পাশে বসালাম। বললাম, ছি বোন, ওসব কথা বলতে হয় না। তোমার গলায় কেন ফাঁস পড়বে?

রাধারাণীর বড় বড় চোখ দুটিতে পানিতে ভরে গেল। আঁচলে চোখ মুছে বলল, কল্পনা দি’দের বাসায় বেড়াতে এসেছি শুধু আপনার সাথে দেখা করার জন্য। গতকাল আসার পর থেকে আপনাদের বাসায় যাওয়ার জন্যে যে কতবার চেষ্টা করলাম। আমার নবকৃষ্ণ যখন জানতে পারল আমি একজন মুসলমান মেয়ের সাথে দেখা করতে চাচ্ছি, তখনই রাগে ক্ষেপে উঠল। বলল, একটা মুসলমানের সাথে দেখা করার কী প্রয়োজন তোমার? আমি ভয়ে আর কথা বলিনি। তাই আপনাকে আসতে খবর দিয়েছি। শিরীন আপু আপনার সাথে মনে হয় আমার আর দেখা হবে না!

রাধারাণীর চোখ দুটি আবার পানিতে ভরে উঠল। আমি ব্যথিত কণ্ঠে বললাম, তোমরা কি দূরে কোথাও চলে যাচ্ছ?

রাধারাণী মাথা নেড়ে জানাল, ‘না’। তারপর উঠে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল। আমার কাছে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে বলল, আপু আপনার সাথে খুব জরুরি কিছু কথা আছে আমার, বলে কী যেন ভাবল। মনে হচ্ছে, মনে মনে কথাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে। তারপর চোখমুখ উজ্জ্বল করে বলল, ‘আপু! আমি মুসলমান হব।’

আমি চমকে উঠলাম, ‘কী বলছ এসব?’

জানেন আপু আপনাকে যেদিন প্রথম দেখি, সেদিন আমার মনে হয়েছিল পূর্বজন্মে বুঝি আপনি আমার মায়ের পেটের বোন ছিলেন।

আমি বাধা দিয়ে বললাম, পূর্বজন্ম বলে কিছু নেই পাগল মেয়ে। আদর করে তার পিঠে হাত রাখলাম।

‘তা না থাক আপু, ইসলাম ধর্ম আমার ভীষণ ভালো লাগে আপু। কত উদার আর মহৎ ধর্ম। মেয়েদের কত সম্মান করা হয়। আমাদের পাশের বাড়ির শারমিনের বিয়ে হল আপু। বিয়ের গহনা শাড়ি উপরন্তু আরও ১৫ খানা শাড়ি এনেছে বরযাত্রীরা দাদী, নানী, খালা, ফুফুদের জন্য। তারপর ১ লাখ টাকা মোহরানা ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছে আর পঞ্চাশ হাজার টাকা পরে দিবে। এখন দিতে পারেনি বলে বাসররাতে ওর স্বামী ওর কাছে মাফ চেয়েছে আপু। বিয়ের পরেই শারমিন ধনী হয়ে গেছে। ওর নাকি এখন যাকাত দিতে হবে। এই তো গত রমজান মাসে ওর একটা গরিব চাচাতো বোন আছে তাকে ৫ হাজার টাকা যাকাত দিল। আর আমার কথা ভাবেন। আমার বাবা শারমিনের বাবার মতই গরিব মানুষ। আমাকে বিয়ে দিয়ে আরও পথে নেমে গেল। আমার বিয়ের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ শারমিনের বিপরীত। গহনা, শাড়ি আরও ১০ খানা শাড়ি, নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা, জামাইর পোশাক, ঘড়ি, আংটি, গলার চেইন আরও যে কত কী সব দিতে হয়েছে। শারমিনকে বললাম, তোর বরকে তোর বাবা কী দিয়েছে? শারমিন বলল, সোনা পরা তো পুরুষদের জন্য হারাম। তাই শুধু একটা ঘড়ি দিয়েছে। তা ওর স্বামী বলেছে আমি কোন যৌতুক নেব না। যৌতুক হারাম। পাশাপাশি বাড়িতে বাস করে তোমাদের জন্য হারাম আর আমাদের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হয়ে গেল কেন আপু? আমি একটি জিনিস বুঝেছি আপু, যে ধর্ম দুনিয়াতে মানুষকে শান্তি দিতে পারে না সেই ধর্ম কী করে পরকালে শান্তি দেবে?

কণ্ঠস্বর আরও নিচু করে বলল, আমি মুসলমান হয়ে গেছি আপু। শারমিনই আমাকে বলেছিল, কালেমা শাহাদাত পড়লে মুসলমান হওয়া যায়। আমি ওর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে কালেমা মুখস্থ করেছি। পাঁচবার যখনই আজান হয় আমি অজু করে পশ্চিম দিকে মুখ করে সেজদা দেই আর কালেমা পড়ি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই হিন্দু পরিবেশে আমি আর থাকবো না। আমি আত্মহত্যা করে আল্লাহর কাছে চলে যাব।

আমি আর্তনাদ করে উঠলাম। ‘নানা আত্মহত্যা করা মহাপাপ। আত্মহত্যা করে আল্লাহর কাছে যাওয়া যায় না রাধারাণী।’

‘ও তাই! আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। তাহলে আত্মহত্যা করবো না। দেখ তোমাকে না জানালে আমি জানতেই পারতাম না, আত্মহত্যা করে বসতাম। জান আপু, আমি আমার নামও পরিবর্তন করেছি। আমার নাম রেখেছি আয়েশা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম।

আমার নবকৃষ্ণ যদি জানতে পারে আমার আত্মহত্যা করা লাগবে না, ওরাই আমাকে মেরে ফেলবে। বলে হাসতে লাগলো রাধারাণী। কী সুন্দর পবিত্র সে হাসি! আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম নও-মুসলিম আয়েশার দিকে। বিদায় নেওয়ার সময় হাত ধরে গভীর আবেগে চুপিচুপি বললাম, ‘আস্সালামু আলাইকুম।’

আয়েশা ‘ওয়ালাইকুমুস সালাম’ বলে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি ওর কপালে চুমু খেয়ে চলে এলাম।

প্রায় দু’মাস হয়ে গেছে। সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। খুব ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে। কলেজেও যাওয়া হয় না, কল্পনার সাথেও দেখা হয় না। রাধারাণীর খোঁজও নিতে পারিনি। হঠাৎ একদিন কল্পনা এল। মুখ খুব ভার ভার লাগছে। আমি কাছে এসে বললাম, কী রে কল্পনা, কী খবর?

কল্পনা আমার হাত ধরে বলল, চল রাধারাণীকে দেখে আসি।

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কোথায় রাধারাণী? কী হয়েছে রাধারাণীর?’ হাসপাতালে, রাধারাণী আত্মহত্যা করেছে।

আমি পাগলের মত চিৎকার করে উঠলাম, না, না রাধারাণী আত্মহত্যা করেনি, করতে পারে না। ওকে খুন করা হয়েছে।

হাসপাতালের বেডে সাদা চাদরে ঢাকা রাধারাণী। মুখের ওপর থেকে চাদরটা সরাতেই দেখলাম কী নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে আছে আয়েশা। অনিন্দ্যসুন্দর। চোখ দুটি এখনই বুঝি খুলে যাবে। তারপর গোলাপ পাপড়ি ঠোঁট দুটিতে হাসি ফুটিয়ে বলবে, ‘আসসালামু আলাইকুম। শিরীন আপু, তুমি কেমন আছ?

ওর শাশুড়ি শুকনো চোখে হাউমাউ করছিল। নবকৃষ্ণকে কোথাও দেখলাম না। ওর বাবা বসে আছে মেঝেতে। বিধ্বস্ত চেহারা। মূর্তিমান বেদনা যেন। আমি রাধারাণীর মুখের ওপর থেকে কাপড় সরাতেই কাছে এসে দাঁড়ালেন, জোরে কেঁদে উঠলেন, ‘মা রে, আমি তো তোর কথা মেনেছি, তারপর কেন আত্মহত্যা করলিরে মা…’!

রাধারাণীর বাবার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না। পায়ের কাছে বসে ১০/১২ বছরের একটি মেয়ে কাঁদছিল ব্যাকুল হয়ে। মেয়েটিকে চিনি না। বললাম, তুমি কে? কী হও রাধারাণীর?

‘আমি কিছুই হই না, ওদের বাসায় কাজ করি।’

ওর হাত ধরে একপ্রান্তে চলে গেলাম। তারপর বললাম, রাধারাণী কেন আত্মহত্যা করল জান?

বৌদিমণি আত্মহত্যা করেনি, বৌদিমণির পেটে বাচ্চা তো। দাদাবাবু যেই জোরে লাথি মারল, বৌদিমণি তখনই নেতিয়ে পড়ে গেল। আমি দৌড়ে যেয়ে ধরলাম, মাথায় জল দিলাম। আমাকে ওরা সবাই ঘর থেকে বের করে দিল। কিছুক্ষণ পরে সবাই বলতে লাগল, বৌদিমণি আত্মহত্যা করেছে। বৌদিমণি যে কত ভাল মানুষ ছিল গো দিদি! বলে মেয়েটি কাঁদতে লাগলো।

আমি নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললাম, ‘কেন নবকৃষ্ণ লাথি মারল তা কি জান?’

‘জানি। বৌদির বাবা যৌতুকের সব টাকা তো দিতে পারেনি, তাই বৌদিকে খুব কথা শুনতে হতো। সবাই বৌদির বাবাকে জোচ্চোর বলত। বৌদি খুব কষ্ট পেত, মাঝে মাঝে রাগ করে খেত না, ওরাও ডাকতো না।’

ঐ দিন বৌদির বাবা বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে গেছিল জামাইকে দেবার জন্য। দাদা তখন বাড়িতে ছিল না। বৌদি যখন শুনল বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা এনেছে তখন বৌদি বলল, ‘তুমি বাড়ি বন্ধক রেখে কেন টাকা এনেছ? আমার ছোট ভাই বোনেরা কোথায় থাকবে? এদের কেন টাকা দিতে হবে? এদের তুমি আর এক পয়সাও দিতে পারবে না, যদি তুমি এই টাকা এদের দাও বিশ্বাস কর বাবা, আমি আত্মহত্যা করব।’

ওনার বাবা বললেন, ‘তোর ওপর যে অত্যাচার করে মা তাতো আমি সহ্য করতে পারি না।’ করুক, কত আর করবে!

বৌদির বাবা টাকা নিয়ে চলে যেতেই দাদাবাবু বাড়ি এল। দাদাবাবুর মা সত্য মিথ্যা কত কথা যে বানিয়ে বলল। দাদা বাবুও তখন রেগে গেল। তখন বেলা প্রায় ১২টা বেজে গেছে। তখনও পেটে একফোঁটা জল পড়েনি বৌদির। দাদাবাবু বারবার বলতে লাগল, টাকা ফেরত দিয়েছিস কেন? বল, কেন ফেরত দিয়েছিস? বৌদি কথা বলছিল না।

তারপর দাদাবাবু পরপর দুটি লাথি বসিয়ে দিল বৌদির তলপেটে। বলে মেয়েটা কান্নায় ভেঙে পড়ল।

হঠাৎ মেয়েটা কান্না থামিয়ে আমার কাছে আরও সরে এসে বলল, ‘আপনি তো শিরীন আপু তাই না?’

আমি বললাম, হ্যাঁ। মেয়েটি চতুর্দিক সতর্ক দৃষ্টিতে দেখল। তারপর বলল, বৌদিমণি তোমাকে একটা চিঠি দিয়েছে, বলে একটা খাম আমার হাতে দিল। আমি দ্রুতহাতে খাম থেকে চিঠিটা বের করলাম।

ঝকঝকে হাতের লেখা। রাধারাণী লিখেছে,

‘শিরীন আপু! সালাম নিও। নবকৃষ্ণ আমার মুসলমান হওয়ার কথা মনে হচ্ছে জেনে গেছে। কয়েকদিন ধরে ও আমার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করছে। তারপর আজও বাবা যৌতুকের সব টাকা দিতে পারেনি। ওর মা ওর জন্য মেয়ে পছন্দ করেছে। তারা অনেক যৌতুক দেবে। যা হোক যেজন্য তোমাকে লিখছি। আমার শরীর খুব খারাপ। যদি মরে যাই কিংবা ওরা আমাকে মেরে ফেলে আমার লাশ যেন কেউ আগুনে পোড়াতে না পারে। মুসলমানদের গোরস্থানে আমাকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করো যেভাবে পারো। আমি বাবাকেও একটা চিঠি দিয়েছি। বাবা বাধা দেবে না।

আখিরাতে দেখা হবে নিশ্চয়ই!

তোমার বোন

আয়েশা।

আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে আয়েশাকে কবর দেওয়া হয়েছে। আয়েশা যে আমারই বোন!

_____________>

সংগ্রহ করেছি। পড়ে খুউউউউবি কষ্ট লেগেছে তাই আপনাদেরকেও কষ্ট না দিয়ে পারলাম না Worried

পুতুলাপপপপির ছবিটা দিলাম উনিও এরখম কষ্টে আছে মনেহয় Smug Sleepy

বিষয়: বিবিধ

৪০০৫ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316640
২৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : যৌতুকের থাবা!!! ঘৃণায় হূদয়ে.....!
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:২৭
257772
ছালসাবিল লিখেছেন : Worried হুম ভাইয়া, ঠিকবোলেছেন Crying Broken Heart
316643
২৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৫০
আবু জান্নাত লিখেছেন : পুতুল পপিটা কে??????????
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:২৭
257773
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised কোনদিকে আপনার চোখ Smug লেখার কোন কম্টেস নেই, পুতুল কে? সেটা বলবো নাহ্ Love Struck Tongue
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৬
257774
আবু জান্নাত লিখেছেন : পিচ্চি ছেলে, আবার পুতুলের সাথে যোগযোগ? Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
257798
ছালসাবিল লিখেছেন : পুতুলকে আমি অনেনেনেনেক পছন্দ করি Love Struck তার কবিতার জন্য Tongue
316650
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
257799
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ Smug
316652
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:১৯
আফরা লিখেছেন : যৌতুককর ঘৃণা করি । দিব ও না নিব ও না ।

কুশপুতুল আপুকে তো দেখছি না অনেক দিন ।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
257800
ছালসাবিল লিখেছেন : আপপপপু, আমিও যৌতক নিবো না Love Struck
316659
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। খুবিই মর্মান্তিক ঘটনা। অন্ধ সচেতনতামূলক লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪০
257801
ছালসাবিল লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমসালাম Love Struck শ্রেদ্ধেয়া বড় আপপু, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। লেখাটি আমার নিজের নাহ্, চুরি করছি Love Struck Tongue
316665
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : সংগ্রহ বলেছেন, তা হোক৷ মর্মান্তিক! আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক৷
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
257802
ছালসাবিল লিখেছেন : আমীন। আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করুন। Love Struck
316678
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ভালো লাগলো।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৭
257818
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনাকেও Love Struck
316679
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪০
মনসুর লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৭
257819
ছালসাবিল লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া Love Struck
316680
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৮
257820
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised ভাইয়া, চিন্তিত কেনো Worried
১০
316699
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫০
নিমু মাহবুব লিখেছেন : মর্মান্তিক

Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২৯
257846
ছালসাবিল লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া Love Struck পড়ার জন্য Love Struck
১১
316724
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:১১
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! এই ব্যাধি থেকে এই সমাজ কবে যে মুক্ত হবে? আল্লাহ হেফাজত করুন! আমিন! আর
(রাধারাণী) মানে মুসলমান আয়েশাকে মহান আল্লাহ জান্নাতের উচ্চাসনে আসীন করুন! আমিন! লেখককে ও যাযা দিন!
২৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৫২
257900
ছালসাবিল লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। আপপপু, আপনার দুআ আল্লাহ কবুল করুন আমীন। Love Struck
২৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৫৩
257901
ছালসাবিল লিখেছেন : লায়লাপি, আপনি দেখলাম মদিনায় আছেন। আমাকে একটা ছবিদিন খুব সুন্দর যা দেখে মনভরে যাবে Love Struck
২৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৫
258367
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আমীন।
১২
316740
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আসলেই মর্মান্তিক ঘটনা! তবে যিনি লিখেছেন খুব চমৎকার ভাবে দুই ধর্মের পার্থক্যগুলো বিশ্লেষন করেছেন!

কিন্তু উনি মুসলিম হয়েও হিন্দু স্বামীর কাছেই ছিলেন?

(রাধারাণী) মানে মুসলমান আয়েশাকে মহান আল্লাহ জান্নাতের উচ্চাসনে আসীন করুন! আমিন!
২৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৫৪
257902
ছালসাবিল লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম আপপপপি,
পরিস্থিতিতে হয়তো ছিলেন। আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করুন আমীন। Love Struck
১৩
317099
২৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:০৪
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : মর্মান্তিক
২৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:২৪
258288
ছালসাবিল লিখেছেন : হুম ভাইয়া, Happy
১৪
318049
০৪ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৪৪
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : এই লেখাটি ইসলাম ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের পার্থক্য চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। নারীকে ইসলাম কতটা সম্মানিত করেছে এটিই তার প্রমাণ।
০৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
259310
ছালসাবিল লিখেছেন : Love Struck
১৫
318053
০৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : ভালো লাগলো।
০৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৩১
259319
ছালসাবিল লিখেছেন : Love Struck Good Luck
১৬
321253
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৪
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :

হুমম, গল্পটা অনেক বেদনাদায়..........।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন


২০ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
262348
ছালসাবিল লিখেছেন : আল্লাহ আপনার দুআ কবুল ফরামন আমীন। Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File