তোমরা যারা বিয়ের প্রস্তাব দিতে ভয় পাও!
লিখেছেন লিখেছেন ছালসাবিল ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:০৮:২৯ দুপুর
তোমরা যারা অভিভাবকদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে ভয় পাও, তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে একটি পত্র। জানি না কতটুকু ফলপ্রসূ হবে। তবুও আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু।
সকল প্রশংসা একমাত্র সমগ্র সৃষ্টির মালিক আল্লাহ আয্ ওয়াজালের জন্য এবং অসংখ্য সালাত এবং সালাম রাসূলুল্লাহ এবং তাঁর পরিবার ও সাহাবীদের জন্য।
প্রিয় আঙ্কেল/আন্টি, (!)
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আপনার কন্যার প্রতিও। আপনার পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত এবং বরকত বর্ষিত হউক!
আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’আলার ইচ্ছায় আমি অবশ্যই আপনাদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। মুসলিম হিসেবে আমরা একে অপরের আত্নীয়, তাই আমরা অবশ্যই একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসবো এবং ভালো চাইবো! কোন মুসলিমের কখনোই তার অপর মুসলিম আত্মীয়র ক্ষতি কামনা করতে পারে না, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা! আমি আপনাদের ব্যাপারে নিজেকে যেমন আন্তরিক করতে চাই, তেমনি আপনাদের কাছেও তেমনটা আশা করি! এটাকে আপনারা আবদার ভাবতে পারেন, ভেবেই নেন বরং যে, এটি আমার পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে একটি সামান্য কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আবদার!
আপনার অবশ্যই মনে হবে যে, আমি কে আর কেনই বা আবদার করার আবদার জানাচ্ছি! আমি আল্লাহর একজন পাপী বান্দা! অনেক পাপে জর্জরিত হয়ে পাপ মোচনের জন্য আল্লাহর দিকেই ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছি, কতটুকু পারছি আল্লাহই ভালো জানেন! তবে এটাই জীবনে মূল উদ্দেশ্য, তাই এই ব্যাপারটিই আমি সবচেয়ে বেশি আন্তরিক থাকার চেষ্টা করি এবং চাই যে সকলেই এই বিষয়টিতে আন্তরিক থাকুক!
আমি সহ এখনকার তরুণ-তরুণীরা মারাত্মক ফিতনা এবং জাহিলিয়াতের মধ্যে সময় পার করছি! কোনটা ফিতনা এবং কোনটা জাহিলিয়াত, সেগুলো বুঝার পরও আমরা দুনিয়াবী কাজে এতটাই আবদ্ধ হয়ে পড়েছি যে, সেগুলো থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারছি না অথবা সেগুলো থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে পারছি না। আল্লাহর আমাদের ক্ষমা করুক। এই জাহিলিয়াতের ফিতনা থেকে বাঁচতে লোকালয় ছেড়ে চলে যাওয়াও ছাড়া খুব কমই উপায় আছে! অথবা দারুল ইসলামে গিয়ে বাসবাস এবং দারুল হারবে গিয়ে জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহর জন্য আত্মনিয়োগ করাটাও খুব সহজ এবং সল্প সময়ের ব্যাপার নয়! তবে দুআ করবেন যেন আল্লাহ আমাকে এই ইবাদাতে আত্মনিয়োগ করার সুযোগ দেন এবং আমার শাহাদাত পাওয়ার ইচ্ছা কবুল করেন।
আমাদের বর্তমান কালের বিপর্যয়গুলোর কারণ অনুসন্ধান করলেই একজন সুস্থ এবং জ্ঞানী মানুষ বুঝতে পারবে যে এটা ইসলাম বিমুখ হওয়ার কারণে আল্লাহর প্রেরিত গজব! যেমন বিয়ের মত পবিত্র এবং সহজ বিধানকে দিন দিন কঠিন করে ফেলার কারণে বিভিন্ন ভাবে ব্যভিচার সহজ হয়ে পড়ছে! বিয়ে একটা ইবাদাত এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’আলার দেয়া সুন্দরতম নিয়ামাত গুলোর মধ্যে একটি! অথচ আমরা একমাত্র দুনিয়া কেন্দ্রিক চিন্তা ও জীবন যাপনের কারণে বিয়ের মত বিধানকে একে তো কঠিন করছি এবং সাথে সাথে ইসলামের কিছু নিয়মও লঙ্ঘন করছি। আর এতে তো আসলেই আমাদের কোন উপকার হচ্ছে না, বরঞ্চ মহাক্ষতির দিকেই আমরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুক। নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা হারামকে কঠিন করো, তাহলে হালাল সহজ হয়ে যাবে; তোমরা বিয়েকে সহজ করো তাহলে ব্যভিচার কঠিন হয়ে যাবে।”
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি নিজেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করার চেষ্টা করবো এবং অন্যদেরও একাজে সাহায্য করবো এবং উদ্ভুদ্ধ করবো। আমরা সুন্নাহ থেকে জানি যে বিয়ে করলে আল্লাহ খুশি হন, তিনি রিযক বাড়িয়ে দেন। একজন বিবাহিত লোকের ইবাদাত একজন অবিবাহিত লোকের ইবাদাতের চেয়ে বেশি মূল্যবান। তাছাড়া বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী সন্তান জন্ম দিয়ে তার অনেক গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে। কতই না সুন্দর আল্লাহর নিয়ামাত! এছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতি, সমাজিক, ধর্মীয় অনেক উপকারিত অর্জন করা সম্ভব। বিয়ে করলে আল্লাহ খুশি হয়ে যান। যখন বর ও কনে একে অপরের দিকে হাসি মুখে তাকায় আল্লাহও তাদের দিকে হাসি মুখে তাকান। তাই আমাদের কি উচিত নয় বিবাহ সম্ভাব্য সকল মুসলিম নর-নারীর বিয়ে করিয়ে দেয়া? যেখানে কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” [সূরা নূর: ৩২] আর আমরা তো দাস-দাসীও না, আমাদের বিয়ে কি তাহলে আরো গুরুত্ববহ না, যেখানে স্ময়ং আল্লাহ অবিবাহিতদের বিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন?? তাহলে কি সেই জিনিস যা আমাদের একাজ থেকে বাধা দিচ্ছে??
আবু হুরায়ারা (রাদিআল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যদি এমন কেউ তোমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয় যে যার ধার্মিকতা ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট তবে তোমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে। যদি তা না করো তবে পৃথিবীতে ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি হবে।” [তিরমিজী: ১০৮৪] আমরা কি এই হাদিসটির বাস্তবায়ন আমাদের স্বচক্ষে দেখছি না বর্তমানে?? এরপরও কি আমরা চুপ করে থাকবো? এর পরও কি আমরা আল্লাহর আদেশ মানবো না?? এরপরও কি আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সতর্ক বাণী অনুযায়ী নিজেদের চলার পথ সঠিক করে নিব না??
কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে সর্বত্তোম প্রতিদান কামনা করে শেষ করছি।
-আল্লাহর একজন পাপী বান্দা।
[সতর্কীকরণ: প্লিঝ ভাববেন না এটি আমার লেখা তবে দুআ করবেন যেনো আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন আল্লাহ ]
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৬ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খারাপ বারো আনা
বাকি আছে মাত্র এখন
সিকি চারি আনা!!!!!!!!!!
চারআন আর দুই আনা থাক,
ততে কার কি
আমার জীবন আমার নিজের,
কেঁদে কেঁদে পার করি
কবিতার লাইনগুলো দারুন হয়েছে আপপু মাশআল্লাহ।
পাত্রী পাত্রী করে সে যে পাত্রী খুজে ফিরে।
পাত্রী পাই কোথায় বলে এই পাত্রের তরে
সাজানো আছে কত পাত্রী থরে বিথরে।
পাত্রীর জন্যে ব্যাকুল ব্লগে ছালছাবিল
লাগেবে তার পাত্রী সতকর্মশীল..............
চিঠিটা সুন্দর হয়েছে।
যাদের দেখার দরকার, তারা দেখেন না,
আপপু আমার হিতাকাংখি সন্দেহ করি না।
দেখেন আপপু দেখেন,একটা বেশি না
সাধ আছে সাধ্য নাই সেটাই বুঝিনা
আপপু আই হ্যাভ এ ফ্রেন্ড, ওর মা খুব চিন্তিত ওর বিয়ে দিবে। একটা পাত্রির খবর চাইই চাইই যেমনটি আপনি বোলেছেন যেই করি বিয়ে হবেই ইনশাআল্লাহ।
পাত্রী পাত্রী করে সে যে পাত্রী খুজে ফিরে।
পাত্রী পাই কোথায় বল এই পাত্রের তরে
সাজানো আছে কত পাত্রী থরে বিথরে।
পাত্রীর জন্যে ব্যাকুল ব্লগে ছালসাবিল
লাগেবে তার পাত্রী সতকর্মশীল..............
চিঠিটা সুন্দর হয়েছে।
আর কতো কাঁদাবেন আপপু
অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু কোরলাম। ২ সপ্তাহ ওররেরেরে বাবা আমি একলা থাকতে পারবো না
সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনি অতিসত্বর খালামনিকে (আপনার আম্মুকে) আপনার বিয়ের কথা বলেন, এভাবে ব্লগে চিল্লালে কোনো কাজ হবে না।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তিনটা কাজ তাড়াতাড়ি করতে বলেছেন ,নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজ ,মারা গেলে দাফন -কাফন , ছেলে- মেয়ে সাবালক হলে তাড়া-তাড়ি বিয়ে দিতে ।
ধন্যবাদ ছোট ভাইয়া ।
ছেলে- মেয়ে সাবালক হলে তাড়া-তাড়ি বিয়ে দিতে তাহেল একটি ডাক্তারনী খুজতে বোলেছিলাম, পেয়েছেন
আফরা লিখেছেন : জন্ম, মৃত্যু , বিয়ে আল্লাহ যখন নির্ধারন করে রেখেছেন তখনই হবে ।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তিনটা কাজ তাড়াতাড়ি করতে বলেছেন ,নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজ ,মারা গেলে দাফন -কাফন , ছেলে- মেয়ে সাবালক হলে তাড়া-তাড়ি বিয়ে দিতে ।
ছালসাবিল ভাইয়া! বিয়ে নিয়ে আপনার চরম আগ্রহ দেখে আমারও কেমন জানি লাগছে! দেশে আসতে হবে তাড়াতাড়ি! আরো কয়েকটা পাত্রী জোগার করে রাখবেন!
ব্যবস্হাপনাই তো আপনাদের করতে হবে!
আপনারাই আমাকে 'কবুল' বলার দাওয়াত দিবেন!!!
অনেনেনেক ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন