রমনী ও তার সত্তা
লিখেছেন লিখেছেন ছালসাবিল ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:১৪:২৮ দুপুর
রমনী
সত্যি এক তুলনাহীন, বিকল্পহীন উপভোগ্য ও আনন্দদায়ক সত্তা। চোখ দিয়ে দেখুন, সুন্দর। মন দিয়ে উপলব্ধি করুন, অনন্য আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক। নারীর তিন রূপঃ কন্যা, জায়া ও জননী। যাদের কন্যা আছে তারা জানে কন্যা কী জিনিষ। কত আদরের। যাদের জায়া আছে, তারা জানে স্ত্রী-বিহীন জীবন কী রকম একঘেয়ে। (ব্যতিক্রম ও বিকৃতমনা বাদে)।
আর “মা”? উফ! এ নিয়ে আর কথা বাড়াবো না। এক কথায় বলবো – সৃষ্টির সেরা যদি মানুষ হয়, তবে মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ “মা”। এটি বিতর্কবিহীন এক সিদ্ধান্ত। আকৃতি ও লিঙ্গ ছাড়া নারী পুরুষ দেখতে এক হলেও শরীরের অভ্যন্তরে কিন্তু তারা এক নয়। তার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো “হরমোন” এবং “মস্তিষ্ক”।
এই হরমোন ও মস্তিষ্কের জন্য নারী পুরুষ এক নয়। এই দু’টি জিনিষ ব্যাপক ফারাক সৃষ্টি করেছে। মস্তিষ্ক গবেষণায় Brain Sex বলে জ্ঞানের একটা শাখা আছে, যদিও এটি আলাদাভাবে পড়ানো হয় না। আলাদা সাবজেক্ট সৃষ্টি করা হয় নি। এবং এ নিয়ে প্রাপ্ত গবেষণালব্ধ তথ্য সব সবিস্তারে প্রকাশিত হয় নি। স্যাটানিক পাওয়ার এলিট তা’ প্রকাশ হতে দেয় নি। তাদের নিজেদের স্বার্থে। তাদের এজেন্ডার স্বার্থে।
তারা চায় নারী পুরুষ এক হোক। তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় নারী পুরুষের মধ্যে কোন Functional Difference নেই। এবং সেইভাবে তারা দুনিয়াটাকে সাজাতে চায়। তারা নারীকে প্রিয়তমা স্ত্রী হতে দিতে চায় না।
মা হতে দিতে চায় না। তারা পরিবার সংসার এসব চায় না। সুস্থ সন্তান জন্ম হোক তা চায় না। পরিবার ছাড়া সুস্থ সন্তান কল্পনাও করা যায় না। তারা নারীকে যান্ত্রিক যৌন উপভোগের বস্তু বানাতে চায়। পণ্য বানাতে চায়। তার সমস্ত রস টেনে নিঙড়ে বের করে আখের ছোবড়ার মত ফেলে দিতে চায়।
পুরুষ নারীকে ভুল বোঝে। সে বুঝে না নারী একজন মানুষ হয়েও পুরোপুরি তার মত মানুষ নয়। তা’ ঐ হরমোন ও মস্তিষ্কের জন্য।
তাই পুরুষজন, সাবধান। নারীকে Handle with care.
নবী হজরত মোহাম্মদ সা.-ও বলে গেছেন – নারী পাজরের হাড়ের মত। বেশী সিধা করতে যেও না। ভেঙে যাবে। ধীরে ধীরে তাকে মনের মত করে নাও। Train her, advise her. (হাদীছ)।
উল্লেখ্য, নবী মোহাম্মদের ৪টি প্রিয় বস্তুর মধ্যে একটি হলো “নারী”। অন্য তিনটি – সুগন্ধি, মধু ও নামাজ। নারীর ব্যাপারে নবী মোহাম্মদের সা. এর চাইতে বেশী কেউ বুঝেছে বলে আমি মনে করি না।
একমাত্র মূর্খ মুসলিম ছাড়া সবাই জানে যে তিনি সা. সন্তানের কাছে মা’র মর্ঝাদা বাবার ৩ গুণ বলে রায় দিয়ে গেছেন। একজন ধার্মিকা নারীকে দুনিয়ার বেহেস্ত বলে রায় দিয়েছেন। কন্যা সন্তানকে সৌভাগ্যের আধাঁর বলেছেন।
পৃথিবীর কোন ব্যক্তি নারীর ব্যাপার মোহাম্মদ সা. এর চাইতে এত ব্যাপক ও সামগ্রিক মূল্যায়ন করেছে বলে আমার জানা নেই। পুরুষ নারীর প্রতি দূর্বল। এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়েছে শয়তান। যুগে যুগে নারীকে সে অস্ত্র (Tools) হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখনও করছে। আগামীতেও করবে।
শয়তান নারীর শাশ্বত রূপ পাল্টে ফেলেছে। সে নারীকে নগ্ন করেছে। প্রেমবিহীন কামের সামগ্রী করে ফেলেছে। জন্ম দিয়েছে বিশেষ দর্শন। নারীবাদ। এক বিকৃত দর্শন। যা’ সমাজকে ছিন্নভিন্ন করেছে। করে যাচ্ছে।
তাই নারীকে বলি – নারী, তুমি সাবধান! শয়তান তোমাকে ব্যবহার করছে। আর পুরুষকে বলি – হে পুরুষ, নারীকে Handle with care!
“রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ই-য়ানী ছাগীরা”। (আল কোরান)
বিষয়: বিবিধ
১২৪৮ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ঐশীর ব্যাপারটা কি ব্যতিক্রম ছিল ?
মেরাজ থেকে ফিরে রাসূল (সাঃ) মহিলাদের বলেছিলেন যে , উনি দোযখে মহিলাদের বেশী দেখেছেন - কারণ তারা তাদের স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ থাকে এবং অভিশাপ দেয় বেশী বেশী করে ।
আবার এও বলেছেন যে , দুনিয়াতে কোন মানুষকে যদি অন্য মানুষের সেজদা করতে হত তাহলে স্ত্রীদেরকে বলা হত তাদের স্বামীদের সেজদা করতে ।
নবীপত্নিরাও যে দুনিয়াবী চিন্তাচেতনার বাইরে ছিলেন না তা পবিত্র ক্বুরআনে এসেছে - এমন ভাবে যে নবী তার একস্ত্রীকে একটা কথা বললেন , তা সে আরেকজনকে বলে দিল । পরে আল্লাহ ওহী মারফত নবীকে তা জানিয়ে দেন । নবীজী পরে তাদেরকে বলেন যে তারা যদি দুনিয়াবী জিনিস কামনা করে তাহলে উনি তাদের তা দিয়ে বিদায় করে দেবেন । ( কোন সূরা তা মনে আসছে না - আল্লাহই ভাল জানেন , আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন)
শয়তান তাকেই ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে যার মনে কুচিন্তা থাকে ।
বাঁকা হাঁড়কে কি প্রহার করা যাবে (ক্বুরআনে কিন্তু একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে প্রহার করার কথা বলা আছে)?
ঐশির মতো নারি তো থাকবেই এই সমাজে। তবে আমার কথা কিন্তু মুসলিম নারি দেরকে নিয়ে। ঐশিদের মতো কে নিয়ে নয়।
এই কথাটি খুবই উপযুক্ত হোয়েছে ভাইয়া>
শয়তান তাকেই ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে যার মনে কুচিন্তা থাকে ।
আর বাকা হাড়কে প্রহার করা যায় তবে তার অনেক শর্ত আছে। আর সর্বপরী কথা হচ্ছে একজন সঠিক মুসলিম নারি হলে তাকে প্রহার করার কোন মানে আছে কি?
অথবা উত্তর এই হাদীসটি ও হতে পারে>
নবী হজরত মোহাম্মদ সা.-ও বলে গেছেন – নারী পাজরের হাড়ের মত। বেশী সিধা করতে যেও না। ভেঙে যাবে। ধীরে ধীরে তাকে মনের মত করে নাও। Train her, advise her. (হাদীছ)।
আমি কিন্তু বেশি কিছু জানি না, ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন।
আপনাকে অনননননেক ধন্যবাদ।
উপরে দেখুন প্লিজ
ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান লেখাটি ভাল লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আমারো প্রিয়ো বিষয়, এই তিনটি কিন্তু, একটি এখন
নিশ্চই আমাদেরকে সম্মান করতে হবে যে গর্ভ থেকে আমরা পৃথিবী নামক গ্রহতে আলোর মুখ দেখেছি।
আপনাকে অননননননেক ধন্যবাদ
আপনাকে অননেনেনেক ধন্যবাদ।
অননেনেেনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্টসের জন্য।
কয়জনে মানে? অনেকে নারীদের একেবারে সোজা করার কাজে ব্যস্ত অনেকে একেবারে ছেড়ে দিয়েছে।
আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুবই ভালো লাগলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন