আপনার ফূটবল উন্মাদনাঃআমার কিঞ্চিৎ চুলকানি!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২১ মে, ২০১৮, ১২:১৮:০৭ দুপুর
সন্ত্রাসী ইহুদীবাদ ইজরাইলের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি লোককে আমি ঘৃণা করি,ঘৃণা করে আমার সমজ, ঘৃণা করে আমার আমার দেশ, প্রচণ্ড ঘৃণা!
এই ঘৃণা, ধর্ম কিংবা বর্ণভেদের জন্য নয়।
এই ঘৃণা মানবিকতার পক্ষের ঘৃণা,
এই ঘৃণা সন্ত্রাসবাদ জন্মানোর ঘৃণা,
এই ঘৃণা ফিলিস্তিনির নিষ্পাপ শিশুদের রক্ত ঝরানোর ঘৃণা!
আশ্চর্য হবেন না প্লিজ,
আপনার প্রিয়(!)তারকা প্লেয়ার নেইমার কিংবা মেসিও কিন্তু সেই ঘৃণ্য তালিকার একজন!
মেসি বলেন আর নেইমার বলেন,২টাই সন্ত্রাসী ইজরাইলের গ্লোবাল মার্কটিং স্পন্সার!
গুগলে খুঁজে দেখলাম, ২টায় ইহুদিদের একাদিক কোম্পানির স্পন্সার করে।
ইহুদিবাদি ইজরাইলের একটি টেকনোলোজি কোম্পানি "ব্লককেন টেকনোলোজি" নামের একটি ব্রান্ড সম্প্রতি তাদের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়গ দিয়েছে লিওনেল মেসিকে।
নেইমার? অসংখ্য ইহুদী অর্গানাইজেশনের সাথে উথপ জড়িত।
আরবের মদখোর জুব্বাপরা বাদশাহ গুলোতো রীতিমতো ইজরাইলের নৈশ্যিক আতিথেয়তায় পরিণত হয়েছে,
আমি অনেক বেশি ঘৃণা করি এসব ধর্মীকতার বেশধারী ভণ্ড গুলোকে!
নারী-শিশু গণহত্যা থেকে শুরু করে দুনিয়ার এই ভূখণ্ডে এমন কোনো জঘন্যতম কূ-কর্ম নেই,যেটা ইহুদী দেশ ইজরাইল করেনি!
শুয়োরের জাত ইজরাইলি সেনাদের হামলায় "সম্প্রতি ৬৫জন ফিলিস্তিনী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন আমেরিকান ইহুদীদের কয়েকটি সংগঠন,তারা নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার পাশাপাশি ইজরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পৃথিবীবাসির প্রতি আহবান করেন"
বুঝতে পারছেন তো?
ওরাও মানুষ,আমরাও মানুষ(?!)
দেশ কিংবা ধর্মে নয়, প্রার্থক্য ওদের সাথে আমাদের বিবেকের!
মনে করার প্রয়োজন নেই যে, আমি খেলাধুলা বিদ্ধেসী লোক, খেলাধুলা উপভোগ করিনা।
না,আমিও খেলা দেখি,উপভোগ করি,তবে আপনার মতো বিদেশী তারকাদের জার্সি পরে, মানবিকতার প্রশ্ন উপেক্ষা করে, আর ভিনদেশীদের পতাকা টাঙ্গিয়ে উন্মাদিত হয়ে নয়,
আমি খেলা উপভোগ করি বিনোদনের জন্য যতোটুকু প্রয়োজন, জাস্ট ততোটুকুই।
মনে রাখতে হবে, "খেলাধুলা বিনোদন এগুলো আত্মার খোরাক, যেনো উন্মাদনায় পরিণত না হয়।"
আমাদের, হাসি, আনন্দ, উচ্চাস, উদ্দীপনা আর মৌল সমর্থন হয় জেনো, সত্য-সুন্দর-আর মানবিকতার পক্ষে...........
বিষয়: বিবিধ
১১৬১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নেইমার, মেসির সব কিছু আমার ভাল লাগবে তার কোন মানে নেই । আবার তাদের সব কাজই যে খারাপ লাগবে সেটাও না। তাদের খেলার জন্যই তাদের নাম ডাক এবং এজন্যই তাদেরকে ভাল লাগে।
তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের এই খেলা যেন আমার ধর্মের চেয়ে বা শরিয়তের চেয়ে বড় হয়ে না যায়।
আগে বিশ্বকাপের খেলা খুব টেনশন নিয়ে দেখতাম। প্রিয় দলের খেলা থাকলে সে দিন খুব টেনশনে থাকতাম। রাত জেগে খেলা দেখতাম কখনও কখনও ।
পরে যখন দেখলাম যাদেরকে এত পাগলের মত সমর্থন করি তারা আমার দেশটার নামও জানে না - তখন নিজেকে খুব ছোট মনে হয় ।
কি দরকার অন্যের জন্য গলা ফাটিয়ে , টেনশন করে , মারামারি করে , আত্মহত্যা করে ? এসবের কি কোন মানে আছে ? এত পাগলামি তো মনে হয় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাতেও করে না তাদের দেশের মানুষেরা। আমাদের দেশে বুয়েটের মত শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপিঠ বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ক্লাস বর্জন করে। এরকম কি যে দেশে বিশ্বকাপ হয় তারা কি করে ? প্রতিটা বাড়ির ছাদে সাপোর্ট করা দেশের পতাকা উড়তে থাকে।
যদি আমার দেশ কখনও বিশ্বকাপ ফুটবলে কোয়ালিফাই করে তখন না হয় এসব পাগলামি মানা যায় , অন্য দেশের জন্য পাগলামি করা অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন