বুক রিভিউঃপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০২:২৭:৫১ দুপুর
থাকে বিশ্বাস,থাকে সংশয়,থাকে প্রশ্নও!
আর এসকল প্রশ্নের উত্তর নিয়েই,
"প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"
বইয়ের নাম: প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক: আরিফ আজাদ
প্রকাশনী: গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৭৬
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা
ঘুটঘুটে অন্ধকার। নীরব। নিস্তব্ধ।
হঠাৎ কোথেকে যেন উদয় হলো আলোর ঝরনাধারা। সেই আলোয় পরিশুদ্ধ হচ্ছে শহর-বন্দর-গ্রাম। ভেসে যাচ্ছে নর্দমা আর নোংরা আবিল। কিন্তু ব্যাপারটা কারও কারও সহ্য হলো না। যে-অন্ধকারে তারা ছিল, সবাইকেই তারা ধরে রাখতে চাইল সেই অন্ধকারে। লেজকাটা শেয়ালের মতো সবাইকে যার যার লেজ কেটে ফেলার “সু”পরামর্শ দিল। বিশাল এক কালো থাবায় ছেদ পড়ল আলোর গতিধারায়। ধীরে ধীরে আবার বাড়তে লাগল নিকষ অন্ধকার।
এমনই এক শঙ্কুল সময়ে এগিয়ে এলেন একজন। আজাদ করার ব্রত নিয়ে নামলেন সাদা পাতার কালো হরফে। সরাতে লাগলেন নতুন করে গজিয়ে ওঠা জঞ্জাল; এবং কালো থাবার অশনি।
সাজিদ। নতশির। একসময় নত হতো কথিত বিজ্ঞানমনস্কতার নামে ভ্রান্ত বিশ্বাসের পদতলে। সত্যের সন্ধান পেয়ে আজ নত হয় মহান স্রষ্টার সমানে। শুধু নত হয়েই ক্ষান্ত হয়নি; যে-মশালের সন্ধান পেয়েছে, সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে আপনজনের কাছে: কখনো মুসলিম-অমুসলিমদের ভ্রান্ত ও ঊনধারণার মুণ্ডুপাত করে, কখনো মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মুসলিমদের সংশয় নিরসন করে।
ইসলাম নিয়ে নাস্তিক আর সংশয়বাদীদের মৌলিক প্রশ্ন হাতে গোনা। বেশিরভাগই ইসলামের শত্রু আর বিদ্বেষীদের থেকে ধার করা। এগুলো যেমন ছিল ১৪ শ বছর আগে, তেমনি জিইয়ে আছে আজও। এসব নিয়ে কাজ হয়েছে প্রচুর—দেশে। বিদেশে। আরিফ আজাদের স্বকীয়তা এখানেই যে, তিনি এগুলো তুলে এনেছেন গল্পের ধাঁচে। আকর্ষণীয় ঢঙে। সহজ ও সাবলীল ভাষায়। প্রাসঙ্গিক যুক্তি আর প্রতিতুলনার সন্নিবেশে।
এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, কৌতুক, যুক্তি, কুর’আন, গবেষণা আর অনেকখানি ইসলাম।
পড়তে পড়তে কখনো টেনশন জাগবে। সাজিদের নীরবতায় জ্বলুনি হবে। এরপর সে যখন বলা শুরু করবে তখন হা হয়ে বসে থাকতে হবে। কখনো কিছু কথা মাথার উপর দিয়ে যাবে। কিছু অন্তর ভেদ করবে। সত্যকে টেনে তুলবে। ভেলকিবাজি দেখিয়ে দেবে। মুখোশ, ডবালস্ট্যান্ড উন্মোচন করবে। কিছু জায়গা পড়তে পড়তে ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠবে এক চিলতে হাসি। আল্লাহ চান তো, কখন যে সরে যাবে কালো থাবার গ্রাস খেয়ালই থাকবে না।
এ ধরনের বইয়ের আরেকটি দিক হচ্ছে, কারও কারও জন্য দুটো প্রশ্নের উত্তর যথেষ্ট, কারও জন্য দশটি, কারও জন্য বা দু শটিতেও হবে না। তারপরও বাঙালি “মুক্তমনা” চর্চাকারীরা সাধারণত যেসব অজুহাত তুলে ধর্মকারী করে, সেগুলোর গোছানো উত্তর পাওয়া যাবে এখানে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একসময় সংশয়বাদী ছিলাম বলে, বইটার আবেদন ও প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি লেগেছে আমার কাছে। বইটার মূল উদ্দেশ্য ভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়া হলেও, আমি চাই না বইটার জবাবে কোনো নাস্তিকের দাঁত ভেঙে যাক। আমি চাই না বইটা পড়ে কোনো সংশয়ী অপদস্থ হোক। আমি চাই তারা হতবাক হয়ে যাক। বাকশূন্য হয়ে যাক। তাদের সামনে উদ্ভাসিত হোক সত্য। যে-কালো থাবা আড়াল করে রেখেছিল আলোর চ্ছটাকে, আমি চাই সেই থাবা অসহায় হয়ে পড়ুক আলোর ঝরনাধারার কাছে। বইটা হোক উঠতি, পাতি, উদীয়মান কিংবা ওয়ানাবি নাস্তিক, সংশয়বাদী আর ইসলামবিদ্বেষীর বটিকা। হয়ে উঠুক সত্যের অনুসারীদের পালে নতুন তূণ। প্রত্যেক মুসলিম হোক একেকজন #সাজিদ, #সাজিদা।
সত্যের অবগাহনে সিক্ত হয়ে সবাই উড়ে বেরাক জান্নাতের বাস্তব ভুবনে, এই আশায়…
বইটি নিয়ে কিছু অপপ্রচার!
কিছু মানুষ আছে, যাদের কে সত্যের পথে ডাকা হলে তারা ২ কান বন্ধ করে না শোনার ভান করেন,
তাদের সামনে সত্য উদ্ঘাটিত হলে তারা চক্ষুদ্বয় বন্ধ করে, না দেখার ভান করেন।
অতঃপর তারা সেই সত্যকে বিতর্কিত করার জন্য লেগেপড়েন!
"প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"ও বাদ যায়নি তাদের অপপ্রচারের অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে!
ফেসবুকে "বিজ্ঞানের মায়েরে বাপ" নামের একটা পেজকে ব্যবহার করে আসিফ মহিউদ্দিন এবং তার দোষরেরা সম্প্রতি এমন একটা হিনচেষ্টা করছেন।
সেখানে তাদের একটা পোষ্টে আমার সাথে কিছু তর্কে তারা পরাজিত হয়ে লেজ গুটিয়ে ফেলেন।
অনেক বিনোদন উপভোগ করলাম,নিচে কিছু স্কিন শর্ট দিলাম,
এটা হলো তাদের পেজের স্ট্যাটাস।
"সত্য যখন মিথ্যার সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যায়।"
আল কোরআন
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন