আজ বিশ্ব হিজাব দিবস!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৪:০০:১৮ বিকাল
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে ১ ফেব্র“য়ারি ‘বিশ্ব হিজাব
দিবস’ হিসেবে পালনের পরিকল্পনা করেন
নিউইয়র্কের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাজমা খান। তার নিজস্ব চিন্তা ও পরিকল্পনার ফল এ দিবস।
নাজমা খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বপ্রথম
হিজাব দিবস পালনের পক্ষে প্রচার চালান। এর
ধারাবাহিকতায় মুসলিম দেশগুলোতে দিবসটি পালনের
প্রচলন শুরু হয়। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কের মূল অনুষ্ঠান হবে সিটি হলে।
বিগত বছর গুলো ধরে ধারাবাহিকভাবে পালিত হচ্ছে
দিবসটি। ধর্মের প্রতি মানুষের পারস্পরিক
সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও হিজবা বা বোরকা পরিধান বৃদ্ধির
লক্ষে এ পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
হিজাবের ব্যাপারে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠাই এর উদ্দেশ্য।
চলমান পরিস্থিতিতে ধর্মীয় সম্প্রীতির ব্যাপারটিকে আরও বেগবান করার অভিপ্রায়ে যারা মুসলমান নন, তাদেরকেও এদিন হিজাব পরার আহ্বান জানানো হয়েছে। দিবসটির প্রবক্তা নাজমা খান মনে করেন,হিজাব নারীর মর্যাদার প্রতীক। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি কাজ করেন বলে জানান।
বিশ্ব হিজাব দিবসে হিজাব প্রসঙ্গে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ওবামার উপদেষ্টা ড. ডালিয়া মুজাহিদের
বক্তব্যটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামি হিজাব ও শালীন
পোশাক পরিধান করার কারণে সাংবাদিকরা তাকে গভীর
বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করেছিলো, আপনার বেশ-ভূষা ও
পোশাক পরিচ্ছদের মধ্যে আপনার উচ্চ শিক্ষা ও
জ্ঞানের গভীরতা প্রকাশ পাচ্ছে না। তাদের ধারণা
ছিলো, হিজাব অনগ্রসরতা, মূর্খতা ও সেকেলে ধ্যান-ধারণার প্রতীক।
উত্তরে তিনি বললেন,
আদিম যুগে মানুষ ছিল প্রায় নগ্ন। শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার
উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিধান করে
সভ্যতার উচ্চ শিখরে আরোহণ করতে থাকে। আমি যে পোশাক পরিধান করেছি, তা শিক্ষা ও
চিন্তাশীলতায় উন্নতি ও সভ্যতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।নগ্নতা ও উলঙ্গপনাই যদি উন্নত শিক্ষা ও সভ্যতার চিহ্ন হতো, তাহলে বনের পশুরাই হতো পৃথিবীর
সবচেয়ে সুসভ্য ও সুশিক্ষিত।
বিষয়: বিবিধ
১১২৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই হিজাব কি ঠিক আছে ?
এখন আর এইসব ভাবতেও ভাল লাগেনা!
এখন দেখি আমাদের বিভেক এক ধেনো হয়ে গেছে!
মনে রাখবেন, বেশি কট্টর হওয়া যেমন ইসলামের প্রসারের জন্য ক্ষতিকর, আবার বেশি উদার হওয়ার ফলে ইসলাম প্রসার হলেও তাঁর মৌলিকত্ব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হারিয়ে যায়। এখন তাঁর হারটাই বেশি। এই হিজাব দিবস নিয়ে যথেষ্ঠ ঘেটেছি। তাই আমাদের মন্তব্যগুলোকে শুধুই সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা না ভাবলেই খুশি হব।
উনি তাদের পতাকাবাহী হিজাব পরেছেন, এখানে হয়তো উনার কোনো হিকমাহ্ থাকতে পারে।
যেমন,আমরা আমেরিকা পাশ্চাত্য সমাজের মুসলিমরা যথেষ্ট দেশপ্রেমিক, আমরা ধর্মের পাশাপাশি দেশকেও অনেক ভালোবাসি।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা তৃতীয় বিশ্বের কিছু লোক সেটাকে ভালো মনে করতে পারনা। একটা সমাজ কিংবা সভ্যতার পরিবর্তন হুট করে হয়ে যায়না, পর্যায় ক্রমে আস্তে আস্তেই হয়।
আজকে যারা হিজাব গ্রহন করছে,আগামীকাল তারাই ইসলামি শরিয়ার পর্দাটা গ্রহন করবে ইনশাআল্লাহ।
আর আমি উগ্রতা পন্থানুসরণ করিনা,মধ্যপন্থা হয়ে থাকতে ভালোবাসি, সেটা সর্ব ক্ষেত্রে।
আপনার মূল্যবান মতামতটি পেশ করার জন্য, আন্তরিক মোবারকবাদ!
জাজাকাল্লাহ খায়রান............
০ আমেরিকাতে যেসব মুসলমানেরা আছেন তারা প্রায় ৯৫% ই ইমিগ্রেন্ট । এদের মত বাংলাদেশীরাও আছে । এরা আমেরিকাতে এসেছে এখানকার জৌলুস ও চাকচিক্যপূর্ণ জীবন যাপনের আসায় । ধর্মকে চর্চার জন্য নয় । আর নিজের দেশের নাগরিকত্বকে লাথি মেরে তারা আমেরিকার গ্রীন কার্ড হাতিয়েছে ।
এরকম মানসিকতার মানুষের মুখে দেশপ্রেম (সাবেক দেশ) ও ধর্মের প্রতি ফ্যাসিনেশনের কথা শুনলে বলতে ইচ্ছে করে - ভাই , থামলে ভাল লাগে।
হ্যাঁ , আপনারা দেশকে ভালবাসেন তবে সেটা আমেরিকা । বাংলাদেশ অবশ্যই না।
আল্লাহ সোবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক!
আমিন
নাজমা খানের নিজের বক্তব্য শুনুন।
https://islamqa.info/en/217241
মন্তব্য করতে লগইন করুন