জামায়াত কর্মীঃআবুল কাশেম!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ০১:২১:৩০ দুপুর
জামায়াত কর্মী কাশেম আংকেল.
পেশায় তিনি দিনমজুর.
.
তিনি বাজারে আসলেই তাকে দেখে আ,লীগের নেতাকর্মীরা চায়ের দোকান থেকে পালাতে বাধ্য হন.
.
কারণ তার কথার সাথে যুক্তিতে কেউ পারে না এবং তিনি সত্য কথা গুলো টপটপ করে মুখের উপর ই বলে ফেলেন.
.
কাশেম আংকেলের পড়াশুনা একেবারেই নেই বললেই চলে.
কিন্তু তিনি প্রতিদিন Ntv ও BBC বাংলার খবর শুনবেন ই শুনবেন.
.
এইতো সেদিন এর ঘটনা,
ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি রাজু মন্ডল কাশেম আংকেল কে ডেকে বলতেছিলেন,
কি রে তুই নাকি বেশি বাড়াবাড়ী শুরু করছোস?
দাঁড়াও থানায় তোর নামটা পাঠাচ্ছি.
কাশেম আংকেল রাজুর মুখের উপর ই বললেন,
শোন রাজু আমার বাড়ীতে যদি পুলিশ এসে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাহলে তোর ও বাঁচন নাই কিন্তু একদিন না একদিন তো জেল থেকে বের হবই তখন সবগুলোরে আমি একাই কচুর মত কাটব.
কথাটা শুনে রাজু বললেন,
আরে এমনিতেই বললাম কিছু মনে করিস না.
.
কাশেম আংকেল এর সাহস এর কথা ইউনিয়ন জামায়াতের সবাই প্রায় জানেন.
হটাতই ২ দিন থেকে বাজার মসজিদে কাশেম আংকেল কে নামাজে দেখা যাচ্ছে না.
ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর বাদশা স্যার বিষয়টা লক্ষ করলেন এবং খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে কাশেম আংকেল ২ দিন যাবত প্রচন্ড জ্বরে ভুগছেন.
পরের দিন সকালে বাদশা স্যার কয়েকজন জামায়াত কর্মীকে নিয়ে কাশেম আংকেলের বাড়ীতে আসলেন এবং দেখলেন কাশেম আংকেল প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছেন.
বাদশা স্যার কাশেম আংকেলের পাশে বসে তার মাথায় পানি ঢাললেন ও তার চিকিত্সার জন্য ২ হাজার টাকা দিলেন এবং পরিবারের খোঁজ খবর নিলেন.
ফিরে আসার সময় অঝোড়ে কেঁদে কেঁদে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করলেন.
কাশেম আংকেলের ভাই ঘোড় আ,লীগ হাকিম আঁড়াল থেকে দেখছিলেন যে বাদশা স্যার কি করেন.
দোয়া শেষ হওয়া মাত্রই হাকিম বাদশা স্যার এর কাছে এসে স্যার কে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
স্যার আমাকেও আপনাদের জামায়াতের ফরম দিন আমিও আপনাদের আন্দোলনে শরিক হব.
যে সংগঠনের ইউনিয়ন সভাপতি একজন অসুস্থ কর্মীর মাথায় পানি ঢালতে পারেন ও তার সুস্থতার জন্য চোখের পানি ফেলতে পারেন তারা কখনোই খারাপ হতে পারেন না.
হে আল্লাহ এই সংগঠন কে হেফাজত করুন.
আমিন.
বিষয়: বিবিধ
৯৯৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
****
শোন রাজু আমার বাড়ীতে যদি পুলিশ এসে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাহলে তোর ও বাঁচন নাই কিন্তু একদিন না একদিন তো জেল থেকে বের হবই তখন সবগুলোরে আমি একাই কচুর মত কাটব.
চাচার এ জবাবটা কতটা ইসলামিক। খেলাফতে গেলে কি করবেন আপনার চাচা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন