২৮শে অক্টোবর;ইতিহাস ঘৃণ্য এক দল হিংস্র পশুর লগি বৈঠার তান্ডব!!! =============================
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০২:৫৭:৫৭ দুপুর
২৮শে অক্টোবর ২০০৬। রাজধানী ঢাকার জাতীয়
মসজিদ বায়তুল মোকাররম এবং তৎসংলগ্ন পল্টন এলাকা।
মানবতার দুশমন ইবলিশের অনুসারী রাম-বাম ১৪ দল
নামের লগি-বৈঠাধারী সশস্ত্র হায়েনারা ঝাঁপিয়ে
পড়েছে ইসলাম প্রিয় জনতার উপর। সে এক ভয়াল
নৃশংসতম দৃশ্য ভেসে উঠছে টিভি পর্দায়।
পেত্নীর(নেত্রীর) নির্দেশ পালনার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেলগি-বৈঠা দিয়ে, আঘাতের পর আঘাত হানছে, বন্দুক
দিয়ে পাখির মত গুলি করছে, বোমা নিক্ষেপ
করছে সন্ত্রাসীরা, আহত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে আমার ভাইদের, নিহতদের খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
দেহ তেতলে দেয়া হচ্ছে, লাশের উপর
নৃত্যোল্লাস করা হচ্ছে। প্রভু এরা কি মনুষ্যপদবাচ্য হতে পারে! মিডিয়ার বদৌলতে বিশ্ব দেখছে আর
ধিক্কার দিচ্ছে। মানবতা বিরুদ্ধে এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে নয় বছর আগে।
পরপারে প্রভুর দরবারে হাজির হয়েছিলেন
আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা : শহীদ হোসাইন
মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম (স্টামফোর্ড
ইউনিভার্সিটি), শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া (ঢাকা
কলেজ) শহীদ সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম
(সরকারী তিতুমীর কলেজ) শহীদ জসিম উদ্দিন,
শহীদ মো.হাবিবুর রহমান, শহীদ আবদুল্লাহ আল্
ফয়সল (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) এবং আহত-পঙ্গু
হয়েছিল হাজারো ইসলাম প্রিয় জনতা। কি অপরাধ ছিল
তাদের? তারা তো কোন দখলদার ছিল না, চাঁদাবাজ ছিল
না, সন্ত্রাসী ছিল না। তারা গিয়েছিল জোট সরকারের
৫ বছরের ফুর্তি উপলক্ষে জামায়েতে ইসলামীর
আয়োজিত সমাবেশে। তারা চায় এ দেশে একটি
ইসলামী সমাজ কায়েম করতে। মানুষকে ভালবাসা
দিয়ে আল্লাহর পথে নিয়ে আসতে। তারা সুস্থ
দেহে আর ফিরে নি স্নেহময়ী মায়ের কাছে,
ফিরেছে লাশ হয়ে, শহীদ হয়ে।
“ভয় নেই, ভয় নেই শহীদ তোমরা হওনি
অন্তর্ধান,
দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দিয়েছো তাজা রক্ত
প্রাণ...
শহীদ হয়ে সাক্ষ্য দিলে দ্বীন কায়েমের পথে,
মরে গিয়ে বেঁচে আছো লক্ষ্য তরুণদের বুকে।”
“আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়
তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, তারা জীবিত;
কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।”(সুরা
বাকারা-১৫৪)
তাঁরা তাদের রবের পক্ষ থেকে রিজিক পেয়ে
থাকেন। (সুরা আলে ইমরান-১৬৯)
ওদের চলে যাওয়ার এই পথ নতুন নয়, এই পথে
চলে গেছে, হামিদ, শাব্বির, আইয়ুব, জাফর
জাহাঙ্গীর, বাকীউল্লাহ। ওদের পূর্বসুরী হযরত
হামজা (রা), হযরত ইমাম হোসাইন (রা)সহ লক্ষ লক্ষ
শহীদ। ওদের প্রেরণার উৎস বদর, উহুদ, কারবালা,
বালাকোট। আর নবতরে যুক্ত হল পিচঢালা রাজপথ
ঢাকার পল্টন। অবিনাশী সত্যের এই শহীদি
কাফেলার মিছিল কখনো থামবে না, চলতেই থাকবে।
বছর ঘুরে সেই কলংকিত দিন আজ আমাদের সামনে।
শহীদেরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, এখন
তাদের লালিত স্বপ্নের সোনালী সমাজ
কায়েমের দায়িত্ব আমাদের কাছে। শাহাদাত মুমিন
জীবনের কাম্য। কন্ঠকাকীর্ণ সেই রাজপথ
অনেক দীর্ঘ। তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে
হবে দৃপ্ত পায়ে। বাধা পাহাড় মাড়িয়ে পথ যতই বন্ধুর
হোক। স্বপ্নের সেই সমুদ্র পাড়ি জমাতে হবে
সমুদ্র যতই তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ হোক। মুলতঃ শাহাদাতের
মিশন ছাড়া তার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
পৃথিবীর কোন শক্তি শহীদি কাফেলা ইসলামী
আন্দোলনের জানবাজ লড়াকু সেনানীদের
পথযাত্রা রুখতে পারবে না। পারেনি নমরূদ, পারে নি
ফেরাউন। পারে নি ইয়াজিদ, পারবে না দেশে
দেশে তৈরী নব্য ফেরাউন-নমরূদের
প্রেতাত্মরা। শয়তানের দোসর বুশ-ব্লেয়ার-
শ্যারনরাও পারছে না। পারবেনা কোন
পাশ্চাত্যবাদীরা, সাম্রাজ্যবাদীরা, ব্রাক্ষèণ্যবাদীরা,
ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীরা। কারণ তারা মহান
আল্লাহর দরবারে যাওয়ার জন্য শহীদের পেয়ালায় চুমো দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন,
“সত্য-মুক্ত স্বাধীন জীবন লক্ষ্য ছিল যাদের,
খোদার রাহে প্রণ দিতে আজ ডাক পড়েছে
তাদের।”
বিষয়: বিবিধ
১০৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন