কিছু প্রশ্ন আজও উত্তর খুজে!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০৯:৫০ রাত
--ব্লগার হত্যার কথা উঠলেই ইসলামিস্টদের
নাম প্রথমে উঠে আসে কেন?
--ধর্ষন তো অনেক হয়েছে।তবে ধারাবাহিক
ধর্ষন TSC তে গিয়ে আটকালো কেন?
--শিক্ষকতো অনেক লাঞ্চিত হয়েছে।তবে
জাফর ইকবাল স্যারের লাঞ্চনায় এত
উন্মাদতা কেন?
--যুদ্ধ অপরাধীদের কথা উঠলেই জামাত-
শিবিরের নাম উঠে আসে কেন?
--গণতন্ত্রের কথা উঠলেই আওয়ামীলিগ এর
জয়জয়কার শোনা যায় কেন?
-মৃত ব্লগাররা নাস্তিক নাকি ধর্মবিদ্বেষী
নাকি ইসলাম বিদ্বেষী?
--মুক্তমনা মানে কি অন্যের অনুভুতিতে আঘাত
করা?
--কমার্সে পড়ুয়া ব্লগার কিভাবে
বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক হয়?
--নাস্তিক আর ইসলাম বিদ্বেষী কি একই
জিনিষ?
--মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলেই আওয়ামীলিগ এর
জয়জয়কার।তবে কি যুদ্ধের সময় শুধু
আওয়ামীলিগ এর নেতা কর্মীরা যুদ্ধ
করেছিল?
--ইন্ডিয়া আমাদের দেশের জন্ম দিছে নাকি
পাকিস্তান ভিক্ষা দিছে?
--মৃত ব্লগাররা নাকি সবাই মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাধারী।তবে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
ছিল শুধুই ধর্মকে গালাগালি করা???
বিষয়: বিবিধ
১১৬৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাথায় কত প্রশ্ন আসে
দিচ্ছেনা কেউ জবাব তার...
জবাব পেতে অনেক পড়তে হবে
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
০ কারণ ইসলামিস্টরা হচ্ছে কেষ্টা বেটা
এদের দোষ না দিলে তখন দোষীকে খুঁজে বের করতে হবে । আরাম আয়েশপ্রিয় ডিবির লোকেরা এত কষ্ট করতে চায় না ।
০ প্রাচ্যের OXFORD এখন Sexford হয়ে গেছে । বাংলাদেশে সংগঠিত হেন কোন অপরাধ নেই যার সূতিকাগার ঢাবি নয় ।
০ নাটক , সিনেমা জীবনেরই প্রতিফলন । তবুও মানুষ নাটক দেখে , সিনেমা দেখে । আর যারা ভাল নাটক করতে পারে মানুষ তাদেরকে তারকা জ্ঞান করে । আর জাফর স্যারের মত অন্য শিক্ষকরা তো চেতনাধারী নন। জাফর স্যার যুদ্ধে যাবার জন্য যাও কিছু লেফট রাইট করেছিলেন , অন্যরা তো তাও করেছে কি না সন্দেহ।
০ কারণ ৭১ এ দল হিসেবে জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাই শুধু করে নি , হানাদারদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিল।
০ কারণ ৭০ এর নির্বাচনে এতদ অন্চলে তারা একক সংখ্যা গরিষ্টতা তো পেয়েছিলই এবং পুরো পাকিস্তানেই সন্মিলিতভাবে এগিয়ে ছিল । তবুও ইয়াহইয়া - ভুট্টো কাব যাব শুরু করে দিয়েছিল ।
০মৃত ব্লগাররা মানুষ ছিল । তবে তারা প্রকৃত মুসলমান ছিল না । আল্লাহ তাদের প্রাপ্য ফল তাদেরকে দেবেন ।
০ যেভাবে বুয়েটে পড়া স্টুডেন্ট কমার্স ২ বর্ষে পড়ে ! তাছাড়া ক্লাস নাইনে বিভাগ আলাদা হয়ে যাবার আগে তো সবার কমন সাবজেক্ট হিসেবে বিজ্ঞান ছিলই।
০ না এক জিনিস নয় । নাস্তিকদের কোন খাওয়া নেই । ইসলামবিদ্বেষীদের জন্য পশ্চিমা আপ্যায়ন সব সময়ই সচল থাকে ।
০ না আওয়ামী লীগের সাথে আরও অনেকে যুদ্ধ করেছিল । তবে সেই যুদ্ধ হয়েছিল কলিকাতার পার্ক স্ট্রীটে । ভীষন ছিল সেই যুদ্ধ । দুইপক্ষই সমান তালে লড়ে গিয়েছিল । পরিশেষে আওয়ামীলীগ নেতাদের হাত দিয়েই বিজয় আসে।
০ দেশ বিভাগের পর যতবার পাক-ভারত যুদ্ধ হয়েছিল একবারও ভারত জিততে পারে নি । তাই মাঝ মাঠ থেকে বাংলাদেশের টেনে আনা বলে গোল লাইনে পা ছুঁয়ে গোলটা নিজের নামে লিখে নিয়েছে।
২রা ডিসেম্বর ইন্ডিয়া যখন যোগ দেয় বাংলাদেশের সাথে ততক্ষনে পাকিস্তান বাহিনী প্রায় শেষ । এই কাবু বাহিনীকে বাংলাদেশীদের সহায়তায় হারিয়ে দিতে পেরেছে অতিরিক্ত সময়ে মাঠে নামা Fresh Leg মিত্র বাহিনীরূপী ইন্ডিয়া ।
শুরুতে মানে এপ্রিল-মে তে মাঠে নামলে বাংলাদেশ খুব বেশী হলে জুলাই অগাস্টেই স্বাধীন হয়ে যেতে পারতো যেখানে ২ সপ্তাহেই উনারা পাকিস্তান বাহিনীকে হারিয়ে দিয়েছেন বলে ক্রেডিট নিতে চান ।
৭১ এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্বের চৌকশ সেনাবাহিনীদের মধ্যে গন্য হত । একেবারে নিঃশ্ব , গেরিলা যুদ্ধ নির্ভর বাংলাদেশীদের কাছে মাত্র ৯ মাসে পরাজয় উনাদের জন্য প্রচন্ড অপমানের । সে অপমানের ঠেলায় আজও পাকিস্তান স্থিতিশীল হতে পারে নাই ।
আর এক সাথে থাকার সময় পশ্চিম পাকিস্তান পুর্ব পাকিস্তানকে শোষন করতো , তার দ্বারা লাভবান হত । এর মাধ্যমে তারা প্রভূত উন্নতিই করেছিল। সেজন্য বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিতে বা ছাড়তে কোনটাই চাইছিল না । সেজন্যই তো যুদ্ধ করেছিল । হেরে গিয়ে এখন অনেক কথাই বলতে পারবে । পাকিস্তানের ভাগ্য ভাল যে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যে ভারত আছে । না হলে যুদ্ধ জয়ের ফলে বিজীত দল পরাজিত দলের ব্যাপক জায়গা নিয়ে নেয় । সেটা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হয় নি বা বাংলাদেশের মানুষ এরকম মানসিকতারও নয় ।
০ যারা মুক্তিযুদ্ধে সন্মুখ সমরে গিয়ে লড়েছে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের চেতনাই মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা । কারণ শুধু কথায় তো আর চিড়ে ভেজে না । কাব যাব করে প্রতিপক্ষকে রাগানো যায় । সন্মুখ সমরে যুদ্ধে জেতা এতটা সহজ না । কঠিন এই কাজ করার জন্য বুকের পাটা সবার থাকে না ।
আর কে না জানে Burking Dog seldom bites
মন্তব্য করতে লগইন করুন