অনলাইনে প্রথম আলোর রাষ্ট্রদ্রোহী শিরোনাম নিয়ে আলোড়নঃ পার্বত্যসন্ত্রাস ইস্যুতে প্রথম আলোর ধারাবাহিক "তথ্য সন্ত্রাসী"! অন্দর মহলের খবর কী?!!! ==============================================
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০২:০২:৫৯ দুপুর
সম্প্রতী পার্বত্য চট্টগ্রামের
বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি স্বসস্ত্র গোষ্ঠীর
সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে পাঁচ জন
উর্দি পরিহিত জঙ্গি নিহত হবার জেরে বহুল
সমালোচিত বাংলা প্রথম আলো
পত্রিকাটিকে অস্বস্থিকর অবস্থায় দেখা
গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী নিহতের
ঘটনাকে, বহুল বিতর্কিত 'আদিবাসী' অভিধা
দিয়ে সংবিধান বিরোধী শিরোনাম করে
প্রচন্ড সমালোচিত হবার পর পত্রিকাটি
তাদের সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে পরদিন।
ব্যাখ্যায়, সংবিধানে 'আদিবাসী বলে কোন
অভিধা নেই' বলে স্বীকার করার পাশাপাশি
নিহতদের 'সন্ত্রাসী' পরিচয়কেও নিশ্চিত
করা হয়েছে।
প্রথম আলোর ওইদিনের পত্রিকায় নিহত
সন্ত্রাসীদের লাশ হস্তান্তরের খবরটির
শিরোনাম ছিলো, 'রাঙ্গামাটিতে
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর
গোলাগুলি- স্বজনদের কাছে পাঁচজনের লাশ
হস্তান্তর'। এমন শিরোনামের কিছু সময় পর
পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে গিয়ে দেখা
যায়, ফের শিরোনাম থেকে 'সন্ত্রাসী'
শব্দটিকে বাদ দেয়া হয়েছে!
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভেতর প্রকাশ্য উর্দি
পরিহিত জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে
সেনাবাহিনীর গোলাগুলির মাধ্যমে বিপুল
পরিমান অধ্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ
উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই মূলত চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়। এর পর পরই পার্বত্য ইস্যুতে
সংবিধান এবং দেশের অন্যান্য
মিডিয়াগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে
প্রথম আলো সহ ট্রান্সকম গ্রুপের সংবাদ
পরিবেশনের এই পুরাতন ধারাটিকে প্রচন্ড
সন্দেহজনক হিসেবেই দেখতে শুরু করেন
পর্যবেক্ষক মহল। ধারনা করা হচ্ছে এমন
একটি প্রেক্ষাপটেই পত্রিকাটিতে বারবার
শিরোনাম পরিবর্তণের মত এমন অস্বস্থিকর
অবস্থা প্রকাশ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় ভাবেই তার
অভ্যন্তরে কোন 'আদিবাসীর' উপস্থিতিকে
অস্বীকার করে। সরকারী ভাবে প্রায়ই
সংবিধান পরিপন্থী 'আদিবাসী' শব্দের
ব্যবহার না করতে এবং বিশ্বআদিবাসী দিবস
পালন না করতে বিশেষ ভাবে নির্দেশনা
প্রদান করা হলেও বেশ ক'বছর থেকে দেশে
প্রকাশ্যেই অনেকটা জাঁকজমক কায়দায় এই
আদেশ লংঘন করা হচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে
প্রতিবারই কতিময় নির্দিষ্ট ব্যাক্তি ও
বেসরকারী সংস্থার নামই উঠে আসছে।
উক্ত ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্মকান্ড দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওরা প্রকাশ্যেই দেশ বিভক্তির ইস্যুতে যথেষ্ট তৎপর!
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, প্রকাশ্যে যাদের দেশ বিরোধী অবস্থা এই,অন্দর মহলে নিশ্চয়ই ওদের ষড়যন্ত্র এর চেয়ে অনেক ভয়াবহ!
সুতরাং, সরকারের উচিৎ পার্বত্য চট্রগ্রামে রাষ্ট্র বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ইন্দন দাতা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায় পর্যন্ত সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ওদের বিচার কার্যক্রম শুরু করা!
রাষ্ট্রদ্রোহিতা মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনে ওদের আগামী প্রজন্মকেও যথাসম্ভব প্যাদানি দেওয়া উচিৎ!
মনে রাখতে হবে,সাপ মারার সাথে সাপের বাচ্চাটাও মেরে ফেলা উত্তম!
বিষয়: বিবিধ
১১১৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন