অপসংস্কৃতির বলি হচ্ছে দেশ! পরিত্রান পেতে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন এখুনি!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২৫ জুন, ২০১৫, ০৫:০৫:৩৩ বিকাল
ভারতীয় চ্যানেল,হুমকির মুখে আমাদের
সমাজ!
সামাজিক অবক্ষয়, সংসারে
অশান্তি,আত্মহত্যা,এ সবই প্রতিনিয়ত
ঘটে চলেছে কিছু পরসংস্কৃতি চর্চার
কবলে পরে।
বিশেষ করে স্টার জলসা নামক ভারতীয়
চ্যানেলের প্রতি আকৃষ্টতা বেশী
আমাদের দেশের নারী সমাজের।
কয়েক দিন পর পর নতুন নতুন সিরিয়াল বের
করে, আর সেই সিরিয়াল গুলোর চরিত্র
কিংবা পোশাক,কপি করতে ব্যাস্থ কিছু
তরুনী!
কয়েকদিন আগে ও বাজারে পাখি,ঝিলিক
নামক ড্রেস খুব জনপ্রিয় ছিলো
তরুনীদের মাঝে
বর্তমানে বাজার চাঙ্গা রাখছে কিরন
মালা!
প্রতিনিয়ত ই ঘটছে সংসারে অশান্তি।
এমন ও আছে ওই ড্রেস গুলো কিনে না
দেওয়ায় তরুনী আত্মহত্যা করেছে!
এ ছাড়া আমাদের পোশাক শিল্পে ও
পড়ছে বিরুপ প্রভাব,বেশীরভাগ
দোকানীদের অভিযোগ ক্রেতা ওই বিদেশী
পোশাক গুলোর প্রতি আশক্ত,তাই চাহিদা
ও অনেক বেশী।
নিজ দেশের পোশাক খাত যেখানে বিশ্বের
শীর্ষ স্থানে, সেখানে নিজ দেশের
পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে
তরুনীরা ঝুঁকছে সেই সব সিরিয়ালের
অভিনেত্রীদের পোশাক এর দিকে।
এতে করে দেশের ভাবমূর্তি খূর্ন হচ্ছে
বিশ্ব বাজারে।
কি আছে ওই নাটক গুলোতে?
এমন প্রশ্নের জবাবে কিছু নারীর কাছে
জানতে চেয়েছিলাম,উত্তরে তারা বললো
সংসারের অনেক কিছু জানা যায়।
এবার নিজে ই বসে পরলাম টিভির সামনে,
নাটকের নাম মা, ৩০ মিনিটের মধ্যে আমি
মায়ের কোন চিহ্ন দেখি নি শুধু প্রেম,
ভালবাসা ছাড়া।
নাটক এর নাম ভালবাসা ডট কম, এ আবার
কেমন ভালবাসা প্রতি সপ্তাহে ই
পরিবর্তন হয় প্রেম ভালবাসা।
কিরন মালা ভূতের নাটক,জাদুকর,অবাস্তব
কিছু চিত্র।
শিখার মধ্যে আছে শুধু কিভাবে সংসারে
শশুর, শাশুরির সাথে জগড়া সৃষ্টি করা
যায়,কি করে সংসারের হাল নিজে আয়ত্ব
করা যায়।
কিভাবে একটা সংসারে শান্তির মধ্যে
বিশ ঢেলে দেওয়া যায়।
পরসংস্কৃতি নির্ভর আমরা,যেখানে
ভারতে আমাদের চ্যানেল ভূলে ও দেখে
না,সেখানে সন্ধ্যা হলে সেই জলসা
প্রেমী এক শ্রেনীর ভন্ড রিমোট হাতে
নিয়ে দেখতে শুরু করেন অবক্ষয় গুলো।
এইতো সামনে ঈদ,পত্রিকায় নজর রাখলে ই
দেখতে পাবেন ভারতীয় ঐ ড্রেস কিনে না
দেওয়ায় তরুনীর আত্ম হত্যা!
এতে করে শুধু সে ই নিজের জীবন বিপন্ন
করছে না,সমাজকে করছে কলংকিত,পরিবার
হারাচ্ছে তার আদরের সন্তান কে।
এক অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রায় ৯৫ ভাগ
বাড়িতে ই সন্ধ্যার পরে দেখা মিলে
স্টার জলসার সেই অবাস্তব চমক
গুলো,বাহারী নাম,চমকপ্রদ পোশাক আর
অভিনয়তো নয় জেনো একটা সংসার
ভাংগার শক্তিশালী হাতিয়ারের কাজ
করছে সিরিয়াল গুলো।
আমাদের দেশের ওই সব মানুষগুলোর দেশ
প্রেম দেখলে মাঝে মাঝে নিজের ই ইচ্ছে
হয় তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়ে
ভিনদেশে পাঠিয়ে দেই।
আশ্চার্য ওরা ই দেশ প্রেম নিয়ে
মাতামাতি করে।
এবার আপনি ই বুঝুন কতটা ক্ষতিগ্রস্থ
আমাদের সমাজ,পরিবার!
কিছুদিন আগে পিনাক ছয় লঞ্চ ডুবি
হয়েছিলো, দূর্ভাগ্য হলে ও সত্য আমি
আমার এক আত্মীয়কে বলেছি আর সে
অবাক হয়ে গেছে,তার মানে সে জানে ই
না,টিভি শুধু স্টার জলসার মধ্যে ই
সীমাবদ্ধ!
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একদিন আর
আমাদের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব
হবে না!
আমরা পরসংস্কৃতি নির্ভর হয়ে যাবো।
আমাদের দেশে জনপ্রিয় মোশারফ
করিম,জাহিদ হাসান,হাসান
মাসুদ,সিদ্দিক,আখম হাসান,
তাহসান,রিয়াজ,নোবেলদের মত অভিনেতা
থাকা সত্তেও ওই পরদেশী ভ্রমরার
গুনগানে ব্যাস্থ আধুনিক তরুনীরা।
এর থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায়
মন,মানুষিকতার পরিবর্তন।
আমরা চাই না অন্যের শিল্প আমাদের
হুমকির কারন হয়ে দারাক!
তরুন সমাজের প্রতি আহ্বান জানাবো এসব
পরসংস্কৃতি ত্যাগ করার জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন