ধর্ম নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা যদি অপরাধ না হয় তবে ধর্ষন করা অপরাধ হবে কেনো? জাফর ইকবাল স্যারের জ্ঞানের পরিধি বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২৪ মে, ২০১৫, ১২:৩০:২৯ রাত
নাস্তিক ব্লগার হত্যা নিয়ে যখন
তোলপার তখন হঠাৎ করে ব্রেকিং
নিউজে ১০জন ইসলাম বিদ্বেষীকে হত্য
করার হুমকি দিয়ে চিঠি প্রদান করা
হলো এবং এ প্রসঙ্গে আমাদের
মহামান্য #জাফর_ইকবাল স্যার তার
ফেচবুকে ব্লগার অনন্ত, রাজীব,
অভিজিৎ এবং ওয়াশিকুরকে হত্যা এবং
নতুন করে ১০জনকে হত্যার হুমকি নিয়ে
তার বিশধ চিন্তা তুলে ধরেছেন।
তার মতে "ধর্মান্ধ মানুষই হোক আর
মুক্তচিন্তার মানুষই হোক সবার
দায়িত্ব কিন্তু সরকারের নিতে
হবে।" তিনি মুক্ত চিন্তা বলতে মৃত
ব্লগার রাজীব, অভিজিৎ এবং
ওয়াশিকুরের বিভিন্ন লেখাকে উধাহরন
দিলেন।
এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমে আমি
একটি প্রশ্ন করবো আর তা হলো মুক্ত
চিন্তার নামে যদি আমি অপরাধ করি
তবে কি আমার শাস্তি হবে না?
হ্যা একজন অপরাধী বা নিরপরাধী সকলের
দ্বায়িত্ত্বই সরকারের কিন্তু
আজকাল সরকার দ্বায়িত্ত্ব নেওয়ার
আগেই অনেক অপরাধীরা ক্রসফায়ার
খাচ্ছে ঠিক ধরে নিন অপরাধি ব্লগার
গুলোর উইকেটও ক্রসফায়ারের মতন
করেই পড়ছে।
ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করাটা যদি
মুক্ত চেতনা হয় তবে মাননীয় জাফর স্যার
আমি বলব যাকে তাকে ধরে ধর্ষন করাটাও
মুক্ত কর্মের মধ্য পড়ে।
মুক্ত চিন্তা মানে কি?- আমার যা
ইচ্ছা আমি তাই করবো, তাই বলবো এটা
তো মুক্ত চিন্তা। বিশেষ করে ইসলাম
ধর্মকে আঘাত করে বড় বড় নিতী বাক্য
মারবো- সেটাই কি মুক্ত চিন্তা?
আপনি ইসলাম ধর্ম কটুক্তিদের
সাপোর্ট করে তাদেরকে যদি
মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে
সার্টিফাইড করেন তবে আপনার মা,
বোনকে যদি কেউ রেপ করে তবে আমিও
তাকে মুক্ত কর্মের জন্য সার্টিফাইড
করলে আমার কি খুব বেশি অপরাধ হবে?
নিশ্চয় আমার আপরাধ হবে না- তাই না?
জাফর ইকবাল স্যার নিজে হয়ত জানে না
যে এই মৃত ব্লগার গুলো ব্লগে এবং
ফেচবুকে কি কি লিখে গেছে। এই মৃত
ব্লগার গুলো যে ইসলাম নিয়ে কতটা
বাজে বাজে কটুক্তি করেছে তা মনে
হয় জাফর ইকবালের চোখে পড়ে নাই।
জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন ," প্রথম
বিষয়টি হচ্ছে যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে
সবসময়েই তাদেরকে প্রথমে নাস্তিক
হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। আমি
সামাজিক নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট
ঘাঁটাঘাঁটি করি না, তাই কে কোন
ব্লগে কী লিখেছে সেটা আমি জানি
না। অনন্তকে হত্যা করার পর আমি
খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম
তাকে নাস্তিক বলার পেছনে আসলেই
কোনো কারণ আছে কী না। আমি যাদের
সঙ্গে কথা বলেছি সবাই আমাকে
জানিয়েছে অনন্তের লেখালেখি ছিল
বিজ্ঞান নিয়ে।"
তাহলে কি হলো? মি. জাফর ইকবাল
কিছু না জেনে না পড়েই, মৃত ব্লগার
গুলো কি লিখেছে বা ব্লগে কি
মুক্ত কর্ম করেছে তা না পড়েই
তাদেরকে নিরপরাধী মুক্ত মনের
মানুষের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছে।
যখন আপনার মা বোনকে কেউ ধষর্ন করবে
তখন আমিও কোন খোজ না নিয়েই
তাদেরকে মুক্ত কর্মের
সার্টিফিকেট দিয়ে দেবো। তাহলে
আমিও নিশ্চয় আপনার মত বড় মাপের
চিন্তাবিদ লেখক এবং বিশ্লেষক হয়ে
যাবো।
ধর্ম নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা যদি
অপরাধ না হয় তবে ধর্ষন করা অপরাধ হবে
কেনো?
ইন্টারনেট জগতে জাফর ইকবালের
জ্ঞানের পরিধীতিতে কি পরিমান
গোবর আছে তার লেখায় ফুটে উঠেছে যে
তিনি সামাজিক নেটওয়ার্ক বা
ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে না। আমি
মনে করি জাফর ইকবাল স্যারের
জ্ঞানের পরিধি বইয়ের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ।
যাই হোক সবাইকে বলবো খুব ভালো করে
মনে রাখবেন ধর্ম কখনো সন্ত্রাসের
জন্ম দেয় না। সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য
একমাত্র জাফর স্যারের মতন উসকানী
দাতারা এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই
দায়ী। যদি আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে
খারাপ কথা বলি তবে নিশ্চয়
হিন্দুধর্মের অনুসারীরা আমাকে আদর
করবে না ঠিক তেমনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে
কেউ খারাপ কথা বললে ইসলাম ধর্মের
অনুসারীরাও তাদরকে পূজা করবে না-
এটাই ঘটবে সবসময়।
আর হ্যা, যে ১০জনের হত্যার জন্য চিঠি
দেওয়া হয়েছে সবার সম্পর্কে আমি
জানি না যে তারা ইসলাম বিদ্বেষী
নাস্তিক কিনা তবে এর মধ্যে কয়েকজন
ইসলাম কটুক্তকারী ব্যাক্তি আছে।
টার্গেটকৃত ১০জনই যদি ইসলামের
কটুক্তিকারী হয় তবে আমি
টার্গেটকারীদের পহ্মেই অবস্থান
করবো!
আপনি নাস্তিক হবেন এটা আপনার
ব্যাপার কিন্তু নাস্তিক হয়ে ইসলাম
ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বলার অধিকার
খালেদা, হাসিনা কিংবা তার পুত্র
কিংবা কেউই আপনাকে দেই নি। অযথা
এই অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে
আপনার উইকেট পড়ার সম্ভবনা বেরে
যাবে ছাড়া আর কিছুই হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক্ষেত্রে বেশীর ভাগ সময়ই অশ্লীল ভাষায় আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রান্ত কারীকে মাইর দেয় এবং এটাই স্বাভাবিক । আর আশেপাশের কোন লোক এই মাইরকে না করে না । ''ঠিকই আছে'' - এরকমই বলে ।
মুসলমানদের কাছে তাদের ধর্ম , সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল 'আলামিন আল্লাহ ও নবীরা খুবই মান্যের এবং এ ব্যাপারটা খুবই সেনসিটিভ ইস্যু । এটা জেনে বুঝেও যারা অবিরামভাবে ধর্মের নামে নোংরা কথা চালিয়ে যায় তাদের জন্য এরকম ফল হওয়াই স্বাভাবিক ।
জাফর ইকবালদের মত যারা ৭১ এ লেফট রাইট করাটাকেই বেছে নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের বড় চেতনাবাজীর উপাদান হিসেবে , যারা সময় বয়স ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধে না গিয়ে এখন বড় বড় লেকচার মারছেন - এদেরকে অনুসরন করলে জাতির আর করে খাওয়া লাগবে না । আকাইম্যার ধাড়ি হয়ে বসে থাকতে হবে ।
মাঝেমধ্যে মনেহয় আপনি অধিকাংশ যায়গায় আমার সাথে একমত হতে সঙ্কোচ বোধ করেন!
আপনার জমির পাশে আমার জমি আছে কিনা?
মন্তব্য করতে লগইন করুন