গলায় কলঙ্কের ঢোল বিএনপি এতো ভোট কি করে পেলো?সময় যেন ইতর হইয়া উঠিয়াছে......
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ০৩ মে, ২০১৫, ০৯:২৪:৩৭ সকাল
নিজেকে গণমাধ্যম ব্যক্তি রূপেই পরিচয়
দিতে ভালোবাসেন আনিস। কিন্তু আনিসের
জন্য শিকে রাখা চেয়ারটি কিসের
বিনিময়ে সেই খবরটি দিয়ে রেখেছে
গণমাধ্যম। পড়েছেন কি? আসুন পাঠক আমরা
ভ্রমন করি আনিসের প্রিয় গণমাধ্যগুলো-
১।
‘প্রথম আলো- ‘জিতল আওয়ামীলীগ, হারল
গণতন্ত্র’,
২।
ইত্তেফাক-‘৫৫ কেন্দ্রে হামলা..’,
৩।
যায়যায়দিন-‘অবাদ দখল বর্জন’,
৪।
নয়াদিগন্ত-‘ভোট জালিয়াতির মহোৎসব’,
৫।
যুগান্তর- ‘ভোট ডাকাতির মহোৎসব’,
৬।
মানবজমিন-‘ডিজিটাল জামানায় এনালগ
কারচুপি’,
৭।
ইনকিলাব-‘নজিরবিহীন ‘অভিনব’ ভোট’,
৮।
সকালের খবর-‘নির্বিঘ্নে ভোট ছিনতাই’,
৯।
বাংলাদেশ প্রতিদিন- ‘দখল বর্জন
অভিযোগের ভোট’,
১০।
মানবকন্ঠ-‘অনিয়ম দখল সীল আর বর্জনে শেষ
হলো ভোট’।
আপনার জন্য সজ্জিত চেয়ারটি যে কলংকিত
তার প্রমান এই ১০টি মিডিয়ার রিপোর্ট। কি
বলবেন আনিস! যতদিন মেয়র থাকবেন ততদিন
কলঙ্কের এই ঢোল আপনার গলায় বাজবে
অত্যান্ত বিকট শব্দে। নিয়ে কত দির মেয়র
থাকবেন। চেয়ার বর্জন করবেন না গণমাধ্যম।
প্রশ্ন রইল।
তাবিথ আউয়াল ধনী ঘরের সন্তান
হয়েও সময়ের স্রোতে অন্যদের মতো গা
ভাসিয়ে ডিজে পার্টিতেই থাকার কথা
ছিলো। দেশে বিদেশের রঙ্গিন দুনিয়ায়
উদ্দাম নৃত্য না করে ফ্যাসিবাদ কবলিত এই
সময়ে রাজধানীতে ভোটের লড়াইয়ে অংশ
নিয়ে ক্রীড়া আর ফেইসবুকে নিমজ্জিত
তরুনদের জন্য রেখে গেলেন অভিনব দৃষ্টান্ত।
আর দক্ষিণে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর ইট
ছূঁড়ার তাজ্জব দৃশ্য অর্থ্যাৎ ইট কন্যার দৃশ্য
দেশবাসী দেখেছে। ঘৃণ্যতার সাথে বলতে
চাই, ভোটের মাঠে আফরোজা কে লক্ষ্য
করুন। ভোটের কথা দূরে থাক, মাথায় স্কার্প
পরে শালীন পোষাকে কখনো ভীড়ে কখনো
রৌদ্র বৃষ্টির মাঝে আফরোজার
আভিজাত্যময় চলন বলন শুধু যুব মহিলা লীগই নয়
আধুনিকতার নামে ইতর এই সময়ের জন্য
শিক্ষনীয় হতে পারে। নিজের অর্থ শ্রম আর
কষ্টের বিনিময়ে সেই দৃষ্টান্তই রেখে
গেলেন আফরোজা।
আমার ভাবনাকে উল্টো করে দিয়ে গণভবনে
প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভি ছিহ্ন দেখিয়ে
পোজ দিলেন আনিস খোকন। এই ভি ছিহ্ন
কিসের বিজয়, কি রকমের বিজয় বুঝিয়েছেন
জানি না। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত
হয়ে বলেছিলেন, ‘এতো মানুষ পোড়ানোর পরও
বিএনপিকে মানুষ ভোট দেয়, কারচুপি যদি
হয়েই থাকে এতো ভোট কি করে পেলো
তারা’ আমারও প্রশ্ন সেই জায়গায়, বিএনপি
এতো ভোট কি করে পেলো।
যে খানে ১২ টার আগেই ভোট বর্জন করা
হলো, যেখানে প্রশাসন, খোদ পোলিং
অফিসারের ভোট চুরি, হামলা, মামলাসহ
এতো অজাচারের পরও বিএনপির পক্ষে এতো
ভোট! না জানি সুষ্ঠু হলে কি হতো?
বিবেক
বুদ্ধি সম্পন্ন যদি কোন আওয়ামীলীগার
থেকে থাকে তাহলে এই চিস্তা করে অবশ্যই
আতঙ্কে দেশের সীমানা এখনিই পাড়ি
দিতো বাধ্য। আর খান আতাউর রহমান যদি
বেঁচে থাকতেন তিনি করতেন নতুন চলচ্চিত্র।
শেখ মুজবিুর রহমানের আমলে আওয়ামীলীগ
কর্মীদের বেপরোয়া লুটপাট ও গণচুরির
কারনে দিশেহারা 'বঙ্গবন্ধু' সেই সময়কার
বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খান আতাউর
রহমান কে অনুরোধ করেছেন একটি চলচ্চিত্র
নির্মানের জন্য। খান আতাউর রহমান একটি
ছবি করলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘‘আবার তোরা
মানুষ হও’’। ৫ জানুয়ারীর বিরোধী দল বিহীন
ও ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিয়েও পুরনো
অভ্যাস বদলাতে পারেনি আওয়ামীলীগ। চুরি
করেই ছেড়েছে। ভোটের এই দৃশ্য দেখে খান
আতাউর রহমান আজ তাঁর চলচ্চিত্রের কি নাম
দিতেন আমি জানি না।
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব মেগা সিটিতে (শুধু মেগা সিটিতেই না , সব জায়গাতেই) সরকার দলীয় লোক আসা উচিত এবং জনতারই সেভাবে মাইন্ড সেটআপ করা উচিত যে সরকারের লোক না আসলে তাদের চাওয়ার কিছুই পূরণ হবে না ।
ঢাকা ছাড়া অন্যান্য জায়গাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের প্রভাব কম না ।
ঢাকাকে কব্জায় রাখতে পারাটাই হচ্ছে এ দেশের রাজনীতির ঝান্ডা ধরে রাখা , কারণ ঢাকাতেই সব নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেড কোয়ার্টার। আওয়ামী লীগ সেটা পেরেছে , ভাল ভাবেই পেরেছে ।
বিএনপির ঢাকাতে না টিকতে পারার কারন হল বিএনপিরই সাবেক মেয়র খোকার চরম নিষ্ক্রিয়তা ও স্বার্থপরতা । ১/১১ এ সব নেতার হাপানী উঠলেও উনার উঠে নি । আর মির্জা আব্বাসের নিষ্ক্রিয়তার জন্য খালেদা তো মনে হয় তাকে ফাঁপড়ও দিয়েছিল ।
বড় লোক বাবার পূত্র তাবিথকে কেনই বা দাঁড় করালো বিএনপি সেটা যে তাদের রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা তা বলাই বাহুল্য।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন