ভোট চাইতে গিয়ে হামলার কবলে খালেদা ! স্বৈরাচারের নগ্নতা! ২৮- এ কি ৫ জানুয়ারীর চেয়ে বড় প্রহসন হবে তবে(?!!!)

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাকছুদুর রহমান ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৫২:৪০ সন্ধ্যা

টানা তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচনী

প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগ ও

ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার মুখে পড়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার

গাড়িবহর।

সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার পর

গুলশানের বাসা থেকে বেরিয়ে গুলশান ২,

বনানী, মহাখালী ফার্মগেট হয়ে কারওয়ান

বাজারে এলে খালেদার গাড়িবহর হামলার

শিকার হয়।

পেট্রোবাংলা ভবনের সামনে আওয়ামী

লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ডাবের

খোল ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে খালেদা

জিয়ার ‍গাড়ি বহরের কয়েকটি গাড়ি

ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় কয়েকজন আহতও হন।

ধাওয়ার মুখে এফডিসির সামনের রাস্তা

হয়ে মগবাজারের দিকে চলে যায় খালেদা

জিয়ার গাড়িবহর।

হামলার শিকার হওয়ার আগে

কারওয়ানবাজারে গাড়ি থেকে নেমে

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা ভোট ও ভাতের

অধিকার রক্ষার জন্য লড়ছি। আমাদের

প্রার্থী তাবিথকে ভোট দিন। আমরা

জিতলে সব গুন্ডামির জবাব দেওয়া হবে।

এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই খালেদা

জিয়ার গাড়িবহর হামলার কবলে পড়ে।

সংবাদ সূত্র: [ http://banglanews24.com/fullnews/bn/386804.html]

গণতন্ত্রের মূল ভিত্ত ভিন্নমত। সেখানে

কোন মতই সহ্য করা হচ্ছে না!!! রাজণৈতিক

সভ্যতা ভব্যতা হারিয়েছে রং হেডেড সময়

থেকেই ! এখনতো তাতে যেন মৌসুম চলছে!

যার যা মূখে আসছে তাই বলছে। তা থেকে

বাদ যাচ্ছে না- দেশি কেউতো বটেই এমনকি

বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ সহ সকলেই এ

আক্রমনের স্বীকার। তাতে দেশের

সম্মানের বাড়লো না কমলো তাও দেখার

ভাবার কেউ নেই!!!

সেই মৌখিক আক্রমন এখন সত্যিকারের

আক্রমনে রুপ নিয়েছে!

একটা জাতি ধ্ভংসে বা গৃহযুদ্ধের

পূর্বাবস্থায় নেয়ার লক্ষনগুলো যেন

ক্রমশ ফুটে উঠছে!

সরকার কি তবে চাইছে তাই হোক। তাদের

ভাষায় যদি বিএনপি জবাব দিতে শুরু করে

বা আক্রমনের জবাবে পাল্টা আক্রমন

শুরু হয় তা কি কল্যানকর হবে???

এই চরমপন্থার পথে সরকার কেন হাটছে?

অনির্বাচিত তাদের ভাস্য মতে

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে

যে সাজানো প্রহসনের নির্বাচন ৫

জানুয়ারী হয়েছে- অবস্থা দৃষ্টে মনে

হচ্ছে ২৮ তারিখ তারচে বড় কোন নাটক

অপেক্ষা করছে!

বিস্ময়কর বিষয়গুলো আমহনতার আড়ালেই

ঘটছে! পোলিং কর্মকর্তা পদে ঝাড়ুদার,

পাহারাদার, পিয়ন নিয়োগ দিতে গত ৪৩

বছরে কেউ দেখেছেন?

অথচ এবার নির্বাচন কমিশন তাই করেছে!

উল্টো নিয়োগপ্রাপ্তরা বিবেকের

তাড়নায় আমরা এই পদে কাজ করতে অক্ষম

বলে প্রত্যাহার পত্র দওয়ায় তা সংবাদ

হয়েছে তাও সীমিত পরিসরে!

আর সব শেষে আজকের সরাসরি হামলা!

এটাকি তিনি পদাধিকারী বলে প্রচারণায়

নামতে পারছেন না! অথচ খালেদা জিয়া

অবলীলায় সেই সুযোগ ভোগ করছেন- কেবলই

এই হিংসাজত নাকি গণতন্ত্রের কোমা

থেকে সত্যিই মৃত্যুপথযাত্রী তার

লক্ষন!!!!!

যেটাই হোক কোনটাই শুভ ফল বয়ে আনবে

না।দেয়ালে পিঠ ঠেকলে নাকি সকলেই

অস্তিত্বের প্রয়োজনে মরণ লড়াই করে!

সেই পথে যেন কাউকেই যেতে না হয় মধ্যম

পন্থায় চলার মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করাই

উত্তম। আর ক্ষমতাসীন হিসাবে দায়টা

সরকারের উপরতো অবশ্যই বেশি।

নাকি ১লা বৈশাখের কলংক মোচনে নতুন

ট্রাম কার্ড! যা খেলতে আওয়ামীলিগ খুবই

পটু! একটা বড় ঘটনা ঢাকতে তরচে বড় ঘটনা

ঘটাও মানুষ আগেরটা নিয়ে আলোচনা

করতেই ভুলে যাবে!

আমরা মন্দটা ভাবতে চাইনা। একজন ৩বারের

প্রধানমন্ত্রী গাড়ী বহরে হামলা কোন

সুস্থ স্বাভাবিক ঘটনা লক্ষন নয়। এর

প্রতিকার জরুরী। দেশের স্বার্থে।

গণতন্ত্রের স্বার্থে!!

"শুভ বুদ্ধির উদয় হোক"

বিষয়: বিবিধ

১১৩৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316078
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৫০
শেখের পোলা লিখেছেন : গনেশ একদিন উল্টাবেই৷ সেদিন আজকের ভুক্তভূগীরা সূদে আসলে অবশ্যই ফেরত নেবে৷ সাধু সাবধান৷
316092
২১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:০৭
মোঃ মাকছুদুর রহমান লিখেছেন : তাতো অবশ্যই!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File