মূসা (আ) এর নাম, একটি মৃত ভাষা ও কোরআনের অলৌকিক মু’জিযা( আল-কোরআনের ভাষাতাত্ত্বিক মু'জিযা)
লিখেছেন লিখেছেন নুমান আলী খান কালেকশন বাংলা ১৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:০৬:২১ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
মূসাকে হিব্রু ভাষায় মুশেহ বলা হয়...মূসা নয়। এটার মুশেহ এর প্রথমাংশ ‘মু’ এর অর্থ হল আরবী ‘মা’(=পানি)এর মত। মূসা অর্থ পানি, আর এক্ষেত্রে ইহুদিরা বলে মুসা শব্দটি হিব্রু। আমি বলি মূসা শব্দটি হিব্রু নয়। এটা হিব্রু শব্দ হতে পারে না। অথচ ইহুদিরা এটাকে হিব্রুই বলে।
আমি বলি শুনেন- সে কোথায় জন্মগ্রহন করেছিল?, মিশরে।
সে কোথায় বড় হয়েছিল?, ফিরাউনের প্রাসাদে।
তাঁর দায়িত্বে কে ছিল?, ফেরাউন।
তাহলে একজন নতুন শিশুকে কে নামকরণ করবে?...যে দায়িত্বে আছে সে নাকি চাকর-বাকররা?
অবশ্যই দায়িত্বরত ব্যক্তি।
তাহলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা কার ভাষায় নামরকণ করবে? প্রভূর ভাষায় নাকি চাকরদের ভাষায়?
অবশ্যই প্রভূদের ভাষায়। আর প্রভূদের ভাষা ছিল
মিশরীয়(ফিরাউনের রাজ্য), হিব্রু নয়।
কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন?...রাসূল(সা) এর জন্মের ৩ হাজার বছর পূর্বে মিশরীয় ভাষা বিলুপ্ত হয়েছিল। কেউ মিশরীয় ভাষা জানত না। সুতরাং রাসূল(সা)এর সময়ে কেউ যদি জিজ্ঞেস করত ‘মূসা’ অর্থ কী?...কেউ বলতে পারত না।(আমরা না হয় আধুনিক যুগে বাস করি এবং এজিপ্টলজি বা মিশরীয় হায়ারুগিলিফিক্স আবিষ্কারের কারণে এখন অর্থ বের করতে পারব...কিন্তু রাসূল সা এর সময়ে এটা জানা অসম্ভব ছিল)।
মুসা এর অর্থ কি এটা জানার আগে চলুন দেখি কোরআন কি বলে...সূরা কাসাস এর ৯নং আয়াতে আল্লাহ বলেন---
لَا تَقْتُلُوهُ عَسَى أَن يَنفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ 09
, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে #নতুন_পুত্র হিসেবে গ্রহন করে নিতে পারি।
‘মূসা’ শব্দটি মিশরীয় ভাষায় বলা হয় ‘নতুন জন্মপ্রাপ্ত’।
তার মানে লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয় কোরআন ‘মূসা’ শব্দের অনুবাদ করেছে ‘وَلَدًا’ বা ‘নতুন জন্মগ্রহনকারী শিশু’ হিসেবে...অর্থাৎ মূসা= নতুন জন্মগ্রহনকারী শিশু’ অথচ রাসূল (সা) এর সময় মিশরীয় ভাষা ছিল মৃত কিন্তু কোরআনে ঠিকই জানে এর অর্থ এবং ঠিক মিশরীয় শব্দের আরবী অনুবাদ আল্লাহ ব্যবহার করেছেন একজন নিরক্ষর ব্যক্তির মাধ্যমে যেই ভাষা কেউ তখন কেউ জানত না !!!!
আসিয়া তাকে মুসা নামে ডেকেছিল আর কোরআন সেই নামের অর্থেই ডেকেছে আরবীতে অথচ তখন ঐ ভাষা ছিল মৃত...কি সুন্দরভাবেই না আল্লাহর বাণীর অলৌকিকতা প্রকাশ করেন !!!!
এভাবে কোরআনে প্রায় ৫০টির বেশি অনারবী ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোরআন সেগুলোর নির্দিষ্ট অর্থ বের করে এনেছে অথচ আরবীরা তখন তাদের নিজেদের ভাষার শিল্পের উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার কারণে এবং অন্য কোন জাতি বা ভাষার প্রভাব না থাকার কারণ তারা অন্য ভাষা জানত না!! অথচ অনারবী সব নামকে আল্লাহ একজন নিরক্ষর নবীর মুখ দিয়ে পারফেক্ট অর্থ এনে দিয়েছে!! এটা ঐশীগ্রন্থ ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
37 Stunning Dazzling Miracles of The Holy Quran Kinetic Typography থেকে।
আমাদের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ - https://www.facebook.com/NAKBangla?ref=bookmarks
অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল(বাংলা ডাবিং ও সাবটাইটেল) - http://www.youtube.com/user/NAKBangla/videos
ভিডিও আর্কাইভ ১ম পর্ব – http://tinyurl.com/pybyl5q
মূল লিংক - https://www.facebook.com/NAKBangla/posts/1501262906794997
37 Undeniable Linguistic Miracles of Quran | Kinetic Typography | Nouman Ali Khan
http://www.youtube.com/watch?v=j-ULa2JzPG0
বিষয়: বিবিধ
২১৬২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন