ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমীর
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামের তলোয়ার ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:২৩:১৪ রাত
পীর সাহেব চরমোনাইর সংক্ষিপ্ত জীবনী
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) ১৯৭১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা দীর তীরে চরমোনাই গ্রামে বিখ্যাত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রহঃ) এদেশের সর্বস্তরের মানুষের পরিচিত শুধু নন; বরং সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। যিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের (বর্তমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)মুহতারাম আমীর ও আমীরুল মুজাহিদীন ছিলেন। তার পিতামহ মাওলানা সৈয়দ ইসহাক (রহঃ)ও এদেশের একজন সর্বজন বিধিত আলেম ও বুযুর্গ ছিলেন। হযরত পীর সাহেব চরমোনাই-এর প্রাথমিক শিক্ষা চরমোনাই আলিয়াতেই শুরু হয়। কিন্তু আলিয়ার ছাত্র হলেও প্রায়ই তিনি কওমীয়াতেই ক্লাস করতেন। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসাতেও তিনি কিছুকাল লেখাপড়া করেন। অবশেষে ১৯৯১ সালে চরমোনাই আলিয়া থেকে কামিল হাদীস ও বরিশাল সাগরদী আলিয়া থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। তিনি তাঁর পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রহঃ) থেকে ১৯৯৪সালে খেলাফত প্রাপ্ত হন। ঐ বৎসর চরমোনাইয়ের বাৎসরিক মাহফিলে এর ঘোষনা হয়। ২০১৩ সালে বাংলার আরেকজন বড় বুজুর্গ আলেম, থানভী সিলসিলার অন্যতম খলিফা আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব তাকে প্রধান খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ছাত্রজীবন শেষ হতে না হতে তিনি চরমোনাই আলিয়ার খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। পরে দীর্ঘদিন যাবত আলিয়া-কাওমীয়া উভয় শাখার নাযেমে আ'লার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উভয় শাখার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
হযরত পীর সাহেব চরমোনাই দীর্ঘদিন যাবত চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। অত্যন্ত কৃতিত্ব ও সফলতার সাথে তিনি চেয়ারম্যানের
দায়িত্ব পালন করেন। যার কারণে একটি বিদেশী সংস্থা তাকে পুরষ্কারও দিতে চেয়েছিল,কিন্তু তিনি তা গ্রহন করেন নি।
হযরত পীর সাহেব চরমোনাই ছাত্র জীবন থেকেই ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সর্বশেষ তিনি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় কমিটির ছাত্রকল্যান সম্পাদক ছিলেন ৷ ছাত্র জীবনের পর তৎকালীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের তিনি কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ছিলেন। বি,এন,পি-জামাত জোট সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় অন্যান্য ভাইদের মত তিনি ও কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁর পিতা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও আমীরুল মুজাহিদীনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
অদ্যবধি তিনি অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে উভয় সংগঠনের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ রক্ষায় টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করে তিনি দেশ-বিদেশে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হন। ২০০৬ সালে দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে সামনে থেকেই তিনি ইসলামী সমাজ বিপ্লবের সংগ্রাম অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে সুচারুরূপে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। তাযকিয়ার ময়দানে যেভাবে তিনি তাঁর রুহানী বয়ানে লাখ লাখ মানুষকে সঠিক পথের পথ দেখাচ্ছেন,তদ্রুপ নীতি ও আদর্শের উপর অবিচল থেকে দেশ ও ইসলাম বিরোধী যেকোনো কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সর্বাগ্রে মাঠে নেমে ঈমানী দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তথ্য সূত্র> ছাত্র সমাচার জুন-জুলাই-২০১২
বিষয়: বিবিধ
২১৭১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন