আমি শার্লি।

লিখেছেন লিখেছেন মায়াবন বিহারিণী হরিণী ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩৭:১৬ দুপুর



ফ্রান্সে নবীকে নিয়ে স্যাটায়ার প্রকাশের দোষে বারোজনকে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় তারা বেশ কয়েকবার চিৎকার করে "আল্লাহু আকবার"; এক কার্টুনিস্টকে খুনের সময় উঁচু গলায় জানায়,"The prophet has been avenged".

মুসলিমরা যথারীতি চুপ করে এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো

"ইহা সহি ইসলাম নহে"

"ওরা প্রকৃত মুসলিম না"

"ইসলাম এসব করতে বলেনা"

"নবীজি কখনো এমন কাজ করতে বলেন নি, করেননি, মক্কার মানুষ পাথর মারলেও তিনি সহ্য করেছেন..."

ইত্যাদি ম্যাৎকার করে অ্যাপলোজেটিকস-এর গান গেয়ে যাচ্ছে।

আসুন, আমরা একটু ইতিহাস ঘাঁটি। গতকালকের কাজটা ঠিক কতোটা ইসলামিক ছিল, তা আপনারাই বুঝে নেবেন।

সহি বুখারী খণ্ড:৪, গ্রন্থ: ৫২, ২৭০-২৭১

আমাদের পেয়ারের শান্তির নবী সাহাবাদের জিজ্ঞেস করছেন, "তোমাদের মধ্যে কে আশরাফ কে খুন করতে প্রস্তুত? এই লোক আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিয়ে ভয়ংকর সব কথা বলেছে।"

ওরে বাবা, শান্তির নবী দেখি সরাসরি খুনের আদেশ দিচ্ছেন! কে এই আশরাফ? নিশ্চয় বিরাট কোনো খুনী বা ধর্ষক? জ্বী না, আশরাফ হলো এক অমুসলিম কবি, যে মুহাম্মদকে সমালোচনা করে, পচিয়ে কিছু কবিতা লিখেছিলো।

একই হাদিসে বর্ণনা করা আছে, মাসলামা নামক এক সাহাবী দাঁড়িয়ে যায় এবং বলে, "ও আল্লাহর রাসুল, আপনি কি চান আমি তাকে খুন করি, এতে কি আপনার মনঃপূত হবে?"

আমাদের শান্তির নবী হাবিবে রাসুল উত্তর দিয়েছিলেন, "হ্যাঁ"।

এবার আমরা আরেকটা ঘটনায় যাই।

সিরা ইবনে ইশহাক ৬৭৬

আসমা বিনতে মারওয়া নামে এক কবি তার গোত্রের লোকদের উদ্দেশে লিখেছিলো:

"তোমরা অনুসরন করো এক অচেনা লোককে যে তোমাদের উৎসাহ দেয় আল-আনফাল এর জন্য খুন-হত্যা করতে। তোমরা প্রচণ্ড লোভী, তোমাদের মাঝে কোনো মানবতা নেই।"

(আল আনফাল মানে হলো লুট, গনিমতের মাল, এটি কোরানের একটি সুরাহর ও নাম)

আসমা বিনতে মারওয়ার এই কথাগুলো মুহাম্মদের কানে যায়, শুনে মুহাম্মদ বলে, "কেউ কি নেই, যে আমার জন্য এই নারীকে হত্যা করবে?"

উমার নামক এক সাহাবী নবীর ইচ্ছাটা পূরণ করে। সেদিন রাতেই সে আসমা বিনতে মারওয়ার ঘরে নিঃশব্দে প্রবেশ করে। আসমা তার ছোট শিশুদের পাশে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। একটি শিশু আসমার স্তন পান করছিলো। উমার সেই দুধ পানরত শিশুটিকে মায়ের স্তন থেকে সরিয়ে দেয় এবং কবি আসমার বুকে তরবারী প্রবেশ করিয়ে দেয়।

পরদিন সকালে মসজিদে মুহাম্মদ উমারকে বলে, "তুমি আল্লাহ ও তার রসুলের অনেক বড় এক সাহায্য করেছ, উমার।"

উমার জিজ্ঞেস করে," আসমার পাঁচটি শিশু সন্তান ছিলো। আমি কি অপরাধী পাপী হয়ে গেলাম?"

"না" আমাদের শান্তির নবী জবাব দিয়েছিলেন, "তাকে হত্যা করা আর দুটো ছাগলের মাথায় বাড়ি দেয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিলো না।"

এরপরেও আমাদের মডারেট মুসলিমরা বলবে, গতকালকের ঘটনা ছহি ইসলাম ছিলো না; আমাদের নবীজি অনেক অত্যাচার সহ্য করেছেন, কিন্তু কখনো প্রতিশোধ নেননি; ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে এসবের যায়গা নেই, ম্যা ম্যা ম্যা...

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

299960
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৯
রক্তলাল লিখেছেন : Such a liar - following is the direct excerpt from wiki - Ka'b Ashraf is his full name.
"Ka'b went to Mecca, where he wrote poems praising the Quraysh and trying to incite them to again take up arms again against Muhammad.[1] Some sources suggest that during a visit to Mecca, Ka'b concluded a treaty with Abu Sufyan, stipulating cooperation between the Quraysh and Jews against Muhammad.[7]

Upon returning to Medina, Ka'b started a fresh campaign that took the form of obscene songs and erotic poems with a view to defaming the Muslim women"
299961
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৪
রক্তলাল লিখেছেন : About the second story - again, direct excerpt from wiki -

"Some classical and post-classical hadith scholars such as Al-Albani, Majdi, and Al-Jawzi have rejected the story, with some declaring it as fabrication, pointing out in their arguments that the chains of transmission by which the story was transmitted are all weak."
299962
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৬
রক্তলাল লিখেছেন : কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর!

িিীইসলামের হিংসাকারি হিংসুটে কীটেরা নানা রকম জন্জাল দিয়ে তাদের মনের জ্বলা মিটাবেই!
300321
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
বাচ্চা ছেলে লিখেছেন : ফ্রান্স ইদানিং রাশিয়ার সাথে লেনদেন করার কথা ভাবছিল। আমেরিকা রাশিয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তাতে ফ্রান্সও জোট শক্তি। আর ফ্রান্স তার সামরাস্ত্র বিক্রির প্রধান দেশ রাশিয়া। ফলে তাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছিল। চুপিচুপি তাই ফ্রান্স রাশিয়ার প্রতি নমনীয়তা দেখাতে চাইছিল। আমেরিকা কি আর চুপ থাকতে পারে? সিআইএ দিয়া একটা গুতা দিল এবং তার দায় মুসলিমদের উপর চাপানো হলো। উল্লেখ্য, ৩ জন ইয়াহুদীও মরছে। ইদানিং ইয়াহুদিরাও আমেরিকার কথা শুনছিল না। এক ঢিলে হাজারো পাখি যাকে বলে আরকি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File