Charlie Hebdo র প্রচ্ছদ- কান্নারত মোহাম্মদ, মাথায় সাদা পাগড়ি, হাতে ধরা একটি লেখা ‘জে সুই শার্লি’।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৩:৪৬ রাত
নিদেনপক্ষে মুস্লিমরা ব্যাক্তিগত ধর্ম পালনে নবী মোহাম্মদকে সীমাবদ্ধ রাখলে কোন কথা ছিল না। কিন্তু মুস্লিমরা মোহাম্মদকে নিয়ে অহনিশি রাজনীতি করেন। বিশ্ব সমাজে মোহাম্মদের জীবনী কায়েমের হুমকি ধমকি দেন। তবে মোহাম্মদের বিপরিতে কিছু বলা যাবে না। সব হজম করতে হবে। এই হচ্ছে মোহাম্মদ সংক্রান্ত মুমিনী ফরমান। এদিক সেদিক হলে রক্ষা নেই, কল্লা যাবে। এ বিষয়ে মুমিনের অনুভুতর চামড়া ফিনফিনে পাতলা। অতি সামান্যতেই ব্যাথা পায় তারা। এক সময় সালমান রুজদীর 'স্যাটানিক ভার্সেস' বইটির উপর মুমিনরা ঝাপিয়ে পরেছিল। এরপর এক 'ডেনিস কার্টুন'। যাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে মুমিনী তান্ডবে অন্ততঃ ২০০ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। তারপর ইউটিউবে 'ইন্নোসেন্স অফ মুসলিমস', মৃত্যু ১৮০ জন। এবং সর্বশেষ ফ্রান্সের জনপ্রিয় কার্টুন পত্রিকা Charlie Hebdo, যা নিয়ে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সব ঘটনার কেন্দ্র বিন্দু শুধু একজনই। তিনি মোহাম্মদ নামের এক ব্যাক্তি, তিনি একজন নবীও বটে। মুমিনরা সব সইতে পারে, কিন্তু এই মোহাম্মদের অবমাননা সইতে পারে না। মোহাম্মদ'কে নিয়ে মুমিনের রফা, দফা, দাবি নামা, আবদার, আহালাদ অনেক লম্বা। বক্তিতা, বিবৃতি, মিটিং, জনসভা, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, গুগল, ইয়াহু, বিং, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ কোথ্থাও 'মোহাম্মদ' এর বিরুদ্ধে কিছুই প্রচার করা যাবে না। সবাইকে মোহাম্মদী তরিকা মেনে চলতে হবে। সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই।
আজ এক 'স্যাটাকিন ভার্সেস' এর স্থানে শতশত স্যাটাকিন ভার্সেস। এক ডেনিস কার্টুনের বদলে শত হাজার কার্টুন। ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক, ব্লগ......... এর হাজার পাতা জুড়ে নবী মোহাম্মদের রম্য, বিদ্রুপ, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, হাসিতামাশা। হামলার আগে Charlie Hebdo র প্রচার সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। আর হামলার পর আজকের সার্কুলেশন ৩০ লক্ষ। তাহলে বুঝুন। মরণে ডরে না বীর। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, পত্রিকাটির সদ্য প্রকাশিত সংখ্যায় মুহাম্মদ কে নিয়ে প্রচ্ছদে ব্যঙ্গচিত্র করা হয়েছে। ওই ব্যঙ্গচিত্রে মোহাম্মদকে কান্নারত দেখানো হয়েছে। তাঁর মাথায় সাদা পাগড়ি। হাতে ধরা একটি লেখা। তাতে ফরাসি ভাষার লেখা ‘জে সুই শার্লি’। আমিই শার্লি। পত্রিকাটি বলছে, এটি ‘সারভাইভার্স ইস্যু’। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সংখ্যাটির ৩০ লাখ কপি ছাপা হয়েছে। সাধারণত তারা ৬০ হাজার কপি ছাপে।
তো, এতসব করে কি পেল মূর্খ মুমিনরা? তারা কি পেরেছে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে? তারা কি পেরেছে নবী মোহাম্মদকে ছিকায় ঝুলিয়ে রাখতে।
বিষয়: বিবিধ
১৬০২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : পাগলা কুত্তা কামড় দিসে নাকি?মন্তব্য করতে লগইন করুন