ইসলাম- ভবিষ্য অন্ধকার................??

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:২৪:২০ দুপুর



এইমাত্র গতকালই পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটা স্কুলে পাকিস্তানী তালেবানরা এক ভয়াবহ নৃশংস আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ১৫০ এর মত ছাত্র মেরে ফেলেছে। ইসলামী হুকুমত কায়েম করার অগ্রণী সেনানী তালেবানদের এ হেন নৃশংস ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে। অনেককেই বলতে শুনেছি- কোরানের কোথায় বলা আছে গুলি করে ছাত্র মেরে ফেল ?

যতদুর জানা যায় এই তালেবানরা গোটা মুসলিম দুনিয়াতে ভীষণভাবে শ্রদ্ধাভাজন। যারা মনে প্রানে মুসলমান , তারা প্রত্যেকেই মনে করে তালেবানরা হলো প্রকৃত ইসলামের ধারক ও বাহক। এরা যখন ১৯৯৬ সালের দিকে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করেছিল তখন সাথে সাথেই পাকিস্তান , সৌদি আরব , আরব আমিরাতের মত মুসলিম দেশগুলো স্বীকৃতি দিয়েছিল। তার কারনও বোধগম্য , এইসব প্রায় ১০০% মুসলিম অধ্যূষিত দেশগুলো যারা নিজেদেরকে ইসলামের নেতৃস্থানীয় মনে করে , তারা স্বপ্ন দেখেছিল তালেবানরাই আবার ১৪০০ বছর পর প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্র চালু করল। অর্থাৎ তালেবানী আদর্শ যে প্রকৃত ইসলামকে ধারন করে , সেটার স্বীকৃতি এল খোদ মুসলমানদের নেতৃস্থানীয় দেশ বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে।

এই তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে হঠে যাওয়ার পর অনেক পানি গড়িয়েছে , গোটা আফগানিস্তান এখন তাদের অবাধ বিচরন ক্ষেত্র, একই সাথে পাকিস্তান সহ অন্যান্য বহু মুসলমান দেশেই তাদের প্রতি সমর্থন লক্ষ্যনীয়। আর সেটাই স্বাভাবিক , যারা কোরান হাদিস পড়েছে এবং একই সাথে তালেবানদের আদর্শ ও কাজ কর্ম জেনেছে তারা প্রত্যেকেই স্বীকার করবে যে দুনিয়াতে মুহাম্মদ ও তার খলিফাদের পর এই তালেবানরাই কোন একটি দেশে সম্পূর্নভাবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। এই তালেবানদের হুবহু আদর্শ অনুসরন কারী আরও দল আছে যেমন - আল কায়েদা , মুসলিম ব্রাদারহুড , বোকো হারাম, জামাতে ইসলামী , হরকাতুল জিহাদ , আই এস আই এস , জে এম বি , আনসার উল্লাহ টিম, আহলে হাদিস ইত্যাদি। কোন কোনটা স্থানীয়ভাবে আবার কোনটা আন্তর্জাতিক ভাবে সক্রিয়। নাম তাদের যাই হোক না কেন , তাদের আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক। এরা বিভিন্ন নামে সক্রিয় থেকে দেশে দেশে বোমাবাজি , আত্মঘাতী বোমা হামলা, নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে গত এক দশকের বেশী সময় ধরে হাজার হাজার সাধারন মানুষ হত্যা করেছে। উদ্দেশ্য একটাই - গোটা দুনিয়াতে ইসলামী শাসন কায়েম। দুনিয়ার কোন মুসলিম দেশেই এদের বিরুদ্ধে কোন টু শব্দটা শোনা যায় নি। যদিও কিছু কিছু লোক এদের এইসব সন্ত্রাসী ঘটনাকে ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এসব ইসলামী দলের গায়ে ন্যূনতম কোন দায় চাপাতে তারা নারাজ।

আমি জানতে চাই , কোরানে যদি এসব হত্যা করার নির্দেশ না থাকে , তাহলে যে সব ইসলামী দল মুসলমানদের মধ্যে এত সমাদৃত , শ্রদ্ধাভাজন , তারা কি করে এমন ঠান্ডা মাথায় নির্দোষ ছাত্র দেরকে মশা মাছির মত পিষে হত্যা করতে পারে ? আর কেনই বা তাদের কৃত কর্মকান্ডকে অস্বীকার করার জন্য বার বার ইহুদি খৃষ্টানদের ষড়যন্ত্র আবিস্কার করতে হয় ?

মূল লেখা : আমারব্লগ থেকে সংগ্রহ।

বিষয়: বিবিধ

১১৪০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295452
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : কপি পেষ্ট করে লেখা এর মন্তব্য কি করা যায়। আরেক জনে চিন্তা চেতনা নিজের মত করে পেশ করা।
পরিস্কার করে বলুন কি বলতে চান।
তালেবানকে সব মুসলমান সমর্থন করে এই মহা! তথ্য আপনাকে বা আপনার মাষ্টারদের মাথায় কে প্রবেশ করালো।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০২
239064

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : মুসলমানরাও কোরাণের কপিপেষ্ট বুলি আওরানো ছাড়া আর কিছু জানে না। আর তালেবানের সত্য কোরাণ থেকেই এসেছে। কোরাণের হুবহু তকমা অনুসরনকারী- আল কায়েদা , মুসলিম ব্রাদারহুড, বোকো হারাম, জামাতে ইসলামী , হরকাতুল জিহাদ , আই এস আই এস , জে এম বি , আনসার উল্লাহ টিম, আহলে হাদিস......... এরা নিশ্চয় মহাভারত অথবা বাইবেল অনুশারী না। তা হলে??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File