ঈশ্বর-নিরীশ্বর লড়াই এবং একজন লতিফ সিদ্দিকী...............

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:২১:৪৩ সকাল



১৪০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত গন চীন সরকার মনে করেন- প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস একটি পশ্চাৎপদ কাল্পনিক ধ্যান ধারণা। যা সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নিরীশ্বরবাদী মানুষের উন্নয়ন প্রগতি এবং নীতি আদর্শের অন্তরায় এবং হুমকী।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এবং এএফপি'র খবরে জানা যায় চীন সরকার সম্প্রতি সে দেশের মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম'দের রোজা, নামাজ সহ প্রকাশ্যে ধর্মকর্ম পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানায়- পুরুষের লন্বা দড়ি রাখা, গিড়ার উপর পাজামা, অর্ধ-চন্দ্র প্রতীক বিশিষ্ট পোশাক, টুপি, মেয়েদের হিজাব নেকাব.......... ইত্যাদি ইসলামী লেবাস নিষিদ্ধের আওতায় থাকবে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন ভংগের কারনে গত জুলাই মাসে দুই রোজাদার মুসলিমকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ।

অন্যদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ অধিকাংশ মুসলিম বিশ্বে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যায়, যেখানে ইসলামের বিরুদ্ধে টু-শব্দ উচ্চারণ করা যায় না। মুসলিম জন প্রাধান্যপূর্ণ অঞ্চলে নিরীশ্বরবাদী ধ্যান ধরনায় উজ্জিবিত হয়ে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা, লেখালেখি করা, সেমিনারে বক্তব্য দেয়া, প্রচার পত্র বিলি বন্টন............. ইত্যাদি আইনত নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তির মাত্রা অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুদন্ড/মন্ডুপাত।

উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী জনাব আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে এক ঘোরোয়া সমাবেশে ইসলাম ধর্মের হজ্জ এবং তবলিক জামাত বিরোধী ব্যাক্তিগত মতামত দেয়ার অপরাধে ইসলামের ব্লাসফেমি আইনের আওতায় বর্তমানে জেলে অন্তরিন আছেন।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288693
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৪
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : Valo to ... Valo na??
288752
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : :- Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
288762
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
ইয়াফি লিখেছেন : নাস্তিকতাও একটা ধর্ম। বাংলাদেশ সংবিধানে যে ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তাতে নিরশ্বরবাদীরা তাদের বিশ্বাস বজায় রাখতে পারে। কিন্তু তারা অন্যের ধর্ম-বিশ্বাস, জীবনাচরণকে কটাক্ষ করতে পারেনা। যারা অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে তারা সাম্প্রদায়িক। তারা যেমন রাষ্ট্রের আইন ভংগ করে আবার সামাজিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্হান, সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট করার উপক্রম করে রাষ্ট্রদ্রোহীতাও করে। এদিক দিয়ে বলা যায় খোদ চীন সরকারই সাম্প্রদায়িক এবং রাষ্ট্রীয় ধারণা বিরোধী। একটি রাষ্ট্রে সবাইকে একই ধর্মের লোক হতে হবে এমনতো কোন কথা নেই। তাই রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের অধিবাসী সব ধর্মবিশ্বাসের লোকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্হান ও ধর্মপালনের অধিকার নিশ্চিত করতে হয়। ধর্মবিশ্বাস কিন্তু মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের একটি। তাই এটি বিশ্ব-সার্বজনীন অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। পৃথিবীর উন্নত প্রশাসনের দেশগুলো এ অধিকার নিশ্চিত করে। সেখানে সেনাবাহিনীর মত ফ্রেমবন্দী বাহিনীতে শিখ ধর্মের কেউ তাদের পাগড়ী পরিধানের ধর্মাধিকার বজায় রাখতে পারে। হয়তো চীন সরকারও একদিন তাদের বর্তমান মানবাধিকার পরিপন্হি ও রাষ্ট্রীয় ধারণা বিরোধী কার্যক্রম থেকে সরে আসবে।
প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাহেব বাংলাদেশের অন্য কজন ধূর্ত রাজনীতিকদের মত নয়। তিনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটা আবার বলেন সরাসরি। কিন্তু বলতে গিয়ে অন্যের ধর্মানুভুতি আহত হচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল করা উচিত ছিল।
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
232480

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : না ভাই, আপনি ভুল বল্লেন। ইসলাম সিকায় ঝুলানো মধুর পেয়ালা না। ইসলাম ধর্মকে ফ্রী পাস কে দিয়েছে? ইসলাম ওয়ালারা সারা পৃথিবীতে ধর্মের রাজনীতি করেন। সুতরাং ইসলামের বিরুদ্ধে তিতা কথা উঠবেই। ধর্মের রাজনীতি করবেন, অথচ ধর্মের বিরুদ্ধে শক্ত কথা হজম করবেন্না তা কেমন করে হয়?

আর লতিফ সিদ্দিকীির বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। ব্যাক্তি লতিফ সিদ্দিকীর কাছে হজ্জের বিষয়টি অর্থ অপচয়মুলক মনে হয়েছে এবং তিনি তাই বলেছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। ইছ্ছে করলে আপনি যুক্তি দিয়ে তার বক্তব্য খন্ডন করে দাঁতভাংগা জবাব দিন। অথচ তা না করে লতিফ সিদ্দিকীর কল্লা চেয়ে ইসলামওয়ালারা সভ্য যুগে বর্বরতার নজির সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের মোল্লারা প্রকাশ্যে হাটে-মাঠে-ঘাটে অমুসলিম, ইহুদী-নাসারা, এবং নাস্তিকতার বিরুদ্ধে বিষাদার, টিটকারি, টিপ্পনি কম দেয় না। এটি মুস্লিমদের কাছে অতি প্রিয়।

বাই দ্যা ওয়ে, চীনের প্রসঙ্গটি আমি ইছ্ছা করেই টেনে এনেছি ইসলাম ধর্মের প্যারালাল দিকটি উন্মচন করার জন্য। ধন্যবাদ।
288915
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
ইয়াফি লিখেছেন : @মুক্তিযুদ্ধের কন্যা
রাজনীতিকে খারাপ ভাবছেন কেন? এটাতো দেশসেবার মাধ্যম। ধর্মও মানবতার কথা বলে, রাজনীতিও মানবতার কথা বলে। তাহলে ধর্মের সাথে রাজনীতির সংযোগ ঘটতে অসুবিধা কোথায়? ইসলাম আর দশটা ধর্মের মত কোন ধর্ম নয়। এটি মানবকল্যাণের একটি দিক-নির্দেশনা। এখানে পাকের ঘরের পেয়াজ কাটা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তার ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণমুখী দিক-নির্দেশনার কথা আছে। রাষ্ট্র তথা জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য যদি কোন ইজম, মতবাদের ভিত্তিতে রাজনীতি করা যায়, তাহলে ইসলাম নিয়ে নয় কেন?
যারা অন্যের বিশ্বাস, মতবাদকে সহ্য করতে পারেনা, তারা অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক সর্বোপরি তারা সন্ত্রাসী! সন্ত্রাসীদের কোন আদর্শ নেই। আদর্শিক দৈন্যরা আদর্শবানদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়, তাদের খতম করতে চায়। কারণ আদর্শিক দৈন্যদের ত্রাসের রাজত্বের দিন শেষ!
মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। এই স্বাধীনতা অবাধ নয়। এই স্বাধীনতা দায়িত্বশীলতা সাপেক্ষ। এই স্বাধীনতার অনুশীলন জনস্বার্থবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী হতে পারবেনা। সম্প্রতি শেখ হাসিনার সরকার তন্ময় মল্লিক নামের এক যুবককে তিনি ও তার বাবাকে বিদ্রূপ করার অভিযোগে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি অন্যের ধর্মাচরণকে কটাক্ষ করে ভোগ করতে হবে? মত প্রকাশের স্বাধীনতার অনুশীলন কি এই যে, অন্যজনের বিশ্বাসকে আক্রমণ করা? কটাক্ষ, কুতসার বিরুদ্ধে আবার যুক্তি কিসের? উনিতো যুক্তি, বিশ্বাস, আইন না মেনে অন্যের ধর্মাচরণকে কটাক্ষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করলেন। এটা ফৌজদারী অপরাধ! আইনের আওতায় চলে যাবেন। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাহেবের এধরণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করার ইচ্ছা মুলত তিনি আর ঐ ধর্মে বিশ্বাস করেননা বলে! তার কাছে যারা হজ্ব, তাবলীগ করেন তারা অন্য ধর্মের। বাংলাদেশ সংবিধান তাকে তার বিশ্বাসকে বজায় রাখার স্বাধীনতা দিয়েছে, অন্য ধর্মবিশ্বাসকে আক্রমণ করা নয়।
রাজনীতিকে খারাপ ভাবছেন কেন? এটাতো দেশসেবার মাধ্যম। ধর্মও মানবতার কথা বলে, রাজনীতিও মানবতার কথা বলে। তাহলে ধর্মের সাথে রাজনীতির সংযোগ ঘটতে অসুবিধা কোথায়? ইসলাম আর দশটা ধর্মের মত কোন ধর্ম নয়। এটি মানবকল্যাণের একটি দিক-নির্দেশনা। এখানে পাকের ঘরের পেয়াজ কাটা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তার ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণমুখী দিক-নির্দেশনার কথা আছে। রাষ্ট্র তথা জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য যদি কোন ইজম, মতবাদের ভিত্তিতে রাজনীতি করা যায়, তাহলে ইসলাম নিয়ে নয় কেন?
যারা অন্যের বিশ্বাস, মতবাদকে সহ্য করতে পারেনা, তারা অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক সর্বোপরি তারা সন্ত্রাসী! সন্ত্রাসীদের কোন আদর্শ নেই। আদর্শিক দৈন্যরা আদর্শবানদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়, তাদের খতম করতে চায়। কারণ আদর্শিক দৈন্যদের ত্রাসের রাজত্বের দিন শেষ!
মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। এই স্বাধীনতা অবাধ নয়। এই স্বাধীনতা দায়িত্বশীলতা সাপেক্ষ। এই স্বাধীনতার অনুশীলন জনস্বার্থবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী হতে পারবেনা। সম্প্রতি শেখ হাসিনার সরকার তন্ময় মল্লিক নামের এক যুবককে তিনি ও তার বাবাকে বিদ্রূপ করার অভিযোগে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি অন্যের ধর্মাচরণকে কটাক্ষ করে ভোগ করতে হবে? মত প্রকাশের স্বাধীনতার অনুশীলন কি এই যে, অন্যজনের বিশ্বাসকে আক্রমণ করা? কটাক্ষ, কুতসার বিরুদ্ধে আবার যুক্তি কিসের? উনিতো যুক্তি, বিশ্বাস, আইন না মেনে অন্যের ধর্মাচরণকে কটাক্ষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করলেন। এটা ফৌজদারী অপরাধ! আইনের আওতায় চলে যাবেন। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাহেবের এধরণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করার ইচ্ছা মুলত তিনি আর ঐ ধর্মে বিশ্বাস করেননা বলে! তার কাছে যারা হজ্ব, তাবলীগ করেন তারা অন্য ধর্মের। বাংলাদেশ সংবিধান তাকে তার বিশ্বাসকে বজায় রাখার স্বাধীনতা দিয়েছে, অন্য ধর্মবিশ্বাসকে আক্রমণ করা নয়।
২৮ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
232838

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ইসলাম ধর্মের সাথে যদি রাজনীতির সংযোগ ঘটাতে চান সেটা আপনাদের ইসলামওয়ালাদের ব্যপার। তাতে কারো আপত্যি থাকার কথা না। কিন্তু আপনারা যখন সমাজে তথা সারা পৃথিবীতে ইসলাম কায়েমের রাজনীতি করবেন প্রশ্ন উঠবে তখনই। মানুষ জানতে চাইবে ইসলাম কি জিনিস। আপনি বলবেন ইসলাম "রসোগোল্লা" , কিন্তু আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলবে ইসলাম "আবর্জনা"। তখন কি করবেন? "ইসলামের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না"- এই আবদার রাজনীতির মাঠে ধোপে টিকবে না। মানুষের প্রশ্নে আপনার ইসলাম নামক তথাকথিত রসোগোল্লা জর্জরিত হবে।
বুড়ো বয়সে নবী মোহাম্মদের যৌন ভিমরতী, বিয়ের নামে নাবালিকা ধর্ষন, ক্রিতদাসীদের সাথে মৌজফূর্তী, পুত্রবধুর সাথে ফষ্টি/নষ্টি, যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষন............ এসবের হিসেব কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে। শুধু তাই না- ইসলাম ধর্মের নারী বৈষম্য, নারী নির্যাতন, নারীকে পাথর নিক্ষেপ করার বর্বতা, দাসপ্রথা, দাস কেনা/বেচা এবং সর্বপরি বৈজ্ঞানিক মাপকাঠিতে ইসলামের অলিক , অক্ষম আল্লা..........এ বিষয় গুলো সামাল দিবেন কেমন করে? নাকি বলবেন ইসলামের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করা যাবে না??????????

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File