খাদ্যদ্রব্য ওজন করার মাহাত্ম্য
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১২:০৯ রাত
#খাদ্যদ্রব্য_ওজন_করলে_বরকত_হয়
عَنْ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ كِيلُوا طَعَامَكُمْ يُبَارَكْ لَكُمْ
বাংলা: মিকদাম ইবনু মা‘দীকারিব (রা.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি (স.) বলেন: "তোমরা তোমাদের খাদ্যদ্রব্য মেপে নিবে, তাতে তোমাদের জন্য বরকত হবে।" (বুখারী:২১২৮)
#আলোচনা: খাদ্যদ্রব্য তথা ধান-চাল, গম-আটা, যব, ভুট্টা, ফল-ফলাদি, সবজি যাবতীয় খাবারের বস্তু লেনদেনের সময় মেপে নেয়া কল্যাণকর। বিশেষ করে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় খাদ্যদ্রব্য অবশ্যই মেপে নিতে হবে, অনুমান করে লেনদেন করা যাবে না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মেপে নিলে বরকত হবে। বরকত বলতে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ আসবে, খাদ্যদ্রব্যে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
তবে খরচের সময় (নিজের জন্য কিংবা পরের সেবায়) খাদ্যদ্রব্য মাপা ঠিক নয়। তখন আল্লাহর উপর ভরসা করে খরচ করতে থাকবে। এর মানে হলো- যেখানে খাদ্যসামগ্রী জমা রাখা আছে (যে পাত্রে বা মটকিতে) তা সম্পূর্ণরূপে মেপে দেখা ঠিক না যে কী পরিমাণ খাবার আছে, বরং প্রয়োজন মোতাবিক খরচ করতে থাকা।
যেমন এক হাদীসে এসেছে-
আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর সময় আমাদের ঘরে সামান্য কিছু যব ছিল। আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছানুযায়ী আমরা তা হতে খেতে থাকলাম। আমি একদিন দাসীকে বললাম, এগুলো কৌটা দ্বারা পরিমাপ করো। সে তা পরিমাপ করল। এরপর কিছু দিনের মধ্যেই তা শেষ হয়ে গেলো। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমরা এগুলো এমনি রেখে দিলে (যদি না পরিমাপ করতাম) আরো অধিক দিন খেতে পারতাম। (তিরমিযী:২৪৬৭, বুখারী-মুসলিমে সংক্ষেপে)
পুনশ্চ: সম্পূর্ণ গোলার শষ্য মাপা ঠিক নয়, তবে প্রতিদিন খরচ করার সময় কিংবা রান্নার সময় ওজন করে (লোকের সংখ্যা অনুপাতে) নিলে সমস্যা নেই। বরং এতে অপচয় হবে না, আশা করা যায় বরকত হবে।
হাদীসটির ভিন্ন ভাষ্য-
كِيلُوا طَعَامَكُمْ يُبَارَكْ لَكُمْ فِيهِ (ইবনে হিব্বান, ইবনে মাজাহ)
قوِّتوا طعامَكمْ يُبارَكْ لكُمْ فيهِ (মুসনাদে বাযযার)
#বর্ণনাকারী:মিকদাম ইবনু মা‘দীকারিব (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে বুসর আল-মাযিনী (রা.), আবূ আইউব আনসারী (রা.)
#মান:সহীহ
#গ্রন্থ: সহীহ বুখারী, ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়, হা:২১২৮; সহীহ ইবনে হিব্বান:৪৯১৮, তাবারানীর মু'জামুল কাবীর:৬৪৩, বাইহাকীর সুনানুল কুবরা: ১০৮৬৬,১০৮৬৮;আহমাদ:১৬৭২৫,২২৯৯৭(২৩৫০৮); ইবনে মাজাহ:২২৩১, ২২৩২; সহীহুল জামে':৪৬০০, মুসনাদে বাযযার:৪১০৪
#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম
#দরসে_হাদীস
বিষয়: বিবিধ
১০০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন