বিজাতীর সাদৃশ্য অবলম্বন করা হারাম
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ০৯:৪৫:২৫ রাত
#বিজাতীয়_অনুকরণ_হারাম
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَ تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلاَ بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ "
বাংলা: আমর ইবনু শু'আইব (রহ.) পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আমাদের ছেড়ে বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহুদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়। (তিরমিযী:২৬৯৫)
#আলোচনা: ইসলামের আদর্শ ছেড়ে যারা অন্যদের রীতি-নীতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে তারা ইসলামের রীতি-নীতি ও সুন্নাহর অনুসারী নয়, এক কথায় তারা মুসলমানদের দলভুক্ত নয়! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মুশরিক, ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের অনুকরণ বা সাদৃশ্যতা গ্রহণ না করে তাদের বিপরীত করতে আদেশ করেছেন। এ ব্যাপারে অনেক হাদীস রয়েছে। যেমন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
ইবনে উমার (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সেই ব্যক্তি সেই জাতির দলভুক্ত। (আবু দাউদ:৪০৩১, সহীহুল জামে':৬১৪৯)
সাদৃশ্য বলতে, কথা, কাজ, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবারের শিষ্টাচার ও রীতি-নীতির অনুসরণ। যদি কাফির-মুশরিকদের রীতি-নীতি ইসলামের সাদৃশ্যপূর্ণ হয় বা কল্যাণকর হয় তাহলে তার অনুকরণে নিষেধ নেই, বরং ইসলামী রীতির বিপরীত বা অকল্যাণকর রীতি-নীতি ও আদর্শ হলে তার বিপরীত করতে হবে।
আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা দাড়ি ছেড়ে দাও, মোছ ছেঁটে ফেলো এবং সাদা চুল-দাড়ি রাঙিয়ে ফেলো। আর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করো না। (আহমাদ: ৮৬৫৭, ৮৬৭২, সহীহুল জামে’: ১০৬৭)
অপর বর্ণনায় এসেছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ইয়াহূদী ও নাসারারা (দাড়ি-চুলে) রং লাগায় না। অতএব তোমরা তাদের বিপরীত কাজ করো। (বুখারী: ৩৪৬২, মুসলিম:২১০৩)
শিক্ষা: আমাদের অবাধ্য, পাপাচারী, মুশরিকদের অনুকরণ না করে ঈমানদার ও আনুগত্যশীলদের অনুকরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সালামের সুন্নাহ পদ্ধতি: সালাম সশব্দে দেয়া সুন্নাত আর সশব্দে জবাব দেয়া ওয়াজিব। প্রয়োজনে/অপারগতার ক্ষেত্রে সশব্দের পাশাপাশি (যেমন- দুরবর্তী স্থান থেকে অথবা বধির ব্যক্তিকে) ইশারায় সালাম দেয়াও জায়িয। (তুহফাতুল আহওয়াযী, হাঃ ২৬৯৫)
#বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)
#মান:হাসান, সহীহ
#গ্রন্থ: তিরমিযী, অনুমতি প্রার্থনা অধ্যায়, হা:২৬৯৫, তাবারানীর মু'জামুল আওসাত:৭৩৭৬, সহীহুল জামে':৫৪৩৪, সহীহাহ:২১৯৪, সহীহ আত তারগীব:২৭২৩
#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম
#দরসে_হাদীস
বিষয়: বিবিধ
৮২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন