COVID_19 বনাম স্বপ্ন এবং Q7 ফর্মুলা
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৯ মার্চ, ২০২০, ০১:০৭:০০ রাত
#করোনা ভাইরাসের Update: (08-03-20; 20:00)
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৯৬৩২ জন, মৃত্যু ৩৮০২ সুস্থ্য: ৬০৯৫৬ মৃত্যুর হার ৬ শতাংশ। আক্রান্ত দেশ ১০৪
ইতালিতে: আক্রান্ত ৭৩৭৫, মৃত্যু ৩৬৬ জন।
রোগ-ব্যধি- জরা-শোকের মতো মহামারীও পার্থিবজীবনের একটা স্বাভাবিক দ্বারা। মরামারী কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ জাতি-গোষ্ঠীর উপরই শুধু আসে না, বরং সকল জাতি-ধর্মের লোকদের উপরই পতিত হয়। সব সময় যে এটা শুধু আযাবের জন্য হবে তা নয়, তবে প্রকৃত মুসলমানদের জন্য কোনো চিন্তার বিষয় নয়, কেননা মুমিনদের সবকিছুতেই কল্যাণ।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকর-গুজার করে আর অস্বচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসীবাতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (সহীহ মুসলিম:২৯৯৯)
COVID 19 বনাম Q7
ইসলাম কোনো স্বপ্নে পাওয়া ধর্ম নয়, তবে মুমিনের স্বপ্ন সুসংবাদ স্বরূপ নবুওয়্যতের বিশেষ অংশ (মিশকাত:৪৬০৬-৪৬০৮)
স্বপ্নে পাওয়া কোনো জিনিস দিয়ে চিকিৎসা করতে ইসলামের কোনো নির্দেশ নেই। সুতরাং স্বপ্নে দেখা বিষয় জনসম্মুখে বলা কোনো দায়িত্বশীল মুমিনের কাজ নয়। তাই স্বপ্নে কোনো ভাই করোনাভাইরাসের দাওয়াই পেয়ে গেছে, আর মাহফিলে বসে তার বিবরণ দিচ্ছেন, এটা তো প্রজ্ঞার পরিচয় নয়। একজন বক্তা বা দ্বীনের দা'য়ী দ্বীনের প্রচার ও কথা বলবেন প্রজ্ঞা ও দলিলের ভিত্তিতে।
#সাবধান! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অপবাদ হলো, কারো নিজ চক্ষুদ্বয়কে এমন জিনিস দেখানো, যা তারা দেখেনি। (সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্: ৩০৬৩)
#চিকিৎসা:
আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ নাযিল করেন না যার প্রতিষেক তিনি নাযিল করেন নি,(মিশকাত:৪৫১৫) রাসূলুল্লাহ সা. রোগাক্রান্ত হলে কখনো দুআ পড়তেন, কখনো ঝাড়-ফুঁক করতেন, কখনো চিকিৎসাও করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন : হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি ঔষধ ব্যবহার করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ। হে আল্লাহর বান্দাগণ! চিকিৎসা করো। কেননা বার্ধক্য রোগ ব্যতীত আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার নিরাময় সৃষ্টি করেননি। (মিশকাত:৪৫৩২)
আমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবো, দুআ করবো, সতর্ক থাকবো ও যথা সম্ভব প্রতিষেধক গ্রহণ করবো।
#করোনা_ভাইরাস (COVID 19)
করোনাভাইরাস হলো নিদুভাইরাস শ্রেণীর করোনাভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি। করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এর বেশ কিছু প্রজাতি বিভিন্ন সময়ে দেখতে পাওয়া যায় এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’ সনাক্ত করা হয়। ব্যাধিটি একটি ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট হয়, যাকে ভাইরাসবিজ্ঞানীরা গুরুতর তীব্র শ্বাসকষ্টমূলক উপসর্গসমষ্টি-সংশ্লিষ্ট করোনাভাইরাস।
ইতোমধ্যে এই ভাইরাসটি ১০৪ টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক প্রমোদতরীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ব্যাধির উপসর্গগুলির মধ্যে আছে জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, পেশীতে ব্যথা ও অবসাদগ্রস্ততা। সঠিক সময়ে সেবা-শুশ্রুষা না পেলে ব্যাধিটি জটিল আকার ধারণ করে, যার ফলে ফুসফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া), তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি, রক্তে জীবাণুদূষণরোধী তীব্র অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া (সেপসিস) ও জীবাণুদূষণজনিত অভ্যাঘাত (সেপটিক শক) হতে পারে এবং পরিশেষে মৃত্যুও হতে পারে।
৩০শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও তৎপরবর্তীকালে এর মহাবিস্তারকে জনস্বাস্থ্যের জন্য আন্তর্জাতিক গুরুত্ববিশিষ্ট জরুরী অবস্থা (Public Health Emergency of International Concern; PHEIC) হিসেবে ঘোষণা দেয়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণের মত উপসর্গ হলেও ফ্লুয়ের ঔষধে কোনও কাজ হয় না। এ পর্যন্ত রোগটির জন্য কোনও ঔষধ বা টিকা উদ্ভাবিত হয়নি। হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসা ছাড়া রোগ থেকে সেরে ওঠার উপায় নেই। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকেই কম, তাদের নিউমোনিয়া হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসটির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি দেখা গেছে। তবে এ পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি মারাত্মক হবার কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি। উল্লেখ্য যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর ৪ লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে।
পুনশ্চ: এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মাঝে মৃত্যুর হার এখন পর্যন্ত ৬ শতাংশ। তবে ৪০ বয়সের বেশি লোকদের এবং আগে থেকে কোনো রোগে আক্রান্তদেরই মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। এই ভাইরাসটি আরো বিস্তৃত আকারে ছড়াতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব ধরা পড়ে নি। তবে আশা কথা কথা হলো, গরমকালে এটার বিস্তার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তথ্য: wikipedia, WORLDOMETER, WHO
বিষয়: বিবিধ
৮০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন