সংযত রসনা ও সঙ্গত কথা বলা: (বাক_বাগ্মিতা ও কথাবলার শিষ্টাচার:১)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০২:৪৯:২৫ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সংযত রসনা ও সঙ্গত কথা বলা:
মানুষের সাথে কথা বলতে হবে সহজ, সরল-সঠিক ভাষায়। সঠিকতা ও সত্যতা থেকে এক চুল বরাবর তা যেন বিচ্যুত না হয়। এমন ভাবে কথা বলা, যাতে কোন টেরামি বা বক্রতা নেই, ধোঁকা ও ধাপ্পা নেই। আর কথা বলতে হবে বোধগম্য ভাষায়। যেমন ‘আলী (রাযি.) বলেন: ‘মানুষের নিকট সেই ধরনের কথা বল, যা তারা বুঝতে পারে। তোমরা কি পছন্দ কর যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করা হোক? (বুখারী: ১২৭)
এটাই সাধারণভাবে কথা বলা ও মানুষের সামনে বক্তৃতা উপস্থাপনের শিষ্টাচার।
আল্লাহ বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًاআয়াতে বলা হয়েছে, قَوْلًا سَدِيدًا (সঙ্গত কথা বলতে)। এখানে قَوْلًا سَدِيدًا বলতে কী বুঝানো হয়েছে, প্রথমে তা জানবো-
হে বিশ্বাসীগণ ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (সূরা ৩৩ আহযাব:৭০)
السديد এর অর্থ: অভিধানে "সাদীদ" এর অর্থ হলো, ন্যায় সঙ্গত ও ন্যায্য (Justice and righteousness)
মুজাহিদ (রহ.)বলেন, এর অর্থ হলো-سدادًا (সোজা, সঠিক বা ন্যায্য)।
কাতাদা (রহ.)এর মতে, عدلا (ন্যায়সঙ্গত)।
কালবী ও হাসান বসরীর এর মতে, صدقا (সত্য)
ইবনে আব্বাস (রা.)এর মতে, صوابا (সঠিক ভাবে)
বাগাভী রহ. বলেন, مستقيما (সোজা-সরল)
ইকরামা (রহ.) বলেন- এর মানে হলো 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলা। (দ্রষ্টব্য: তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে বাগাভী)
আল্লামা কুরতবী (রহ.) বলেন,এর অর্থ হলো- ন্যায্য ও সত্য কথা বলা (Intentionally and truly)। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন- অর্থ্যাৎ সঠিক কথা বলো, ইকরামা ও ইবনে আব্বাস রা. উভয়ের মতেই সঠিক কথা হলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই) আর এখানে আয়াতের উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহর রাসূল সা. ও সাধারণ মুসলমানদের সামনে সঠিক কথা বলো। (তাফসীরে কুরতবী)
আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন, (আল্লাহ তার মুমিন বান্দাহদের উদ্দেশ্য নির্দেশ দিচ্ছেন) তারা যেন, সত্য সঠিক কথা বলে, যাতে কোনো বক্রতা ও প্যাঁচ না থাকে। (দ্রষ্টব্য: তাফসীরে ইবনে কাসীর)
নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলা (Soft speech and kindness) মানুষের উদ্দেশ্য বক্তৃতা বা কথা বলার সময় (তাফসীরে সা'দী)
সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম, কথা বলতে হবে- সত্য, সঠিক, সরল, সোজা ও ন্যায় সঙ্গত ভাষায়। তাই ঈমানদার কখনো অনর্থক, ফালতু, মিথ্যা, বক্র কিংবা অন্যায্য কথা বলতে পারে না। তাদের জন্য শোভনীয় নয় অসঙ্গত কথা বলা।
সূরা আন নিসায় আল্লাহ তাআলা এতীম-দরীদ্রদের সাথে কথা বলার সময় এই শব্দটিই ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন-
فَلْيَتَّقُوا اللَّهَ وَلْيَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا
অতএব লোকের উচিত, (এতীম-অনাথ সম্পর্কে) আল্লাহকে ভয় করা এবং ন্যায়-সঙ্গত কথা বলা। (সূরা ৪ নিসা:৯)
বনী ইসরাইলদের প্রতি নির্দেশ স্বরূপ আল্লাহ বলেন-
'আর (স্মরণ কর সেই সময়ের কথা) যখন বনী ইস্রাইলের কাছ থেকে আমি অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন ও দরিদ্রের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে.... (সূরা ২ বাকারা:৮৩)وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا
আয়াতে এমন কথা বলতে বুঝানো হয়েছে, যা সৌন্দর্যমণ্ডিত। এর অর্থ এই যে, যখন মানুষের সাথে কথা বলবে, উত্তমভাবে, নম্রভাবে হাসিমুখে ও খোলামনে বলবে। হাসান বসরী রহ. বলেন, তা হলো- মানুষকে ন্যায়ের আদেশ করা, অন্যায় থেকে নিষেধ করা, তাদের প্রতি সহনশীল হওয়া, ক্ষমা করা, অনুগ্রহ করা। (তাফসীরে ইবনে কাসীর
মানুষের প্রতি আল্লাহর সাধারণ নির্দেশ হলো, "সুন্দর কথা বলা"। আর পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর কথা হলো- "মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা"
"আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম যে আল্লাহর দিকে আহবান জানায় এবং সৎকাজ করে। আর বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।" (সূরা ৪১ ফুস্সিলাত:৩৩)সুতরাং বুঝা গেলো, মানুষের সেই কথাই সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট যাতে অপরকে সত্যের দাওয়াত দেয়া হয়। যেমন- আযানদাতা (মুয়ায্যিন) কেননা, সে মানুষকে সালাতের দিকে আহবান করে। আযান মানে দাওয়াত দেয়া আর সৎকর্ম হলো সালাত আদায় করা। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মুয়াযযিনদের মর্যাদায় রাসূলুল্লাহ সা.এর হাদীস:
মুআবিয়াহ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন মুয়াযযিনগণ লোকেদের মাঝে সুদীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবে। (সহীহ মুসলিম: ৩৮৭)
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম হলো (নামাযের) যামিন এবং মুয়াযযিন হল আমানাতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে মাফ কর। (আবু দাউদ: ৫১৭, তিরমিযী: ২০৭)
#অসঙ্গত ও অনর্থক কথা না বলা: উপরের আলোচনায় এটা পরিষ্কার হলো যে, কথা বলতে হবে সত্য, সঠিক ও ন্যায্য আর সঙ্গত কথা ছাড়া কোনো কথা বলা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা সফল মুমিনদের গুণাবলী/বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন-
"আর যারা আসার কর্মকাণ্ড থেকে থাকে বিমুখ।" ( সূরা ২৩ মুমিনুন: ৩)لغو এর অর্থ অসার ও অনর্থক কথা বা কাজ। এর মানে এমন প্রত্যেকটি কথা ও কাজ যা অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন ও যাতে কোন ফল লাভ হয় না। শির্কও এর অন্তর্ভুক্ত, গোনাহের কাজও এর দ্বারা উদ্দেশ্য হতে পারে [ইবন কাসীর]
(অসার ক্রিয়া-কলাপ)হলো- সেই প্রত্যেক কাজ ও কথা, যাতে কোন উপকার নেই অথবা যাতে দ্বীন বা দুনিয়ার কোনো প্রকার ক্ষতি আছে। এক কথায় যাবতীয় হারাম বা গর্হিত কথা ও কাজ।
সুতরাং মানুষের সামনে বক্তৃতা দেয়া বা কথা বলতে হবে সাবধানে। কেননা আমাদের যাবতীয় কথা-বার্তা সংরক্ষিত হচ্ছে। আল্লাহ বলেন-
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
" (মানুষ) যে কথাই উচ্চারণ করে (তা লিপিবদ্ধ করার জন্য) তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে। (সূরা ৫০ ক্বফ: ১৮) তিনি আরো বলেন-
"আর নিশ্চয়ই নিয়োজিত আছেন তোমাদের উপর সংরক্ষকদল; সম্মানিত লেখকবৃন্দ; তারা জানে তোমরা যা কর"। (সূরা ৮২ ইনফিতার:১০-১২)
অনর্থক, অজানা বিষয়, ধারণাপ্রসূত, বানোয়াট/ উদ্ভট, মিথ্যা, অশ্লীল, আক্রমাণাত্মক কথা বলা বা মানুষের সামনে পরিবেশন করা হারাম। কেননা আমাদের এই বিষয়ে জিগ্যেস করা হবে। আল্লাহ বলেন-
"আর যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ করো না; কান, চোখ, হৃদয়- এদের প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।" (সূরা ১৭ ইসরা: ৩৬)আয়াতের অর্থ হলো, যে বিষয়ে তুমি জান না সে বিষয়ের পিছু নিয়ো না। [ফাতহুল কাদীর] ইবন আব্বাস বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, বলো না। অপর বর্ণনায় তিনি বলেছেন, যে বিষয় সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে কাউকে অভিযুক্ত করো না। কাতাদাহ বলেন, যা দেখ নি তা বলো না। মুহাম্মদ ইবনুল হানফিয়া বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না। [ইবন কাসীর]
#আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বান্দা আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষজনক এমন কথা অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলে, যার ফলে আল্লাহ তার মর্যাদা উন্নীত করে দেন। আবার কখনো বান্দা অন্যমনস্ক হয়ে আল্লাহর অসন্তোষজনক এমন কথা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামে গিয়ে পতিত হয়।” (বুখারী:৬১১৩)
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, “মানুষ চিন্তা-ভাবনা না করে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার দ্বারা তার পদস্খলন ঘ’টে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকে বেশি দূরত্ব দোযখে গিয়ে পতিত হয়।” (বুখারী: ৬৪৭৭, ৬৪৭৮, মুসলিম: ২৯৮৮)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা ধারনা করা থেকে বেঁচে থাকো; কেননা ধারনা করে কথা বলা মিথ্যা কথা বলা৷” [বুখারীঃ ৫১৪৩, মুসলিমঃ ২৫৬৩]
আবূ আব্দুর রহমান বিলাল ইবনে হারেস মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মানুষ আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। পক্ষান্তরে মানুষ আল্লাহ তা‘আলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।” (তিরমিযী: ২৩১৯, মুওয়াত্তা মালিক:১৮৪৮, রিয়াদুস সালেহীন:১৫২৪)
ভালো কথা বলা ও চুপ থাকার ফযিলত:
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালৈহীন: ১৫১৯)
আবূ মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলিম কে?’ তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।” (বুখারী: ১১,মুসলিম:৪২, রিয়াদুস সালেহীন: ১৫২০)
সাহাল ইবনে সায়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ গুপ্তা-ঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।” (বুখারী:৬৪৭৪, তিরমিযী: ২৪০৮)
#জিহ্বাকে_নিয়ন্ত্রণে_রাখা:
উক্ববাহ ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কিসে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?’ তিনি বললেন, “তুমি নিজ রসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর।) আর নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন কর।” (তিরমিযী: ২৪০৬)
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয়, তখন তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিভকে অত্যন্ত বিনীতভাবে নিবেদন করে যে, ‘তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ, আমাদের ব্যাপারসমূহ তোমার সাথেই সম্পৃক্ত। যদি তুমি সোজা সরল থাক, তাহলে আমরাও সোজা-সরল থাকব। আর যদি তুমি বক্রতা অবলম্বন কর, তাহলে আমরাও বেঁকে বসব।” (তিরমিযী: ২৪০৭, আহমাদ: ১১৪৯৮)
মু‘আয বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যে কথা বলি তাতেও কি আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে?’ তিনি বললেন, “তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক হে মুআয! মানুষকে তাদের নিজেদের জিভ-ঘটিত পাপ ছাড়া অন্য কিছু কি তাদের মুখ থুবড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে?” (তিরমিযী:২৬১৬ হাদীসের শেষাংশ)
#বাক_বাগ্মিতা
#সংকলন ও সম্পাদনায়: #সামসুল_আলম #নীল_মুসাফির
বিষয়: সাহিত্য
৭৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন