রসনায় লাগাম টানুন, কথা বলুন বুঝে-শুনে
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১৯ মে, ২০১৯, ০৮:২৪:০২ রাত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ لاَ يَرَى بِهَا بَأْسًا يَهْوِي بِهَا سَبْعِينَ خَرِيفًا فِي النَّارِ "
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ এমন কথাও বলে যে প্রসঙ্গে সে মনে করে যে, তাতে কোন অসুবিধা নেই, এইজন্য সে সত্তরবছর জাহান্নামে অবস্থান করবে। (তিরমিযী: ২৩১৪)
সুনানে ইবনে মাজাহতে হাদিসটির ভাষ্য এই রকম-
"মানুষ আল্লাহর অসন্তুুষ্টিমূলক কথা বলে এবং তাকে দূষণীয় মনে করে না। অথচ এই কথার দরুন সত্তর বছর ধরে সে জাহান্নামে পতিত হতে থাকবে"। ( সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৯৭০)
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলিয়াছেন যে, (অনেক সময়) মানুষ চিন্তা না করিয়া কথা বলে, পরিণামে সে জাহান্নামে পতিত হয়; আবার চিন্তা না করিয়া (এমন) কথা কেহ বলে, যাহার ফলে সে বেহেশতে গমন করে। (মুওয়াত্তা ইমাম মালেক: ১৮৪৯)
বুখারীতে এসেছে-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয় বান্দা এমন কথা বলে যার পরিনাম সে চিন্তা করে না অথচ এ কথার কারণে সে নিক্ষিপ্ত হবে জাহান্নামের এমন গভীরে যার দূরত্ব মাশরিক-এর দূরত্বের চাইতে অধিক। (বুখারী: ৬১১২)
মুসলিমে এসেছে-
বান্দা এমন কথা বলে, যার ক্ষতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা (গবেষণা) করে না। ফলে সে জাহান্নামের এমন গভীরে নিক্ষিপ্ত হয় যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যস্থিত ব্যবধানের চেয়েও অধিক দূরে। (মুসলিম: ২৯৮৮)
লোক হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ সেই লোক ধ্বংস হোক যে মানুষদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে। সে নিপাত যাক, সে নিপাত যাক। (তিরমিযী: ২৩১৫)
অর্থহীন কথা পরিত্যাগ করা:
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অনর্থকতা (কথা ও কাজে) ত্যাগ করা। (তিরমিযী: ২৩১৭)
রসনায় লাগাম টানা:
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার (সন্তুষ্টির) জন্য তার দু'চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (জিহবা) এবং দু'রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর হিফাযত করবে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করি। (বুখারী:৬১০৯)
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। মুক্তির উপায় কি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার রসনা সংযত রাখ, তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়ীতে অবস্থান কর) এবং তোমার গুনাহের জন্য ক্ৰন্দন কর। (তিরমিযী: ২৪০৬)
কথা বলুন সাবধানে, কেননা তা সংরক্ষিত হচ্ছে:
"মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে (তা লিপিবদ্ধ করার জন্য) তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে"। (সূরা ৫০ ক্বফ: ১৮)
#বিগলিত_মন
বিষয়: বিবিধ
৭০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন