সুখ-সম্মৃদ্ধ জীবনের পথে-৩

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ০২:৩৯:৫৩ রাত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

বিপদাপদে আল্লাহর উপর ভরসা ও সকল কর্মে দৃঢ় প্রত্যয়:

বিপদাপদ ও সকল কর্মে আল্লাহর উপর আস্থা ও ভরসা রাখতে হবেএবং দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।

আল্লাহ বলেন-

“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনই যথেষ্ট হবেন।” (সূরা ত্বালাক: ৩)

“তুমি তাঁর উপর নির্ভর কর যিনি চিরঞ্জীব, যাঁর মৃত্যু নেই।” (সূরা ফুরক্বান: ৫৮)

“তুমি কোন সংকল্প গ্রহণ করলে আল্লাহর প্রতি নির্ভর কর।" (সূরা আলে ইমরান:১৫৯)

ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন যে, ‘‘হাসবুনাল্লাহু অনি’মাল অকীল’’ কথাটি ইব্রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেছিলেন, যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি তখন বলেছিলেন যখন লোকেরা বলেছিল যে, ‘(কাফের) লোকেরা তোমাদের মুকাবিলার জন্য সমবেত হয়েছে; ফলে তোমরা তাদেরকে ভয় কর।’ কিন্তু এ কথা তাদের ঈমানকে বাড়িয়ে দিল এবং তারা বলল, ‘‘হাসবুনাল্লাহ্ অনি‘মাল অকীল।’’ অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনই উত্তম কর্মবিধায়ক। (বুখারী)

অন্য এক বর্ণনায় ইবনু আব্বাস বলেন, আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সময় ইব্রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেষ কথা ছিল, ‘‘হাসবিয়াল্লাহ্ অনি‘মাল অকীল।’’ (বুখারী: ৪৫৬৩, ৪৫৬৪)

উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযোগ্য ভরসা রাখ, তবে তিনি তোমাদেরকে সেই মত রুযী দান করবেন যেমন পাখীদেরকে দান করে থাকেন। তারা সকালে ক্ষুধার্ত হয়ে (বাসা থেকে) বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে (বাসায়) ফিরে।’’ (তিরমিযী: ২৩৪৪, ইবনু মাজাহ: ৪১৬৪)

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত এবং আর একজন হাতের কোন কাজ করে উপার্জন করত। অতঃপর উপার্জনশীল (ভাইটা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘সম্ভবতঃ তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।’’ (তিরমিযী: ২৩৪৫)



দ্বীনের উপর অটল থাকার গুরুত্ব:

মুমিনদের উপর কর্তব্য হলো জীবনের সর্বাবস্থায় ঈমানের উপর অটল থাকা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে দ্বীনের কাজ করা। আল্লাহ বলেন-

“নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর এই বিশ্বাসে অবিচলিত থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, এটাই তাদের কর্মফল।” (সূরা আহক্বাফ: ১৩-১৪)



আবূ আমর (মতান্তরে) আবূ আমরাহ সুফিয়ান ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে ইসলামের এমন একটি কথা বলে দিন, যে সম্পর্কে আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা না করতে হয়।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি বল, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম, অতঃপর (তার উপর) অনড় থাক।’’ (মুসলিম: ৩৮, তিরমিযী: ২৪১০)

শুভকাজ শিগগির করা ও তাতে প্রতিযোগিতা :

নেকীর কাজ যথা সম্ভব দ্রুত করা এবং তাতে প্রতিযোগিতা করা মুমিনের উপর কর্তব্য, কেননা কেউ জানে না তার মৃত্যু কখন আসবে এবং তার শেষ পরিণতি কী হবে।

"...অতএব তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে একত্র করবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতাবান।" (সূরা বাক্বারা ২:১৪৮)



"তোমরা প্রতিযোগিতা (ত্বরা) করো, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে ক্ষমা এবং বেহেশ্তের জন্য, যার প্রস্থতা আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা ধর্মভীরুদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।" ( সূরা আলে ইমরান, ৩:১৩৩)



পার্থিব ধন-সম্পদের পিছনে পড়ে থেকে আখেরাতকে বরবাদ না করে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের আনুগত্যের, আল্লাহর ক্ষমা এবং তাঁর সেই জান্নাতের পথ ধরতে হবে, যা ধর্মভীরু বা মুত্তাক্বীদের জন্য তিনি প্রস্তুত করেছেন।

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমরা অন্ধকার রাতের টুকরো সমূহের মত (যা একটার পর একটা আসতে থাকে এমন) ফিতনাসমূহ আসার পূর্বে নেকীর কাজ দ্রুত করে ফেল। মানুষ সে সময়ে সকালে মু’মিন থাকবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে অথবা সন্ধ্যায় মু’মিন থাকবে এবং সকালে কাফের হয়ে যাবে। নিজের দ্বীনকে দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করবে। (মুসলিম: ১১৮, তিরমিযী: ২১৯৫, আহমাদ: ৭৯৭০, ৮৬৩১, ৮৮২৯)



আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ সাদাকাহ নেকীর দিক দিয়ে বড়?’ তিনি বললেন: ‘‘তোমার সে সময়ের সাদাকাহ করা (বৃহত্তম নেকীর কাজ) যখন তুমি সুস্থ থাকবে, মালের লোভ অন্তরে থাকবে, তুমি দরিদ্রতার ভয় করবে এবং ধন-দৌলতের আশা রাখবে। আর তুমি সাদকাহ করতে বিলম্ব করো না। পরিশেষে যখন তোমার প্রাণ কণ্ঠাগত হবে, তখন বলবে, ‘অমুকের জন্য এত, অমুকের জন্য এত। অথচ তা অমুকের (উত্তরাধিকারীর) হয়েই গেছে।’’ (সহীহ বুখারী: ১৩৫৩, মুসলিম: ১০৩২)

আল্লাহ বলেন-

"হে বিশ্বাসীগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দান করেছি, তা থেকে তোমরা দান করো, সেই (শেষ বিচারের) দিন আসার পূর্বে, যেদিন কোনো প্রকার ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবে না। আর অবিশ্বাসীরাই সীমালংঘনকারী। ( সূরা বাক্বারা, ২:২৫৪)



দ্বীনের পথে নিরলস প্রচেষ্টা ও আজীবন সংগ্রাম করা:

আল্লাহর দ্বীনকে ব্যক্তিগতভাবে, পারিবারিকভাবে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চেষ্টা-সাধনা করা, পরিশ্রম করা আবশ্যিক এবং তাতে বিজয়ী হওয়ার জন্য কুপ্রবৃত্তি ও শয়তানের বিরুদ্ধে সব সময় সংগ্রাম করে যেতে হবে।

আল্লাহ বলেন-

“যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথসমূহে পরিচালিত করব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গেই থাকেন।” (সূরা আনকাবূত, ২৯: ৬৯)



আল্লাহর পথে যারা চেষ্টা- প্রচেষ্টা চালাবে আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের ঐ সকল পথে পরিচালিত করবেন, যে সকল পথে চললে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।

“আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।”(সূরা হিজর: ৯৯)



আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা বলেন- "আমাকে আমার বান্দা যেভাবে ধারণা করে থাকে আমি (তার জন্য) সে রকমই। যখন সে আমাকে স্মরণ করে সে সময় আমি তার সঙ্গেই থাকি। সুতরাং সে আমাকে মনে মনে স্মরণ করলে তাকেও আমি মনে মনে স্মরণ করি। আমাকে সে মাজলিসে স্মরণ করলে আমিও তাকে তাদের চাইতে ভাল মজলিসে (ফেরেশতাদের মাজলিসে) মনে করি। সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে এলে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, তবে তার দিকে আমি এক বাহু এগিয়ে যাই। সে আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হলে আমি তার দিকে দৌড়িয়ে এগিয়ে যাই। ( সহীহ বুখারী:৬৯৭০, মুসলিম: ২৬৭৫)

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, (দেহমনে) সবল মু’মিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মু’মিন অপেক্ষা বেশি প্রিয়। আর প্রত্যেকের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তুমি ঐ জিনিসে যত্নবান হও, যাতে তোমার উপকার আছে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর ও উৎসাহহীন হয়ো না। যদি তোমার কিছু ক্ষতি হয়, তাহলে এ কথা বলো না যে, ‘যদি আমি এ রকম করতাম, তাহলে এ রকম হত।’ বরং বলো, ‘আল্লাহর (লিখিত) ভাগ্য এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন।’ কারণ, ‘যদি’ (শব্দ) শয়তানের কাজের দুয়ার খুলে দেয়। (বুখারী: ২৬৬৪)

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘জাহান্নামকে মনোলোভা জিনিসসমূহ দ্বারা ঘিরে দেওয়া হয়েছে এবং জান্নাতকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে কষ্টসাধ্য কর্মসমূহ দ্বারা।’’ (বুখারী: ৬৪৮৭, তিরমিযী: ২৫৬০)

সর্বোত্তম মানুষ কে_?

আবূ সাফওয়ান আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর আসলামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সর্বোত্তম মানুষ সেই ব্যক্তি যার বয়স দীর্ঘ হয় এবং আমল সুন্দর হয়।’’ (তিরমিযী: ২৩২৯)

নেকীর কাজকে তুচ্ছ গণ্য না করা:

আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘তুমি পুণ্যের কোনো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পার।’’ (অর্থাৎ হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও পুণ্যের কাজ)। (মুসলিম: ২৬২৬, তিরমিযী: ১৮৩৩)

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে না; বরং) দু’জন মানুষের মধ্যে তোমার মীমাংশা করে দেওয়াটাও সাদকাহ, কোন মানুষকে নিজ সওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহ, ভাল কথা বলা সাদকাহ, নামাযের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।’’

এটিকে ইমাম মুসলিম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদাকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’ (বুখারী: ২৭০৭, মুসলিম: ১০০৭, ১০০৯)

পরোপকারের মাঝে সবচেয়ে বেশি নেকী:



জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে কোন মুসলিম কোন গাছ লাগায়, অতঃপর তা থেকে যতটা খাওয়া হয়, তা তার জন্য সাদকাহ হয়, তা থেকে যতটুকু চুরি হয়, তা তার জন্য সাদকাহ হয় এবং যে কোনো ব্যক্তি তার থেকে কিছু গ্রহণ করে, সেটাও তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।’’

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মুসলিম যে গাছ লাগায়, আর তা থেকে কোনো মানুষ, কোনো জন্তু এবং কোনো পাখী যা কিছু খায়, তা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য সাদাকাহ হয়ে যায়।’’

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মুসলিম যে গাছ লাগায় এবং ফসল বুনে অতঃপর তা থেকে কোনো মানুষ, কোন জন্তু অথবা অন্য কিছু খায়, তবে তা তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।’’ (দ্রষ্টব্য: মুসলিম: ১৫৫২, আহমাদ, দারেমী: ২৬১০, রিয়াদুস সালেহীন: ১৩৫)

চলবে....

সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম দোয়েল

বিষয়: সাহিত্য

৬১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File