বাকশালের পথে একধাপ! বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:১৬:৪০ সন্ধ্যা
একটি পাতানো ও তামাশার নির্বাচনে এই যে এতোগুলো প্রাণ চলে গেলো, এর দায়ভার কে নেবে? সরকার নাকি ঐক্যফ্রন্ট? পরস্পরে দোষারোপ করে কি এই রক্তপাতের ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব? ড. কামাল হোসেনের আশার মুলা ঝুলানো দেখে মি. ফখরুলের মতো সজ্জন বেকুবটা নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়লেন অথর্ব খেলোয়াড় আর সমর্থক নিয়ে। একবারও ভেবে দেখেন নি, বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু আর অবাধ হয় নি!
ডিসেম্বর ০৯ তারিখ ১২:৫৩টায় ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেছিলাম- (https://www.facebook.com/sajeedi)
"রাজনীতি বা বাংলাদেশে প্রচলিত গণতন্ত্র কবির চোখে কাব্যবিলাস চিত্র নয়, নয় কোনো ধর্মের পবিত্র আদর্শিক চেতনা। কাশফুলের নরম ছোঁয়া অনুভূতির নাম রাজনীতি নয়। ক্ষমতা আর পদ- গদিয়ান কেউ ( বংশগত বা রাজতন্ত্রেও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বিদ্যমান) কাউকে ডেকে এনে দেয় না বা উপহার লব্ধ নয়। বর্তমানে বি এন পি ও তাদের জোটভুক্ত দলগুলোর আচরণ আর অনলাইন সক্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে, সঠিক প্রার্থী দিতে পারলে বা জোটগত ভাবে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করতে পারলে বা বাহ্যিক সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই তাদের নিরুঙ্কুশ বিজয় চলে আসবে!
শেখ হাসিনার দুর্দান্ত চালে প্রাথমিকভাবে আওয়ামী পক্ষের বিজয় হয়েছে, আন্দোলনের পরিবর্তে তাদের খামোকা মার্কা নির্বাচনে টেনে এনে মেরুদণ্ডহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত করতে পেরে। দেশে এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয় নি যে হাসিনা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য। সাধারণ জনগণেরও দায় নেই ক্ষমতালোভী কারো ক্ষমতায় বসানোর লড়াইয়ে শরীক হওয়া।
পরিস্থিতি যা তাতে আবারো আওয়ামী জোটের বিজয় সুনিশ্চিত। যদি না ভিন্ন কোনো পরিবেশ তৈরি হয়!
বি এন পি বা জাতীয়তাবাদী দলগুলোর উচিত ছিলো, একটাই দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া, হাসিনার অধীন নির্বাচন নয়, এক দফা এক দাবি- তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন।"
এখন তো তাই ঘটতে যাচ্ছে, বি এন পি,কে পতিত দলে পরিণত করে জামায়াতের মতো একঘরে ফেলবে, বাকি ছোট ছোট দলগুলো বিলীন হয়ে যাবে সরকারী লোভ আর ভীতির কাছে; আর এভাবে একদিন বাংলায় ৭৫-এর বাকশাল ফিরে এনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করবে তার সুযোগ্য কন্যা। তার মতো এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষ পৃথিবীতে খুবই বিরল! বাপের হত্যাকান্ডের জন্য এই দেশের মানুষের উপর তার চরম ক্ষোভ। তারই প্রতিশোধ সে নিচ্ছে ধীরে ধীরে। আজকে যারা তার দলীয় মিত্র (ইনু, মেনন) প্রথমে তাদের ধরে সাইজ করবে, পরে দলীয় লোকদের একে একে সাইজ করে বাপের স্বপ্নের "বাকশাল" প্রতিষ্ঠা করে শুধু শেখ পরিবারই রাজনীতি তথা রাজতন্ত্রে অধিষ্ঠিত থাকবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ কখনো নাগরিক হতে পারলো না, এখন প্রজাতন্ত্রের জনগণ পরবর্তীতে আক্ষরিক অর্থেই প্রজা হিসেবে থাকতে হবে, যদি না বিরোধীজোট বিষয়গুলো ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধি করতে না পারে।
আজ এতগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়া ও হাজার খানেক গুম ও লাখ খানেক জেলের ভিতর, এটা যদি "একদফা" আন্দোলনের জন্য হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। কিছুটা হলেও সরকারের টনক নড়ে গদিও নড়ে উঠতো।
এখনও অবস্থা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় নি, সময় আছে আন্দোলনের, আন্তর্জাতিকভাবে চাঁপ সৃষ্টির। বিরোধীজোটের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
বিষয়: রাজনীতি
৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন