সাতটি বিষয়ের আদেশ ও নিষেধ (দরসে হাদীস)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:০৪:৫১ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সাতটি বিষয়ের আদেশ ও নিষেধ (দরসে হাদীস)
عن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بسبع ونهانا عن سبع أمرنا بعيادة المريض واتباع الجنازة وتشميت العاطس وإبرار القسم أو المقسم ونصر المظلوم وإجابة الداعي وإفشاء السلام ونهانا عن خواتيم أو عن تختم بالذهب وعن شرب بالفضة وعن المياثر وعن القسي وعن لبس الحرير والإستبرق والديباج
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি বিষয়ের আদেশ ও সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন- (১) রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, (২) জানাযায় শরীক হতে, (৩) হাঁচির জবাব দিতে (আলহামদুলিল্লা-হ’র জবাবে ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলতে,) (৪) কসম করলে তা পূর্ণ করতে (৫)মাযলূমের সাহায্য করতে (৬)দা‘ওয়াত দিলে তা কবূল করতে, (৭)সালামের প্রচলন/প্রসার করতে। তিনি আমাদের নিষেধ করেছেন-(১) সোনার আংটি পরতে (২)রূপার পাত্রে পান করতে (৩) লাল নরম গদীতে বসতে (ঘোড়ার পিঠের ওপরে রেশমী গদি) (৪) ‘কাসসিয়া’ বা পাতলা রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে (৫) রেশমী পোষাক পরতে (৬) ইস্তেবরাক বা [মোটা রেশম] ও (৭) দীবাজ বা পাতলা রেশম] পরতে।
সূত্র: সহীহ মুসলিম (পোষাক অধ্যায়):২০৬৬, বুখারী: ৫৩১২,৫৫২৫, ৫৮৬৮, ১১৮২, ৪৮৮০, ৫৩২৬, ৫৫১১, ৫৮৮১, ২৩১৩, তাছাড়া সুনানুল কুবরা, ৫৭১০, ১৯৬৬৫, মুসনাদে আহমাদ:১৮১৭০, নাসাঈ:১৯৩৯, তিরমিযী:২৮০৯
কিছু বণর্নায় "দাওয়াত কবুলের" পরিবর্তে অসহায় বা দূর্বলদের সাহায্য করা( বুখারী:৫৮৮১)
রোগীর সেবা বা খোঁজ নেয়া: কাছের হোক বা দুরের, আপন বা পর, পরিচিত বা অপরিচিত সর্বপ্রকার রোগী দেখতে যাওয়া ও সেবাযত্ন করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
জানাযায় অংশ নেয়া: (চেনা বা অচেনা, কাছের বা দুরের) জানাযায় উপস্থিত হওয়া ফরযে কেফায়া এবং দাফন কাফনে অংশ গ্রহণ সুন্নাত।
হাঁচির জবাব দেয়া: হাঁচিদাতা "আলহামদুলিল্লাহ" বললে জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা।
কসম পূর্ণ করা: মন্দ বা ক্ষতিকর না হলে কসম পূর্ণ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। তবে যত্র তত্র কসম করা ভালো কাজ নয়।
মাযলূম বা অত্যাচারিতকে সাহায্য করা: আল্লামা নবী বলেন- মাযলূমকে সাহায্য করা ফরযে কেফায়া।
দেওয়াত দিলে কবুল করা: (যে কোনো প্রকার বৈধ) খাবার গ্রহণের দাওয়াত দিলে গ্রহণ করা সুন্নাত। বিশেষ করে ওয়ালিমার (বিবাহোত্তর বরের পক্ষের খাবার) দাওয়াত কবুল করা।
সালামের প্রসার: চেনা-অচেনা সকলের মাঝে সালামের বিস্তার করা। সালাম দেয়া সুন্নাত, জবাব দেয়া ওয়াজিব।
কাসসী সম্পর্কে জাযারী বলেনঃ মিসর হতে আমদানীকৃত রেশমযুক্ত কাত্তানী তাঁত কাপড়। রূপার পাত্র হারাম সোনার পাত্র আরও বেশি হারাম। অন্য হাদীসে সুস্পষ্টভাবে তা হারাম করেছে। আর এটা হারাম অপচয় ও অহংকারের জন্য। খাত্ত্বাবী বলেন, এ বিষয়গুলো হুকুমের বিধানের ভিন্নতা রয়েছে। ‘আম, খাস এবং ওয়াজিব। সুতরাং সোনার আংটি, রেশম ও দিবাজ পরিধান করা খাস করে পুরুষের জন্য হারাম। আর রৌপের পাত্র ‘আমভাবে পুরুষ, মহিলা সকলের জন্য হারাম, কেননা তা অপচয় ও অহংকারের পথ।
সম্পাদনায়: সামসুল আলম
দরসে হাদীস
বিষয়: সাহিত্য
৭০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন