ইশার সালাতের পূর্বে ঘুমানো ও ইশার পর কথা-বার্তা বলা মাকরুহ (দরসে হাদীস)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৩:৩২:৩১ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ইশার সালাতের পূর্বে ঘুমানো ও ইশার পর কথা-বার্তা বলা মাকরুহ (দরসে হাদীস)
عن أبي برزة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يكره النوم قبل العشاء والحديث بعدها
আবূ বারযা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং এর পরে কথা বলা অপছন্দ করতেন।
সূত্র: সহীহ বুখারী: ৫৪৩, সহীহ ইবনে খুযাইমাহ:৩৪৬,সহীহ মুসলিম: ৬৪৭, বর্ণনাটি এ রকম- (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সলাত দেরী করে মধ্যরাতে আদায় করতে কোন দ্বিধা বা ভ্ৰক্ষেপ করতেন না এবং তিনি ইশার সলাতের পূর্বে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।)সুনানে নাসাঈ: ৪৯৫, সুনানুল কুবরা:২০৪৯, মু'জামুল আওসাত লিততাবারানী :২৮২৭,৯২৩৪(হাদীসের ভাষ্য- রাসূলুল্লাহ সা. নিষেধ করতেন ইশার পূর্বে ঘুমাতে ও পরে কথা বলতে) আবু দাউদ:৩৯৮,মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ:৭৪৬, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক:২১৩১, তিরমিযী: ১৬৮
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, আবূ বরাযা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। আলিমদের কেউ কেউ ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং ইশার পর কথা বলা মাকরুহ বলে অভিমত দিয়েছেন; আর কেউ কেউ এই বিষয়ে অনুমতি আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু মুাবরাক বলেন, অধিকাংশ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, এই কাজ মাকরূহ।
ইশার পর "কথা-বার্তা" বলতে অনর্থক বা ফালতু গল্প-গুজব (سَامِرًا تَهْجُرُونَ ) বুঝানো হয়েছে। নইলে প্রয়োজনীয় কথা বা ইসলামী শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা বৈধ এবং রাসূল থেকে প্রমাণিত। (দ্রষ্টব্য বুখারী: ৫৭৫) সুতরাং এমন সময় ইশার সালাতের জামাত হওয়া উচিত যাতে দুটোই রক্ষা করা যায়, বিশেষত সালাতকে কিছুটা (মুসুল্লিদের প্রতি লক্ষ্য রেখে) বিলম্বিত করা এবং সালাতের পর ঘুমিয়ে যাওয়া।
সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম
বিষয়: সাহিত্য
৬৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন