দাঁত মাজা (দরসে হাদীস)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ০৩:৩৫:৪১ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
দাঁত মাজা (দরসে হাদীস)
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لولا أن أشق على أمتي أو على الناس لأمرتهم بالسواك مع كل صلاة
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্যে অথবা (তিনি বলেছেন) মানুষের জন্য যদি কষ্টসাধ্য না হতো, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী, কিতাবুল জুম'আ:৮৪৭, মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে মুমিন অথবা উম্মাতের কথা। হা: ২৫২)
তাছাড়া সুনানে ইবনে মাজাহ:২৮৭, তিরমিযী:২২, সুনানে দারেমী:৬৮৩, সুনানে নাসাঈ:৭, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী:১৪৫,১৪৬, মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ:১৬৮, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক:১৯৬০৫
শুধু এই শব্দগুলোতে- لولا أن أشق على أمتي لأمرتهم بالسواك "আমার উম্মাতের উপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে আমি তাদেরকে মিস্ওয়াক করার হুকুম করতাম।"অর্থ্যাৎ ফরয করা হতো। এই বর্ণনা এসেছে- (বুখারী: ৬৮১৩, মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালেক: ১৪৭,
অপর বর্ণনায় এসেছে- "আমি আমার উম্মাতের জন্য যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে ‘ইশার সালাত দেরিতে আদায় করতে ও প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ করতাম।" (সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী: ৩৭/ ১৩৬-, সুনানে আবু দাউদ:৪৬, সুনানে দারেমী:১৪৮৪, সহীহ ইবনে খুযাইমাহ:১৩৯, আহমাদ:৭৩৬৪,
তাছাড়া মুসতাদরাক(হাকেম):৫৩১, তাবারানীর মু'জামুল কাবীর ও আওসাতে সহ অন্যান্য সকল হাদীস গ্রন্থে কখনো ওযুর সাথে কখনো সালাতের সাথে কখনো শুধু মিসওয়াকের কথা এসেছে।
আলোচনা: মুখের গন্ধ ও দাঁতের ময়লা পরিষ্কারের জন্য মিসওয়াক বা মাজনের বিকল্প নেই। মুখে গন্ধ হলে আশে-পাশের মানুষের কষ্ট হয়। বিশেষ করে সালাতের জন্য মসজিদে বা যে কোনো মজলিসে দুর্গন্ধময় মুখ নিয়ে যাওয়া গর্হিত কাজ। মানুষকে কষ্ট দেয়া শরীয়াতে বৈধ নয় সুতরাং নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে এবং মুখকে পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠে, সালাতের সময়/ওযুর সময়, কুরআন তেলাওয়াতের সময় ইত্যাদি।
মিসওয়াক বা দাঁত মাজা হলো মুখ পরিষ্কারকারী ও আল্লাহর সন্তুষ্টি:
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ النَّبِيِّ ﷺ السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মিসওয়াক হলো মুখগহ্বর পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তোষ লাভের মাধ্যম।(নাসায়ী ৫, সহীহুত্ তারগীব ২০৯, আহমাদ:২৩৬৮৩/ ২৪২০৩/২৫৪৮৩, দারিমী: ৬৮৪, মুছান্নাফে ইবনে শাইবাহ:১৬৮/১১, বাইহাকী:৩৪, সহীহ ইবনে খুজাইমাহ:১৩৫)
হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের জন্য ঘুম থেকে উঠেই মিসওয়াক দ্বারা ঘষে মুখ পরিষ্কার করে নিতেন। (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত:৩৭৮)
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে মিসওয়াকের (গুরুত্ব ও ফাযীলাতের) ব্যাপারে অনেক বেশী বললাম।(বুখারী:৮৪৮, বাইহাকীর সুনানুল কুবরা:১৩৪, নাসাঈ:৬, দারেমী:৬৮১)
সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম
বিষয়: সাহিত্য
৭৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন