কবরের আযাব/শাস্তি সত্য (দরসে হাদীস)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২১ জানুয়ারি, ২০১৮, ০৪:০৪:০৫ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
কবরের আযাব/শাস্তি সত্য (দরসে হাদীস)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ، وَتَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ، أَتَاهُ مَلَكَانِ فَيُقْعِدَانِهِ فَيَقُولاَنِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم. فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ. فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَقْعَدِكَ مِنَ النَّارِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ بِهِ مَقْعَدًا مِنَ الْجَنَّةِ، فَيَرَاهُمَا جَمِيعًا ". قَالَ قَتَادَةُ وَذُكِرَ لَنَا أَنَّهُ يُفْسَحُ فِي قَبْرِهِ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ قَالَ " وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَهُ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي، كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ. فَيُقَالُ لاَ دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ. وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيدٍ ضَرْبَةً، فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ، غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ "
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (মৃত) বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তার সাথী এতটুকু মাত্র দূরে যায় যে সে (মৃত ব্যাক্তি) তখনও তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। এ সময় দু’জন ফিরিশতা তার কাছে এসে তাকে বসান এবং তাঁরা বলেন, এ ব্যাক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তুমি কী বলতে? তখন মু’মিন ব্যাক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। তখন তাঁকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানস্থলটির দিকে নজর করো, আল্লাহ তোমাকে তার বদলে জান্নাতের একটি অবস্থানস্থল দান করেছেন। তখন সে দু’টি স্থলের দিকেই দৃষ্টি ফেলবে।
কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, সে ব্যাক্তির জন্য তাঁর কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হবে। এরপর তিনি (কাতাদা) পুনরায় আনাস (রাঃ) এর হাদীসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি (আনাস (রাঃ)] বলেন, আর মুনাফিক বা কাফির ব্যাক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে- তুমি এ ব্যাক্তি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে কী বলতে? সে উত্তরে বলবে, আমি জানিনা। লোকেরা যা বলত আমি তা-ই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, যার ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, দু’ জাতি (মানব ও জ্বীন) ব্যতিত তার আশপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে।
সূত্র:(বুখারী, জানাযা অধ্যায়:১৩০৮, সুনানে আবু দাউদ:৪৭৫১, সুনানে নাসাঈ:২০৫১, মুসনাদে আহমাদ:১১৮৬২; (শুধু প্রথমাংশ তথা মুমিনদের অবস্থা বর্ণিত আছে-) মুসলিম :২৮৭০, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী:৭০৫৩, মু'জামুল আওসাত (তাবারানী):৭০২১, নাসাঈ:২০৫০, আহমাদ:১৩০৩৪) এই হাদীসের প্রেক্ষাপট সুনানে আবু দাউদের হাদীসে এসেছে- "একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী নাজ্জার গোত্রের একটি খেজুর বাগানে প্রবেশ করে একটা শব্দ শুনে শঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন করলেন, এ কবরগুলো কাদের? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরা সেসব লোক যারা জাহেলী যুগে মারা গেছে। তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট জাহান্নামের আযাব থেকে ও দাজ্জাল সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে আশ্রয় চাও। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তা কেন? তিনি বললেন, যখন কোনো মু‘মিন ব্যক্তিকে......
আলোচনা:
কবর বলতে মৃত্যু পরবর্তী জীবন হাশরের পূর্ব পর্যন্ত তথা "আলমে বারযাখ"। আল্লাহ বলেন- وَمِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ اِلى يَوْمِ يُبْعَثُوْنَ ‘‘পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত তারা বারযাখে থাকবে।’’ (সূরাহ্ ২৩ আল মু’মিনূন: ১০০)
বারযাখ হচ্ছে দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝের এক পৃথিবী। কাউকে কবরস্থ করা না হলেও সেও কবরের অবস্থার সম্মুখীন হবে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- "আখিরাতের মঞ্জীলসমূহের মধ্যে কবর হলো প্রথম মঞ্জীল। কেউ যদি এ মঞ্জীলে মুক্তি পেয়ে যায়, তাহলে পরের মঞ্জীলসমূহ অতিক্রম করা তার জন্য সহজসাধ্য হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি এ মঞ্জীলে মুক্তি লাভ করতে পারলো না, তার জন্য পরবর্তী মঞ্জীলসমূহ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।" (তিরমিযী: ২৩০৮, সহীহুত তারগীব:৩৫৫০)
আল্লাহ বলেন-
وَلَوْ تَرَىٰ إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُو أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ ۖ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَকবরের আযাব সত্য। অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা এটা সাব্যস্ত। যারা এটা অস্বীকার করে তারা প্রকৃত পক্ষে সত্য থেকে বহুদূরে এবং গোমরাহী। যেমন হাদীসে এসেছে-
যদি তুমি দেখতে পেতে (তখনকার অবস্থা), যখন (ঐ) যালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকবে, আর ফিরিশতাগণ হাত বাড়িয়ে বলবে, ‘তোমাদের প্রাণ বের কর। আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি দান করা হবে; কারণ তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে অন্যায় বলতে ও তাঁর আয়াত গ্রহণে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে।’ (সূরা ৬ আনআম:৯৩)
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ يَهُودِيَّةً، دَخَلَتْ عَلَيْهَا، فَذَكَرَتْ عَذَابَ الْقَبْرِ، فَقَالَتْ لَهَا أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَقَالَ " نَعَمْ عَذَابُ الْقَبْرِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ تَعَوَّذَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. زَادَ غُنْدَرٌ " عَذَابُ الْقَبْرِ حَقٌّ "
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ইয়াহুদী স্ত্রীলোক আয়িশা (রাঃ) এর কাছে এসে কবর আযাব সম্পর্কে আলোচনা করে তাঁকে (দু’আ করে) বলল, আল্লাহ আপনাকে কবর আযাব থেকে রক্ষা করুন। পরে আয়িশা (রাঃ) কবর আযাব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কবর আযাব (সত্য)।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, এরপর থেকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন কোন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে আমি দেখিনি, যাতে তিনি কবর আযাব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেননি। [এ হাদীসের বর্ণনায়] গুনদার অধিক উল্লেখ করেছেন যে, "কবরের আযাব বাস্তব সত্য।" (বূখারী: ১৩০৬)
عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّ يَهُودِيَّةً، أَتَتْ عَائِشَةَ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ قَالَتْ عَمْرَةُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَخَرَجْتُ فِي نِسْوَةٍ بَيْنَ ظَهْرَىِ الْحُجَرِ فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مُصَلاَّهُ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ فَقَامَ وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ - قَالَتْ عَائِشَةُ - فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ ذَلِكَ الرُّكُوعِ ثُمَّ رَفَعَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَمْرَةُ فَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ فَكُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ .
আমরাহ রহ. থেকে বর্ণিত। জনৈকা ইয়াহুদী মহিলা আয়িশা (রাঃ) এর নিকট প্রশ্ন করতে এসে বলল, "আল্লাহ তোমাকে কবরের আযাব হতে রক্ষা করুন।" আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষকে কবরে আযাব দেয়া হবে কি? আমর বলেন, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এরপর একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওয়ারীতে আরোহণ করলেন তখন সূর্যগ্রহণ দেখা দিল। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি কয়েকজন মহিলাসহ বের হয়ে মসজিদের সে অংশে গেলাম যা হুজরার পাশ্চাৎভাগে ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাওয়ারী হতে নেমে যেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন সে মূসাল্লায় পৌছলেন এবং সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। লোকেরাও তাঁর পিছনে দাঁড়ালেন।
আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু করলেন অতি দীর্ঘ। তারপর মাথা তুললেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। কিন্তু এটা ছিল প্রথম দাঁড়ান হতে কিছু কম। আবার রুকু’ করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন। কিন্তু পূর্বের তুলনায় কিছু কম। এরপর মাথা তুললেন। তখন সূর্য পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
তখন তিনি বললেন, আমি দেখেছি তোমরা কবরে মহা পরীক্ষার সম্মুর্খীন হবে। যেমন তোমরা দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখীন হবে। আমর বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলতেন, এরপর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জাহান্নামের আযাব এবং কবরের আযাব হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে শুনতাম। (সহীহ মুসলিম, সালাতুল কুসূফ অধ্যায়: ৯০৩, সুনানে নাসাঈ: ১৪৭৫-৭৬)
পেশাব থেকে সতর্ক না হওয়া ও চোগলখুরীর কারণে কবরের আযাব:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا بِنِصْفَيْنِ، ثُمَّ غَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً. فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَ صَنَعْتَ هَذَا فَقَالَ " لَعَلَّهُ أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا ".
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না (যা থেকে বিরত থাকা) দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি তাজা ডাল নিয়ে তা দু’ভাগে বিভক্ত করলেন, তারপর প্রতিটি কবরে একটি করে পুঁতে দিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেন এরূপ করলেন? তিনি বললেনঃ ডাল দু’টি না শুকান পর্যন্ত আশা করি তাদের আযাব হালকা করা হবে। (বুখারী, জানাযা অধ্যায়:১২৯৫, মুসলিম, তাহারাত অধ্যায়:২৯২)
রাসূলুল্লাহর দু'আ ছিল এরূপ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ "
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু্’আ করতেন,
(বুখারী:১৩১১, রাসূলুল্লাহ সা. সালাতের শেষ বৈঠকে এই চারটি বিষয় থেকে পানাহ চাইতেন, দ্রষ্টব্য: সহীহ মুসলিম:৫৮৮)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি "কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।
আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দন করুক এবং কবরের মহা পরীক্ষা থেকে রক্ষা করুন। আমীন!!
সংকলক ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম
বিষয়: সাহিত্য
১০২৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন