ক্ষতি না করা ও ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়া (দরসে হাদীস)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০৩:১৭:০১ রাত
যারা প্রকাশ্যে/লোকজনের সামনে ধূমপান করছেন তারা শুধু নিজেদেরই ক্ষতি করছেন না, পাশেরজনদেরও সমহারে ক্ষতি করছেন। নিঃসন্দেহে এটা হারাম কাজ। রাতের বেলা ওয়াজ মাহফিল বা জিকিরের হালকা করছেন? মাইক ব্যবহারে সতর্ক হৌন। নেকীর পরিবর্তে গোনাহ কামাই যেন না হয়
হাদীস:
عن أبي صرمة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ضار ضار الله به ومن شاق شاق الله عليه
আবূ সিরমাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি শক্রতা করবে, আল্লাহ্ তার শক্র হয়ে যাবেন।।
The Prophet (ﷺ) said: If anyone harms (others), Allah will harm him, and if anyone shows hostility to others, Allah will show hostility to him.
ব্যখ্যা: কেউ কোনো মুসলমানের ক্ষতি করলে, আল্লাহ তাকে ক্ষতির মাঝে ফেলেন। আর যে অন্যকে শত্রুতায় বা কষ্টে ফেলবে আল্লাহ তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলবেন। বলা হয়ে থাকে الضرر والمشقة ক্ষতি ও কষ্ট পরস্পর সংযুক্ত তথা পাশাপাশি এসে থাকে। তবে الضرر শব্দটি মাল বা অর্থের সাথে সম্পৃক্ত আর المشقة শব্দটি শারীরিক ক্ষতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (দেখুন-মুবারকপুরী সাহেবের তিরমিযীর শরাহ تحفة الأحوذي হা-১৯৪০)
আবূ ঈসা বলেন (ইমাম তিরমিযী রহ.), এ হাদীসটি হাসান গারীব।
আল মুসতাদরাক (হাকেম)-এ আবু সাঈদ খুদরী থেকে, সুনানে ইবনে মাজাহতে উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে সুনানে দারাকুতনীতে আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
কারো ক্ষতি করো না ও ক্ষতিগ্রস্থ হইও না (নিজের ক্ষতি করো না), কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন, আর যে অন্যকে কষ্টে ফেলবে আল্লাহ তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলবেন। হাকেম রহ. বলেন-হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ। (আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন:২৩৯২)
কিছু কাজ আছে অনেকেই এটাকে হালকা ভাবে নেয়, অথচ এতে মারাত্মক গোনাহ হচ্ছে, যেমন- প্রকাশ্যে ধূমপান করা ও মানুষের সাথে দূর্গন্ধময় মুখ দিয়ে কথা বলা, প্রকাশ্যে নাকের শ্লেমা বা কফ-থুথু ফেলা, রাতের বেলা উচ্চ শব্দ করা যাতে ঘুমন্ত বা অসুস্থ ব্যক্তির অসুবিধা হয়। (সুতরাং সাবধান! ওয়াজ বা জিকিরের নামেও সভাস্থল থেকে যেন শব্দ বাইরে না যায় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। উচ্চ শব্দের মাইক পরিহার করুন। খেয়াল রাখুন, সোয়াব মনে করে কী করছেন?) আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন।
( দ্রষ্টব্য: হাদীসটি এসেছে- আবু দাউদ: ৩৬৩৫, তিরমিযী:১৯৪০, সুনানুল কুবরা (লিল বাইহাকী): ১১০৭১, ১৯৮১৬, ইবনে মাজাহ:২৩৪২, মুসনাদে আহমাদ: ১৫৩২৮, মু'জামুল কাবীর:৮২৯)
সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম দোয়েল
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন