সকলকাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন ও নিয়মিত আমল: দরসে হাদীস
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১১ জুন, ২০১৭, ০২:৫৬:১৯ রাত
সকলকাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন ও নিয়মিত আমল: দরসে হাদীস
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا، وَاعْلَمُوا أَنْ لَنْ يُدْخِلَ أَحَدَكُمْ عَمَلُهُ الْجَنَّةَ، وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ أَدْوَمُهَا إِلَى اللَّهِ، وَإِنْ قَلَّ ”
বাংলা: আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে ও মধ্যমপন্থায় নেক আমল করতে থাক। আর জেনে রাখো যে, তোমাদের কাউকে তার আমল বেহেশতে নেবে না এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল হলো, যা নিয়মিত করা হয়, তা অল্পই হোক না কেন।
Allah’s Messenger (ﷺ) said, “Do good deeds properly, sincerely and moderately and know that your deeds will not make you enter Paradise, and that the most beloved deed to Allah is the most regular and constant even if it were little.”
ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তিই তার আমলের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে যাবে না বা যেতে পারবে না (মানুষ কর্মে ও বিশ্বাসে খুবই দূর্বল ও অসম্পূর্ণ বলে) বরং জান্নাতে যাবে আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে। মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে- মধ্যম পন্থা অবলম্বন কর, সহজপন্থা পন্থা ধারণ কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর, কারো আমলই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। একই অর্থে ও ভিন্ন শব্দে হাদীসটি বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে বুখারী ও মুসলিমে।
সুতরাং যারা আমল নিয়ে বাড়াবাড়ি করে (বিশেষ করে আমলের পদ্ধতি ও নফল ইবাদত নিয়ে) এবং নিজের মতটাই একশভাগ সঠিক মনে করে কারো উপর চাপিয়ে দেয় তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। রাসূলুল্লাহ সা. থেকে সহীহ বর্ণনার ভিত্তিতে যতগুলো মত-পথ-অবকাশ রয়েছে সবগুলোতেই কল্যাণ মনে করতে হবে।
আমল অল্প হৌক আর বেশি তা হতে হবে রাসূলের পদ্ধতিতে ও পরিপূর্ণ আন্তরিকতার সাথে। নফল বা মুস্তাহাব আমল নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ফরয ইবাদতে ইমাম বা কর্তত্বশীলদের সহজপন্থা ধারণ করতে হবে। মুমিনের সবকাজ হবে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা ও মধ্যমপন্থায়।
সুতরাং দাওয়াত-তাবলীগ-ইবাদত-আদব-আখলাক-মু’আমালাত-মু’আশারাতে (চলাফেরায় ও ব্যবহারে, সকলকাজ ও কথায়) মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে হবে।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সহজ করবে, কঠিনতা আরোপ করবে না, সুসংবাদ দেবে, অশান্তি-বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করবে না। (বুখারী:৬৯ মুসলিম: ৪৩৭৮)
আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। মুসলিম মিল্লাতের ঐক্যবদ্ধতা ও মধ্যমপন্থা ধারণ করার তাওফিক দিন। আমীন।
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, ইমাম বুখারী তার সহীহ:৬০৯৯, মুসলিম:৫০৪৩, ভিন্নশব্দে বাইহাকী সুনানুল কুবরা, আবু দাউদ:১৩৬৮
ব্যাখ্যা ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম দোয়েল
বিষয়: সাহিত্য
৭২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন