সংলাপ ও বাহাস: সবই কি নজরধেলাই?
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৬ মে, ২০১৭, ০২:১৬:০৪ রাত
আজ সকালে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি একদিকে আব্বাসি গ্রুপ অপরদিকে কওমি গ্রুপ পরস্পরের দিকে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব নিয়ে অপেক্ষা করছে বাহাসের জন্য (বিস্তারিত কিছুই জানি না)। আব্বাসীদের দেখলাম লাইভে... (আহারে! ফেসবুকের উপকারিতা!)
যতদিন পর্যন্ত " বিচার মানি তালগাছ আমার" জাতীয় মনোভাব পোষণ করে নিজের বুঝটাই ভালো মনে করে অপরের ঘাড়ে চাঁপিয়ে দেবার মানুসিকতা থাকবে ততদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক- সংস্কৃতির " সংলাপ" আর হুজুরদের কথিত "বাহাস" লোক দেখানো আর জনগণের ভোগান্তিই বাড়াবে!
আপনার চিন্তা-চেতনা, কর্ম, সৃষ্টিশীলতা যদি মানুষের কল্যাণে হয় তাহলে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই (তবে ক্ষমতার জন্য প্রয়োজন আছে!) মানুষই ভালোকে বেছে নেবে।
যা কিছু সওয়াবের জন্য করা হয় অথবা যেটা সরাসরি ইবাদত, তার সূত্র ওয়াহি হতে হবে। হৌক সেটা রাসূলের কর্ম বা আল কুরআন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করেন নি সেটাকে ইবাদত হিসেবে মানা বা যে পদ্ধতি রাসূলের নয় সেটা-ই বিদ'আত। আর বিদ'আত সব সময়ই পরিত্যজ্য।
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এ দীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে যা এতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮)
দুরূদ ও সালাম, যিকর/যিকির, দু'আ এসবই সরাসরি ইবাদত। সুতরাং এর পদ্ধতিও রাসূল সা.-এর দেখানো পন্থায় হতে হবে। সুতরাং মনগড়া মতো যিকর যেমন করা যাবে না তেমনি মনগড়া পদ্ধতিতে দরূদও পড়া যাবে না। মিলাদ-কিয়াম তো বাতিল এক জিনিস এটা নিয়ে বাহাসের কী?
সত্যকে মানা বা না-মানা মানুষের নিজস্ব ব্যাপার। সত্য বুঝাটাও ব্যক্তিগত। কাউকে জোর করে নিজের বুঝ যেমন বুঝানো যাবে না, তেমনি চাঁপিয়ে দেয়াটাও অন্যায়।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে (সত্যতা যাচাই না করে) তা-ই বলে বেড়ায়। (মুসলিম ৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৫৬১৭)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের দিকে আহবান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে, অথচ তাদের সাওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে না। অনুরূপ যে ব্যক্তি কাউকে গোমরাহীর দিকে আহবান করে তারও সে পরিমাণ গুনাহ হবে, যতটুকু গুনাহ তার অনুসারীদের জন্য হবে। অথচ এটা অনুসারীদের গুনাহকে একটুও কমাবে না। (মুসলিম)
আসুন সত্যকে জানি আর সত্যকে মানার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের হেদায়েতের পথে কবুল করুন! আমীন।!!
বিষয়: বিবিধ
৮৬৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার,
মন্তব্য করতে লগইন করুন