শবে মি'রাজ ও প্রাসঙ্গিক কথা
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ০৯:৪৩:৩৭ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُপবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের এক অংশে ভ্রমণ করিয়েছেন (মক্কার) মাসজিদুল হারাম হতে (ফিলিস্তীনের) মাসজিদুল আকসায়, যার পরিবেশকে আমি করেছি বরকতময়, যাতে আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই; নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সূরা ১৭ ইসরা:১)
ইসরা ও মিরাজ:
মসজিদুল আকসার সফর হল একটি নিদর্শন ও মু’জিযা। সুদীর্ঘ এই সফর রাতের সামান্য অংশে সুসম্পন্ন হয়ে যায়। এই রাতেই নবী (সাঃ)-এর মি’রাজ হয় অর্থাৎ, তাঁকে আসমানসমূহে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন আসমানে নবীদের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সপ্তাকাশের উপরে আরশের নিচে ‘সিদরাতুল মুন্তাহা’য় মহান আল্লাহ অহীর মাধ্যমে নামায এবং অন্যান্য কিছু শরীয়তের বিধি-বিধান তাঁকে দান করেন। ইসরা বলা হয় রাতের ভ্রমণকে। আর মি'রাজ মানে হলো উর্দ্ধগমন বা সিঁড়ি
সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত উম্মতের অধিকাংশ উলামা ও ফুকাহা এই মত পোষণ করে আসছেন যে, এই মি’রাজ মহানবী (সাঃ)-এর সশরীরে এবং জাগ্রত অবস্থায় হয়েছে। এটা স্বপ্নযোগে অথবা আত্মিক সফর ও পরিদর্শন ছিল না, বরং তা ছিল দেহাত্মার সফর ও চাক্ষুষ দর্শন। (তা না হলে এ ঘটনাকে অস্বীকারকারীরা অস্বীকার করবে কেন?) বলা বাহুল্য, এ ঘটনা মহান আল্লাহ (অলৌকিকভাবে) তাঁর পূর্ণ কুদরত দ্বারা ঘটিয়েছেন। এই মি’রাজের দু’টি অংশ। প্রথম অংশকে ‘ইসরা’ বলা হয়; যার উল্লেখ এখানে করা হয়েছে। আর তা হল, মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফর করার নাম। এখানে পৌঁছে নবী (সাঃ) সমস্ত নবীদের ইমামতি করেন। বায়তুল মাকদিস থেকে তাঁকে আবার আসমানসমূহে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এটা হল এই সফরের দ্বিতীয় অংশ। যাকে ‘মি’রাজ’ বলা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন-
নিশ্চয়ই সে তাকে (জিবরিল আ.) আরেকবার দেখেছিল।সিদরাতুল মুনতাহার নিকট। যার নিকট অবস্থিত (জান্নাতুল মা’ওয়া) বাসোদ্যান। (সূরা ৫৩ নাজম:১৩-১৫)
আরো বলেন-
তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি।নিঃসন্দেহে সে তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিল। (৫৩:১৭-১৮)
মি'রাজ সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা এখানেই শেষ।
মি'রাজের তারিখ:
শবে মি‘রাজের সঠিক তারিখ সম্পর্কে হাদীছ সমূহে কোন বর্ণনা নেই। এ সম্বন্ধে বিভিন্ন তারিখ বিভিন্ন জনের বর্ণনায় যা কিছু বলা হয়ে থাকে, তার কোনটিই হাদীছবিশারদ পন্ডিতগণের নিকট রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে সঠিকভাবে প্রমাণিত নয়।
মি'রাজের ঘটনা:
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ আমি মক্কাতে ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ ফাঁক করা হলো। তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করলেন। তিনি আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। এরপর তা যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন। তারপর হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি পাত্র আনা হলো এবং তা আমার বুকে ঢেলে বক্ষ বন্ধ করে দিলেনা আমার কাছে বুরাক আনা হল। বুরাক গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট একটি সাদা রঙের জন্তু। যতদুর দৃষ্টি যায়, এক এক পদক্ষেপে সে ততাদূর চলে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি এতে আরোহন করলাম এবং বায়তুল মাকদাস পর্যন্ত এসে পৌছলাম। তারপর অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কিরাম তাদের বাহনগুলো যে রজ্জুতে বাধতেন, আমি সে রজ্জুতে আমার বাহনটিও বাধলাম। তারপর মসজিদে প্রবেশ করলাম ও দু-রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে বের হলাম।
এর উপর আমাকে আরোহণ করান হল। আমরা চললাম এবং দুনিয়ার আসমান পর্যন্ত পৌছলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) দরজা খুলতে বললেন। বলা হল, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। বলা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, আমার সাথে মুহাম্মাদ আছেন। দাররক্ষী বললেন, তাঁর কাছে আপনাকে পাঠান হয়েছিল কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর দরজা খুলে দিলেন এবং বললেন, মারহাবা! কত সম্মানিত আগন্তুকের আগমন হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারপর আমরা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসলাম ... এভাবে বর্ণনাকারী পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে এ রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় আসমানে ঈসা ও ইয়াহইয়া, তৃতীয় আসমানে ইউসুফ, চতূর্থ আসমানে ইদরীস, পঞ্চম আসমানে হারুন (আলাইহিমুস সালাম) এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তারপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে গিয়ে পৌছি এবং মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গিয়ে তাঁকে সালাম দেই। তিনি বললেন, মারহাবা, হে সুযোগ্য নাবী, সুযোগ্য ভ্রাতা! এরপর আমরা ডাঁকে অতিক্রম করে চলে গেলে তিনি কাঁদতে শুরু করলেন। আওয়াজ এল, আপনি কেন কাঁদছেন? তিনি জবাব দিলেন, প্রভু, এ বালককে আপনি আমার পরে পাঠিয়েছেন; অথচ আমার উম্মাত অপেক্ষা তাঁর উম্মাত অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা আবার চললাম এবং সপ্তম আসমানে গিয়ে পৌছলাম ও . ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলাম। সাহাবী তাঁর এ হাদীসে আরো উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ সেখানে তিনি চারটি নহর দেখেছেন। তন্মধ্যে দুটি প্রকাশ্য ও দুটি অপ্রকাশ্য। সবগুলোই সিদূরাতূল মুনতাহার গোড়া হতে প্রবাহিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি বললাম, হে জিবরীল! এ নহর গুলো কি? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহরদ্বয় তো জান্নাতের নহর আর প্রকাশ্যগুলো নীল ও ফূরাত। অর্থাৎ এ দুটি নহরের সা’দূশ্য রয়েছে জান্নাতের ঐ দুটি নহরের সাথে।
এরপর আমাকে বায়তুল মামুরে উঠান হল। বললামঃ হে জিবরীল! এ কি? তিনি বললেন, এ হচ্ছে ‘বায়তুল মামুর’। প্রত্যহ এতে সত্তর হাজার ফেরেশতা (তাওয়াফের জন্য) প্রবেশ করে। তারা একবার তাওয়াফ সেরে বের হলে কখনও আর ফের তাওয়াফের সুযোগ হয় না তাদের। তারপর আমার সম্মুখে দূটি পাত্র পেশ করা হলো, একটি শরাবের, অপরটি দুধের। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, আপনি ঠিক করেছেন। আল্লাহ আপনার উম্মাতকেও আপনার ওসীলায় ফিতরাত এর উপর কায়েম রাখুন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বে চললেন। আমরা এমন এক স্তরে পৌঁছলাম যে, তথায় আমি কলম-এর খশমশ (লেখার) শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ইবনু হাযম ও আনাস ইবনু মালিক বর্ণনা করেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তখন আল্লাহ তা’আলা আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করেন। আমি এ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করার পথে মূসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার প্রতিপালক আপনার উম্মতের ওপর কি ফরয করেছেন? আমি উত্তরে বললাম, তাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) , ফরয করা হয়েছে।
মূসা (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন, আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত তা আদায় করতে সক্ষম হবে না। তাই আমি আল্লাহর নিকটে ফিরে গেলাম। তখন আল্লাহ এর অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আমি আবার ফিরে এসে মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জানালে তিনি বললেন, না, আপনি পুনরায় ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত এতেও সক্ষম হবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর আমি আল্লাহর নিকটে ফিরে গেলে তিনি বললেন, এ নির্দেশ পাঁচ, আর পাঁচই পঞ্চাশের সমান করে দিলাম, আমার কথার কোন রদবদল নেই।
এরপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে ফিরে আসি। তিনি তখনো বললেন, আপনি ফিরে যান আল্লাহর নিকটে। আমি বললাম আমার লজ্জা অনুভূত হচ্ছে। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে চললেন, আমরা সিদরাতুল মুনতাহায় পৌছলাম। তা এত বিচিত্র রঙে আবৃত যে, আমি বুঝতে পারছি না যে, আসলে তা কী। তারপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান হল। সেখানে ছিল মুক্তার গম্বুজ আর তার মাটি ছিল মিশকের। (মুসলিম: কিতাবুল ঈমান, বিভিন্ন হাদীসের অংশ)
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মি’রাজ রজনীতে সিদরাতূল মুনতাহা- পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হল। এটি ৬ষ্ঠ আসমানে অবস্থিত। যমীন থেকে যা কিছু উত্থিত হয়, তা সে পর্যন্ত গিয়ে পৌছে এবং সেখান থেকে তা নিয়ে যাওয়া হয়। তদ্রূপ ঊর্ধ্বলোক থেকে যা কিছু অবতরণ হয়, তাও এ পর্যন্ত এসে পৌছে এবং সেখান থেকে তা নেওয়া হয়। এরপর আবদুল্লাহ (রাঃ) তিলাওয়াত করলেনঃ إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى “যখন প্রান্তবর্তী (৫৩ঃ ১৬) এবং বলেন, এখানে যদ্দ্বারা কথাটির অর্থ স্বর্ণের পতঙ্গ। তিনি বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনটি বিষয় দান করা হলঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ), সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এবং শিরক মুক্ত উম্মাতের মারাত্মক গুনাহ ক্ষমার সুসংবাদ।(মুসলিম:২৫৭)
সহীহ হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ সা.এর সপ্ত আকাশ, সিদরাতুল মুনতাহা, বাইতুল মা'মুর ও জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শনের কথা এসেছে বিভিন্ন বর্ণনায়। এর বাইরে আর কিছু আসে নি।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা :
দৃষ্টিসমূহ তাঁকে আয়ত্ব করতে পারে না, কিন্তু দৃষ্টিসমূহ তাঁর আয়ত্বে আছে এবং তিনিই সূক্ষ্ণদর্শী; সম্যক পরিজ্ঞাত।(৬:১০৩)
আয়েশা (রাঃ) এই আয়াতের ভিত্তিতেই বলতেন, যে ব্যক্তিই এ দাবী উত্থাপন করবে যে, নবী করীম (সাঃ) (মি’রাজ রজনীতে) আল্লাহকে দেখেছেন, সে ডাঁহা মিথ্যাবাদী। (বুখারী, তাফসীর সূরা আনআম, মুসলিম কিতাবুল ঈমান)
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছি, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? তিনি [রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] বললেনঃ “তিনি (আল্লাহ) নূর, আমি কি করে তা দৃষ্টির অধিগম্য করব”।(মুসলিম:১৭৮)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (আল্লাহকে) অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন। (মুসলিম:১৭৬)
একদল লোক যদিও ইবনে আব্বাস (রা.)এর বর্ণনার ভিত্তিতে (ইবনে খুযাইমা) বলে থাকেন রাসূলুল্লাহ সা. আল্লাহকে চাক্ষুষ করেছেন তবে বিশুদ্ধ মত হলো, আল্লাহকে দেখেন নি।
শবে মি'রাজের ইবাদত:
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তদীয় ছাহাবীগণ শবে মি'রাজ উপলক্ষে নির্দিষ্টভাবে কোন অনুষ্ঠান বা ইবাদত করেন নি। যদি এই রাত উপলক্ষে কোনরূপ অনুষ্ঠান করা শরী‘আতসম্মত হ’ত, তাহ’লে নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা স্বীয় উম্মতকে বলে যেতেন অথবা নিজে করে যেতেন এবং যদি এজন্য কোন অনুষ্ঠান তিনি করতেন, তাহ’লে নিশ্চয়ই তা সকলে জানতে পারত ও প্রচারিত হ’ত এবং ছাহাবায়ে কেরাম সেটা আমাদের জন্য বর্ণনা করে যেতেন।
এই রাতের ইবাদত সম্পর্কে কোনো হাদীস পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে,
مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ- ‘যে ব্যক্তি এমন কাজ করল যাতে আমাদের কোন নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[মুসলিম হা/১৭১৮]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন!!
وصلى الله وسلم وبارك على عبده ورسوله نبينا محمد آله وصحبه-
বিষয়: বিবিধ
৯০৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন