মঙ্গল শোভাযাত্রা ও শয়তান যাদের অভিভাবক

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:৩৮:৩১ রাত

শুভ নববর্ষ ১৪২৪। আরেকটি নতুন বছর, নতুন করে পরিকল্পনা নিজে ও অন্যকে ভালো থাকার ভালো রাখার। বন্ধুরা ! একজন মুসলমান হিসেবে আমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে দেউলিয়া বা কাঙালি নই। সুতরাং অন্যদের সংস্কৃতি বা কৃষ্টিতে আমাদের কোনো দূর্বলতা থাকতে পারে না। বছর যাবে নতুন বছর আসবে এটাই চিরায়ত নিয়ম, এতে উৎসবের কিছু নেই পালনেরও কিছু নেই আছে শুধু অতীতকে মূল্যায়ন ও নতুনদিনে নিজকে সংশোধনের কর্মসূচী।

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট নিশ্চয়ই মাসসমূহের সংখ্যা হল বারো মাস। (৯:৩৬)



মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুমিনের মঙ্গল নেই। এটা আমাদের কৃষ্টি নয়।



বিজাতীয় সংস্কৃতি হারাম:

[/b

তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে........। (৫:৫১)

হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা তোমাদের ধর্মকে হাসি-তামাসা ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে ও অবিশ্বাসীদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তাহলে আল্লাহকে ভয় কর।(সূরা ৫ মায়িদা:৫৭)



[b]
ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ:৪০৩১,আহমাদ:৫৬৩৪)



বিজাতীয় উৎসব হারাম:

“এবং মানুষের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা আল্লাহর পথ থেকে [মানুষকে] বিচ্যুত করার জন্য কোন জ্ঞান ছাড়াই অনর্থক কথাকে ক্রয় করে, এবং একে ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে, এদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (সূরা লুকমান :৬)

বৈশাখী মেলা বা শহরের আনন্দ উৎসবে প্রধানত চার ধরণের গর্হিত কাজ হয়।

১. শিরক ও কুফরি ও পাপচারপূর্ণ অনুষ্ঠান

২. নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচারপূর্ণ অনুষ্ঠান

৩. গান ও বাদ্য ও মাতলামী

৪. সময় অপচয়কারী অনর্থক কথা এবং কাজ।

‘প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ঈদ রয়েছে, আর এটা আমাদের ঈদ।’ (বুখারী, মুসলিম)



যাবতীয় অশ্লীলতা ও সীমালংঘন হারাম:



নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালংঘন করা হতে নিষেধ করেন......। (১৬:৯০)

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের কেউই কখনও পবিত্র হতে পারতো না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করে থাকেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।(২৪:২১)

যারা বিশ্বাস করে না, শয়তানকে আমি তাদের অভিভাবক (বন্ধু) করেছি। (৭:২৭)

যখন তারা কোন অশ্লীল আচরণ করে, তখন বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষগণকে এটা করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।’ বল, ‘আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ, যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই?’ (৭:২৮)



পান্তা-ইলিশ মশকরা:

এমন উৎসব ইসলামে নেই যেটাতে ইবাদত ওবং গরীবের অংশগ্রহণ নেই। তাই ঈদুল ফিতরে ফিতরা ও ঈদুল আযহাতে কুরবানীর গোশতে গরীবের অংশগ্রহণে ধনী-গরীবের মাঝে সৌহার্দ আনে।

পচাঁভাতের সাথে দামি ইলিশ জুড়ে দিলে গ্রামীণ বাঙ্গালি হওয়া যায় না বরং শহুরে পন্ডিত ও ব্যবসায়ীদের রমরমা কারবার হয়।

ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ:



আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি...। (২১:৩৫)

বলুন, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরই আমার কোনো অধিকার নেই...(সূরা ৭ আরাফ:১৮৮)

কোনো প্রদীপ, পাথর, গাছ, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা,সাগর ভালো-মন্দের উৎস নয়। আল্লাহই যাবতীয় কল্যাণ ও অকল্যাণের মালিক।সুতরাং মন্দ থেকে পানাহ ও যাবতীয় কল্যাণ একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে।



আল্লাহ আমাদেরকে ও দায়িত্বশীলদের দ্বীনের পথে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।।

বিষয়: বিবিধ

৮৫৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382637
১৩ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১০:১৬
বিবেক নাই লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো।
382639
১৩ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১১:২১
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মুসলমানই নাম কা ওয়াস্তে মুসলমান । এরা মাসজিদে গিয়ে জামাজ পড়ার চেয়ে হিন্দুদের পূঁজার উৎসব দেখতে পছন্দ করে , ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে বেশরিয়তী সংস্কৃতি পালন করে।

ইলিশের মত এত দামী মাছ কিভাবে গরীব খেটে খাওয়া অভাবী মানুষদের ঐতিহ্য হতে পারে ?
382644
১৩ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০৮:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File