ওলামাদের প্রতি আফজালীয় পরামর্শ ও নিকৃষ্ট রাখাল

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৬ এপ্রিল, ২০১৭, ০২:৪৮:৪৯ রাত

মি আফজাল! ওলামাদের পরামর্শ দিতে হবে না। কোন ইসলাম নবীজীর আর কোন ইসলাম আপনাদের তা আলেমরা ভালো করে জানে বলেই তারা "আলেম"। নইলে তারা জাহেল হতেন। আপনি তাদের সচেতন করার বিলাসিতা ত্যাগ করে আপনি নিজে ও আপনার কর্তৃত্ববানদের সচেতন করুন।

"রাষ্ট্র দখলের ইসলাম যে প্রকৃত ইসলাম নয়, নবীজীর ইসলাম নয় - এই বার্তা মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ওলামাদের পরামর্শ দেয়া হবে।"



আপনার পরামর্শ দেয়ার আগেই তারা জনগণকে উপদেশ দিচ্ছে! কারা জঙ্গী আর কারা এর পেছনের মদদদাতা জনগণ ভালোই জানে। ওলামারা ক্ষমতালোভী নয়!

আপনি বরং রাষ্ট্র পরিচালকদের তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা তুলে ধরে জনগণের প্রতি তাদের কী কী করণীয় তা-ই তুলে ধরুন।

একটা কথা মনে রাখবেন! একদিন জবাবদিহি ঠিকই করতে হবে মহান সত্তার কাছে। সুতরাং দুনিয়ার নিকৃষ্ট মূল্যের বিনিময়ে পরকালকে বিক্রি করবেন না।

জনগণের টাকা খরচ করে ফালতু লৌকিকতা ত্যাগ করুন। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত দান করুন। আমীন!!

সকলেই দায়িত্বশীল:

ইবনু উমার (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্ববান এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। আমীর বা নেতা তার অধীনস্থ লোকদের উপর দায়িত্ববান এবং সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (বুখারী:৭১৩৮, মুসলিম:১৮২৯)

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: যে বান্দাকে আল্লাহ প্রজা সাধারণের উপর দায়িত্বশীল করেন অথচ সে যখন মারা যায় তখনও সে তার প্রজা সাধারণের প্রতি প্রতারণাকারী থাকে তবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দেন। (বুখারী:৭১৫১, মুসলিম:২১/১৪২)

আনুগত্য ও জঙ্গীবাদ:

রাসূল সা. বলেন, আমার পরে এমন সব নেতার উদ্ভব হবে, যারা আমার হিদায়াতে হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে না এবং আমার সুন্নাতও তারা অবলম্বন করবে না। অচিরেই তাদের মধ্যে এমন সব ব্যক্তির উদ্ভব হবে, যাদের আত্মা হবে মানব দেহে শাইতানের আত্মা। রাবী বলেন, তখন আমি বললাম, তখন আমরা কী করবো হে আল্লাহর রসূল! যদি আমরা সে পরিস্থিতির সম্মুখীন হই? বললেন, তুমি আমীরের কথা শুনবে এবং মানবে যদি তোমার পিঠে বেত্ৰাঘাত করা হয় বা তোমার ধন-সম্পদ কেড়েও নেয়া হয়, তবুও তুমি শুনবে এবং মানবে।(মুসলিম:১৮৪৭)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি (আমীরের) আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গেল এবং জামা'আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। আর যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্ৰপ্রীতির জন্য ক্রুদ্ধ হয় অথবা গোত্র প্রীতির দিকে আহবান করে অথবা গোত্রের সাহায্যার্থে যুদ্ধ করে (আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন ব্যাপার থাকে না) আর তাতে নিহত হয়, সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করে। আর যে ব্যক্তি আমার উন্মাতের উপর আক্রমণ করে, আমার উম্মাতের ভালমন্দ সকলকেই নির্বিচারে হত্যা করে। মু'মিনকেও রেহাই দেয় না এবং যার সাথে সে ওয়াদাবদ্ধ হয় তার ওয়াদাও রক্ষা করে না, সে আমার কেউ নয়, আমিও তার কেউ নই। (মুসলিম:১৮৪৮)

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের উপর এরূপ কতিপয় আমীর নিযুক্ত করা হবে তোমরা তাদের চিনতে পারবে এবং অপছন্দ করবে। যে তাদের অপছন্দ করল সে মুক্তি পেল এবং যে প্রত্যাখ্যান করল সে নিরাপদ হলো। কিন্তু যে (তাদের প্রতি) সন্তুষ্ট থাকল এবং অনুসরণ করল (সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো) লোকেরা জানতে চাইল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? তিনি বললেন, না, যতক্ষণ তারা সলাত আদায়কারী থাকবে। (অপছন্দ করল) অর্থাৎ, যে অন্তর থেকে তাদের অপছন্দ করল এবং অন্তর থেকে প্রত্যাখ্যান করলো। (মুসলিম:১৮৫৪)

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের উপর অস্ত্র উত্তোলন করবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (বুখারী:ফিতান)

হক সব সময় বিজয়ী:

উমায়র ইবনু হানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু'আবিয়াহ (রাযিঃ) কে মিম্বারের উপর আসীন অবস্থায় বলতে শুনেছি "আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মাতের একটি জামা’আত আল্লাহর আদেশের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের সঙ্গ ত্যাগ করবে বা বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। এভাবে আল্লাহর আদেশ তথা কিয়ামাত এসে পড়বে আর তারা তখনও লোকের উপর বিজয়ী থাকবে।" (মুসলিম:১৭৪/১০৩৭)

পুরুষের জন্য নারী নেতৃত্ব হারাম:

[/b

পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। (সূরা ৪ নিসা:৩৪)



আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি কথা দ্বারা আল্লাহ তা’আলা জঙ্গে জামাল (উষ্ট্রের যুদ্ধ) এর সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করেছেন। (সে কথাটি হল) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছলে যে, পারস্যের লোকেরা কিসরার কন্যাকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে তখন তিনি বললেনঃ সে জাতি কখনই সফলকাম হবে না যারা তাদের শাসনভার কোন রমনীর হাতে অর্পণ করে। (বুখারী:৪৪২৫)

[b]সবখানে মূর্খতা:

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের পুর্বে এমন একটি সময় আসবে ইল্‌ম উঠিয়ে নেওয়া হবে এবং সর্বত্র মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে, আর তখন হারজ ব্যাপকতর হবে। 'হারজ' হলো হত্যা।(বুখারী)

বিষয়: বিবিধ

১০৮৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382560
০৬ এপ্রিল ২০১৭ দুপুর ০২:৩৬
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : উনি আওয়ামিলিগের রাখাল বিধায় আমাদের আলেম সমাজকে শিক্ষা দিবে ? উনি আবাল উনি মুর্খ
ওনার হিম্মত রানি করা হবে ইনশাআল্লাহ
ধন্যবাদ আপনাকে
382571
০৮ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০২:৩৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :

ভিডিও দেখেন।
382572
০৮ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ০৭:০৭
চেতনাবিলাস লিখেছেন : সুন্দর দলিল ভিত্তিক পোস্ট! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
382582
০৮ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
হতভাগা লিখেছেন : উনি বলতে পারতেন বা কাজে নামতে পারেন যে ইসলামকে একটা দ্বীন তথা সমাজ ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে । যেখানে বিচার কার্যসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়াহ চালু হয় ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন তো এ জন্যই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File