আসুন নিজেকে সংশোধন করি-৬ (আল্লাহভীরুতার ফল উভয় জাহানের কামিয়াবী)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ১২ জুন, ২০১৬, ০৯:১৭:০৩ রাত
চলছে তাকওয়া/পরহেযগারিতা অর্জনের মাস রমাদান। আল্লাহ তাআলা এই মাসে রোযা ফরয করার ব্যাপারে বলছেন-
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।" (সূরা ২ বাকারা: ১৮৩)
তাকওয়া মানে ভয়/ভীতি/ বেঁচে থাকা/ পরহেজগারিত্ব ইত্যাদি। এর স্বরূপ হলো- আল্লাহর ভয়ে তার নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে বেঁচে থাকা।
আসুন এই মাসেই শপথ নিই- আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে নিজেকে বিরত রাখার; অন্তরে তার ভয় স্থাপন করে। তিনি বলেন-
"হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান"। (সূরা ৮ আনফাল: ২৯)
সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব। (সূরা ১৯ মারইয়াম: ৮৫)
মুত্তাকীদের পুরষ্কার: যারা আল্লাহকে ভয় করে (পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে) তার ব্যাপারে বলা হয়েছে-
১. নিষ্কৃতির পথ বা পার্থিব সমস্যা সমাধান:
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (সূরা ৬৫ তালাক:২-৩)
২. তার যাবতীয় কাজ সহজ করা হবে:
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন। (সূরা ৬৫: ৪)
৩. তার গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে:
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার পাপ মোচন করেন এবং তাকে মহাপুরস্কার দেন। (সূরা ৬৫ তালাক: ৫)
কিছু তথ্য:
وَاتَّقُوا الله আর আল্লাহকে ভয় করো: কুরআনে এসেছে ৩০ টি আয়াতে।
ওয়াও ছাড়া আরো ৯ বার সহ মোট প্রায় ৬৬ আয়াতে সরাসরি আল্লাহকে ভয় করার কথা বলা হয়েছে।
التَّقْوَىٰ তাকওয়া শব্দ এসেছে ৯ বার।
জাহান্নাম, কিয়ামতের দিন সহ তাকওয়ার কথা এসেছে প্রায় ৮৪ বার।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا الله: ঈমানদারকে সরাসরি আল্লাহকে ভয় করার কথা বলা হয়েছে ৭ বার।
(২:২৭৮,৩: ১০২,৫: ৩৫, ৯: ১১৯, ৩৩: ৭০, ৫৭: ২৮, ৫৯: ১৮)
বিষয়: বিবিধ
১০৪৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন