হে মুসলিম শাসকবৃন্দ! সত্যিকারের মুসলমান হৈান (সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম)
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৭ মার্চ, ২০১৬, ০১:৫৭:৩৯ রাত
একদল পাপিষ্ট দেশের প্রচলিত আদালতে "সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম" তুলে দেবার বায়না ধরেছে। ওরা চায়, লোভাতুর চোখে সব চেখে চেখে অনিশ্চিত জীবনের ক্ষণে ক্ষণে অস্থায়ী ভুবনের স্বাদ নিয়ে সুন্দর অবয়বটাকে ভুঁড়িসর্বস্ব করতে। আমরা চাই স্থায়ী জীবনের পথে সকলকে ডাকতে! আমাদের দর্শন- স্রষ্ট্রার পথে স্রষ্ট্রার আইনে সুন্দর এক ভুবনে, যখন পার্থিব স্বার্থটাই সব হবে না, কিন্তু পার্থিব জীবন হবে স্বর্গের মতোই সুন্দর। তাই-
আমাদের দাবি, আল্লাহর সৃষ্টি এই পৃথিবীতে তারই বান্দাহ বা দাস হিসেবে তারই আনুগত্যের শেঁকল গলায় পড়ে তার সীমানায় থাকতে। আমরা শুধু সংবিধানের পাতায় "বিসমিল্লাহ" বা শুরুতে সকল আস্থা ও ভরসা আল্লাহর প্রতি" দেখতে চাই না; আমরা চাই সংবিধানটাই হবে আল্লাহর প্রেরিত কিতাবের আলোকে!
আমাদের দাবি শুধু " রাষ্ট্রধর্ম" ইসলাম নয়! দেশের প্রশাসন থেকে বিচারালয়, সংসদ থেকে গ্রামসরকার সবখানেই আল্লাহর আইন থাকবে। এটাতেই রয়েছে মানবতার মুক্তি। এখানেই আছে বিশ্বশান্তি।
একজন মুসলমান হিসেবে, আপনার সকল কার্যক্রম হবে ইসলামী সীমানার ভিতর! আপনার ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক, সমাজ থেকে রাষ্ট্রীয়, আভ্যন্তরিণ থেকে আন্তর্জাতিক সকল পর্যায়ে আল্লাহর বিধানের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। নইলে আপনি মুসলমানই হতে পারবেন না।
আপনি একজন মুসলমান! সুতরাং আপনি একজন দায়িত্ববান! আপনাকে আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
"ইব্ন উমর (রা) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। তাই শাসক হলেন দায়িত্ববান, তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্ববান এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের সম্পদের দায়িত্ববান, তার সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। গোলাম তার মালিকের ধন-সম্পদের দায়িত্ববান, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেন যে, পুত্র তার পিতার সম্পদের দায়িত্ববান।" (সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫১ :: হাদিস ১৪
)
যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জনগণের মাঝে ফায়সালা করে না তারাই কাফির/ জালিম/ ফাসিক। ((সূরা আল মায়িদাহ, ৫:৪৪)
দ্বীন হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করাই হচ্ছে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভের একমাত্র পথ। মহান আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই অত্যন্ত মেহেরবানী করে মানুষের জীবন যাপনের সঠিক পথ-দ্বীন দেখিয়ে দিয়েছেন। সে দ্বীনই হলো ইসলাম। এ জন্য দ্বীন-ইসলাম সম্পর্কে আল্লাহ্ তাঁর কিতাবে ফরমান-
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ্’র নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন হচ্ছে একমাত্র ইসলাম।” (সূরা আলে ইমরান ৩:১৯)
মহান আল্লাহ্ আরও ফরমান-
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা)কে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনীত করলাম।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩)
কোনো মুসলমান কোনো ব্যক্তি আদর্শের রাজনীতি করতে পারে না, কোনো দল করতে পারে না। মুসলমানদের মাঝে দলাদলি থাকবে না, বিভেদ থাকতে পারে না। মুসলমানদের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর দাসত্ব করা আর অপরকে আল্লাহর দাসত্বের পথে ডাকা।
যারা এখনো পার্থিব মোহে আর জগতের সাময়িক উত্তেজনায় রাজনীতি করছেন, সেই সকল অবোধ ভাইদের বলব- এখনো সময় আছে আল্লাহর পথে ফিরে আসুন। মানুষদের আল্লাহর পথে ডাকুন আল্লাহর রাসূরের তরীকায়!!!
আল্লাহর পথে চলুন, তাগুতের পথ ছেড়ে। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের নিকট পছন্দনীয় ও গ্রহণযোগ্য একমাত্র দ্বীন-জীবন ব্যবস্থা হচ্ছে ইসলাম। কিন্তু কেউ ইচ্ছে করলে ইসলাম ব্যতীত ভিন্ন কোন জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, তবে তা শয়তানী কর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আল্লাহ’র নিকট তা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় উপরন্তু মৃত্যু পরবর্তী আখিরাতের অনন্ত অসীম জীবনে সে হবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন। এ সম্পর্কে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আল্লাহ ফরমান-
“যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন-জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়, তার সে ব্যবস্থা কস্মিণকালেও কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত।” (সূরা আলে ইমরান ৩:৮৫)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” (সূরা আল বাকারাহ ২:২০৮)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সত্য বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!!!
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে, ইসলামবিরোধীদের দ্বারা কুশিক্ষার প্রচলন আর অবাধভাবে অপসংষ্কৃতির প্রসারের ফলে সমাজে দূর্বৃত্তায়নের বিস্তার ঘটছে, . . . . !!
হে আল্লাহ্! আপনি আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং সব নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফীক দান করুন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন