জঙ্গিবাদ তত্ত্ব ও দরবারী আলেম
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৭:২০:১৫ সন্ধ্যা
ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য নিজের কুক্ষিগত রাখার জন্য বর্তমানে নতুন এক রেওয়াজ চালু হয়েছে, বিরোধীমতকে ও তাদের কার্যকলাপকে সন্ত্রাস বা বিশেষ ভাষায় "জঙ্গি" বলা হচ্ছে। যদিও জঙ্গি মূলত খারাপ শব্দ নয়। ফারসি জঙ্গ (جنگ)মানে যুদ্ধ বা লড়াই। আর যারা যুদ্ধ করে তারাই জঙ্গি (Fighter)। এমন ভালো একটা শব্দ প্রগতিশীল (!) পেটপুজারীদের কারণে সন্ত্রাসীর সাথে মিলিয়ে ফেলা হচ্ছে। সন্ত্রাস যে নামেই হোক, যে সম্প্রদায়ের দ্বারাই হৌক তা সন্ত্রাসই (ترور)। ধর্মের নামে সন্ত্রাস হলে তা জঙ্গ হবে না বা মুসলমান, নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু হত্যা ও মসজিদে বোমা মারার নাম জিহাদ (جهاد) হবে না। ইসলামে জিহাদ বা কিতালের বিধান রাখাই হয়েছে "সন্ত্রাস" চিরতরে নির্মূলের জন্য। তাই আমাদের যত পারা যায় মুসলমান হিসেবে জঙ্গ বা জঙ্গি শব্দ ব্যবহার না করি।
চিত্র: মাদ্রাসায় নাকি জঙ্গি উত্পাদন হয়! কথাটা ঠিক। জঙ্গতো (জিহাদ) মুসলমানদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান তারাই করবে। মুনাফিকরা পিছনে থেকে ইসলাম ধ্বংসে কলকাঠি নাড়বে। সারাদেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি কারা করে? কাদের জন্য হাসপাতাল আর শিক্ষালয়ের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিশৃঙ্খলা হয়? হত্যা থেকে অবরোধ হয়? তারা দলাদলি করে? কারা নিজেদের মতপার্থক্যে নিজের সহকর্মীদের হত্যা করে? কারা ইভটিজিং বা ধর্ষণ করে? কারা এসব অপকর্মের রসদ সংগ্রহ করে? কয়জন মাদ্রাসা ছাত্ররা এসবে জড়িত বা কোন মাদরাসা ছাত্র আন্দোলনের নামে বন্ধ থাকে?উটকো মন্ত্রী, পাতি মন্ত্রী, বিশেষ অজ্ঞরা জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাওমী মাদরাসা বন্ধ করে চায় বা পুরোপুরি সরকারীকরণ করতে চায়। শিক্ষা এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, একক শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকা এবং কওমি মাদ্রাসার উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের মাদ্রাসাগুলোকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ (?)
কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। জেএমবি বা আনসারুল্লাহ বাহিনি এই জাতীয় দলের কথা শোনা গেলেও তাদের তত্পরতা রাজনৈতিক দলীয় ক্যাডারদের সন্ত্রাসের তুলনায় এক শতাংশ। তাদের শুধু ফালতু বোমা (আতংক করার জন্য) মারা কথাই পত্রিকাতে পড়েছি। আমি এই পর্যন্ত এই জাতীয় কোনো ভন্ড দলের সাথে পরিচিত হতে পারি নি বা তারা আমাকে তাদের দাওয়াত দেয় নি।
মাদরাসায় কী হয় তা সবাই জানে।
আমরা জানি এসব বলে কোনো লাভ নেই! যাদের শোনা দরকার তারা শুনবে না। ক্ষমতার জন্য নিজের আপন বাপ-মা -সন্তান যখন পর করে দিতে পারে, তখন দুনিয়ার জন্য দ্বীনকে তো ক্ষতিগ্রস্থ তারাই করবে। তাদের জন্য আফসোস করে লাভ কী? শুধু তাদের কথাই বলব যাদের ঘাড়ে আজ এসব প্রতিবাদ ও মোকাবিলার দায়িত্ব তারা কী করছেন?
একজন মুসলমান যদি নিজেকে প্রকৃত মুসলিম মনে করে থাকে তাহলে তাকে এটি মনে রাখা দরকার-
"বলে দিনঃ অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব, হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে তোমরা মুক্তি পাও"। (সূরা মায়িদা: ১০০)
আল্লাহ আরো বলেন.-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ إِلَى اللَّـهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন, যা কিছু তোমরা করতে। (সূরা মায়িদা: ১০৫)
আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা এই আয়াত পড়ছ, ‘‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের আত্মরক্ষা করাই কর্তব্য। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’’ সূরা মায়েদাহ ১০৫ আয়াত) কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘যখন লোকেরা অত্যাচারীকে (অত্যাচার করতে) দেখবে এবং তার হাত ধরে না নেবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকলকে (আমভাবে) তার শাস্তির কবলে নিয়ে নেবেন।’’ (আবূ দাউদ ৪৩৩৮, আহমাদ ১, ১৭, ৩০, ৫৪)
ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোনো নবীকে যে কোনো উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হল যে, তারা যা বলত, তা করত না এবং তারা তা করত, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হত না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন। আর এর পর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই।’’ (মুসলিম ৫০, আহমাদ ৪৩৬৬)
উম্মুল মু’মেনীন উম্মে সালামাহ হিন্দ্ বিন্তে আবী উমাইয়া হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের উপর এমন শাসকবৃন্দ নিযুক্ত করা হবে, যাদের (কিছু কাজ) তোমরা ভালো দেখবে এবং (কিছু কাজ) গর্হিত। সুতরাং যে ব্যক্তি (তাদের গর্হিত কাজকে) ঘৃণা করবে, সে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে এবং যে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানাবে, সেও পরিত্রাণ পেয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি (তাতে) সম্মত হবে এবং তাদের অনুসরণ করবে (সে ধ্বংস হয়ে যাবে)।’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না?’ তিনি বললেন, ‘‘না; যে পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করবে।’’ (মুসলিম ১৮৫৪, তিরমিযী ২২৬৫)
হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দো‘আ করবে; কিন্তু তা কবুল করা হবে না। (তিরমিযী ২১৬৯)
সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ: আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।’’(তিরমিযী ২১৭৪, আবূ দাউদ ৪৩৪৪, ইবনু মাজাহ ৪০১১, আহমাদ ১০৭৫৯, ১১১৯৩)
দরবারী বা সরকারী আলেমদের প্রতি প্রশ্ন: কী চিন্তা করেন নিচের বিষয়ে?
আল্লাহ বলেন-
“কি আশ্চর্য! তোমরা নিজেদের বিস্মৃত হয়ে মানুষকে সৎকাজের নির্দেশ দাও, অথচ তোমরা কিতাব (গ্রন্থ) অধ্যয়ন কর, তবে কি তোমরা বুঝ না?” (সূরা বাক্বারাহ ৪৪ আয়াত)
"এ সত্ত্বেও যারা আল্লাহর নাযিল করা তাঁর কিতাবের অংশবিশেষ গোপন করে রাখে এবং সামান্য বৈষয়িক মূল্যে তা বিক্রি করে দেয়, তারা এটা দিয়ে যা হাসিল করে এবং যা দিয়ে তারা নিজেদের পেট ভর্তি করে রাখে তা মূলত আগুন ছাড়া আর কিছুই নয়, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে কথা বলবেন না, তিনি তাদের পবিত্রও করবেন না, তাঁদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।"-(সূরা আল বাকারাঃ ১৭৪)
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন:-
“তিন শ্রেণীর মানুষকে সর্বপ্রথম জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এর মাঝে প্রথম শ্রেণীটা হচ্ছে-একদল জ্ঞাণী আলেম যারা দুনিয়াবী স্বার্থে ইলম গোপন করতো এবং জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলতো না।সংক্ষেপিত)-জামে আত তিরমিযী।
"দরবারী এবং দুনিয়ালোভী" আলেমদের ব্যাপারে অত্যন্ত কড়া কথা বলেছেন শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) বলেন-
"যদি কোন শাইখ কুরআন এবং সুন্নাহ হতে অর্জিত শিক্ষা অনুযায়ী আমল ত্যাগ করে এবং এমন বিচারকের অনুসরণ করে যে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের শিক্ষা অনুযায়ী বিচার করেনা, তখন সে একজন ধর্মত্যাগী এবং কাফের হিসেবে বিবেচিত হবে যে দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত।"-(আল ফতোয়া, ইবন তাইমিয়া, খন্ড-৩৫, পৃষ্টা-৩৭৩)
আবূ যায়দ উসামাহ ইবনু যায়দ ইবনু হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, ‘ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?’ সে বলবে, ‘অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!’’(বুখারী ৩২৬৭, ৭০৯৮, মুসলিম ২৯৮৯, আহমাদ ২১২৭৭)
আমরা কি ধ্বংসের উপপ্রান্তে?
উম্মুল মু’মিনীন উম্মুল হাকাম যয়নাব বিনতে জাহ্শ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট শঙ্কিত অবস্থায় প্রবেশ করলেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই, আরবের জন্য ঐ পাপ হেতু সর্বনাশ রয়েছে যা সন্নিকটবর্তী। আজকে ইয়া’জূজ-মা’জূজের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে।’’ এবং তিনি (তার পরিমাণ দেখানোর জন্য) নিজ বৃদ্ধ ও তর্জনী দুই আঙ্গুল দ্বারা (গোলাকার) বৃত্ত বানালেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে সৎলোক মউযূ (ওজু/অজু/অযু)দ থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হব?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, যখন নোংরামি বেশী হবে।’’ (সহীহুল বুখারী ৩৩৪৬, ৩৫৯৮, ৭০৫৯, ৭১৩৫, মুসলিম ২৮৮০, তিরমিযী ২১৮৭, ইবনু মাজাহ ৩৯৫৩, আহমাদ ২৬৮৬৭, ২৬৮৭০)
হে মন্ত্রীবৃন্দ? কী করছেন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য?
“যে ব্যক্তি নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার দণ্ডদান উদ্দেশ্য ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।” (সূরা মায়েদাহ ৩২ আয়াত)
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কিয়ামতের দিন প্রত্যেক হকদারের হক অবশ্যই আদায় করা হবে। এমন কি শিংবিহীন ছাগলকে শিংযুক্ত ছাগলের নিকট থেকে বদলা দেওয়া হবে।’’ (মুসলিম:২৫৮২)
আমাদের কর্তব্য হচ্ছে পুরোপুরি সুন্নাতের উপর অটল থাকা ও দ্বীন প্রচেষ্ঠায় চেষ্টা-সাধনা করা।
আবূ অলীদ উবাদাহ ইবনু সামেত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এই মর্মে বাইয়াত করলাম যে, দুঃখে-সুখে, আরামে ও কষ্টে এবং আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব। রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না; যতক্ষণ না তোমরা (তার মধ্যে) প্রকাশ্য কুফরী দেখ, যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল রয়েছে। আর আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর ব্যাপারে কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করব না।’ (বুখারী ৭০৫৬, ১৮, ৩৮৯২, ৩৮৯৩, ৩৯৯৯, ৪৮৯৪, ৬৭৮৪, ৬৮০১৬৮৭৩৩, ৭১৯৯, ৭২১৩, ৭৪৬৮, মুসলিম ১৭০৯, তিরমিযী ১৪৩৯, নাসায়ী ৪১৪৯)
বিষয়: বিবিধ
১৩৪০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন