ধর্ম ও প্রগতিবাদ
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:২১:২৫ রাত
একটা ব্লগে আমার একটা লেখা (.....বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি) পড়ে এক সহৃদ কবিবন্ধু (মুসলিম এবং বাংলাদেশি) মন্তব্য করলেন, ভালো লেখক হবার ক্ষেত্রে কি ধর্মীয় উপদেশ অনুযায়ী কলম ধরতে হবে? আমার বক্তব্য কী? তিনি আরো বলেন, স্বাধীন সত্তা প্রকাশই সাহিত্যের কাজ। একটা কথা বলতে চাইবো-সাহিত্য সৃষ্টিকাজে হিন্দু- মুসলিম পরিচয় পরিহর্তব্য(?)!
তার কথার মানে হলো, ধর্ম বাদ দিয়ে (ধর্ম নিরপেক্ষ) সাহিত্য রচনা করাই লেখকের কাজ।তাই নাকি সৃষ্টিশীল। অথচ নজরুল রবি থেকে কায়কোবাদের মত মহাকবিরা ধর্মীয় বিষয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন।
আসলে আমাদের মাঝে এক শ্রেণি আছেন যাদের মতে, উগ্রতা আর নষ্টামি মানে হলো প্রগতি, নোংরামি আর বেহায়া-পণা হলো সভ্যতা। ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো সুশীলতা!
অথচ ধর্মের চেয়ে বড় প্রগতি আর নেই! ধর্মহীন মানুষ পশুর চেয়ে খারাপ। কেউ তথ্য আর তত্ত্ব দিয়ে প্রমাণ করতে পারবে না ধর্ম মানুষের তৈরি ( সেটা যে কোনো ধর্ম হোক না কেন)
তারা ভাবতে চায়- ইসলামি বিষয়গুলো প্রাগেতিহাসিক, পুরনো আর অকেজো। মুসলিম কৃষ্টি চর্চার মানে হলো ধর্মীয় গোঁড়ামি, ইসলামী সংস্কৃতির মানে হলো মৌলবাদিতা!
তারাই আবার পরের কৃষ্টিকে আঁকড়ে ধরছে, পরের রঙে নিজেকে রাঙাচ্ছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, তারা একটি বিশেষ ধর্মীয় কৃষ্টি আর সংস্কৃতিকে আধুনিকতার সৃষ্টি মনে করছে। এটাকেই ভাবছে প্রগতিবাদ, সভ্যতার কৃষ্টি।
হায়! আমরা কত হীনমন্য জাতি! নিজেদের কৃষ্টিকে পর ভাবছি আর পরের কৃষ্টি মাথায় তুলে নিচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩২০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
তবে কবি নামের কলংক ফাররুখ আহাম্মক, আল মাহমুদ এদের কথা ভিন্ন।
এই কথাই আপনার পরিচয় বহন করে (নিজের নামেতো আবার ধর্মের লেবাস লাগিয়েছেন।)
কী আর বলব... মুর্খদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধামানের কাজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন