রাজাকারের তালিকাঃ প্রাসংগিক কথা- ৩
লিখেছেন লিখেছেন বাকশাল ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:২৫:১১ বিকাল
দীর্ঘদিন পরে কি মনে করে কি উদ্দ্যেশ্যে এ সরকার রিক্স নিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করতে গেলো তা তারাই জানে। তবে তালিকা সম্পুর্ণ অবিকৃত ভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আমার ১০০ ভাগ অবিশ্বাস রয়েছে যে আদৌ মুল তালিকা প্রকাশ হবে কিনা!!!। এবং এ অবিশ্বাসের পেছনে শক্ত যুক্তি এসে দাডিয়েছে, তা হলো আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন "আওয়ামীলীগে থাকা রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হোক"!!!। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও একই কথা বলেছেন। তার মানে রাজাকারের বিশুদ্ধ তালিকা প্রকাশ এর ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এ সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ এর কারন হিসেবে আমার যা মনে হচ্ছে, তা হলোঃ
১. তারা একটা ক্রেডিট নিতে চাইছে যে আমরাই মুক্তিযুদ্ধের দল আমরাই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছি
২. বিএনপি এবং জামাতের লোক রাজাকারের তালিকায় আছে এবং এরা কখনো মন্ত্রী এমপি হয়েছে তা প্রকাশের মাধ্যমে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা
৩. বিএনপি জামাতের প্রভাবশালী কারো নাম থাকলে দালাল মিডিয়া দিয়ে তাদের ব্যপারে রিপোর্ট প্রকাশ হবে, সামাজিক ভাবে দল এবং ব্যক্তিকে বেকফুটে ঠেলে দেয়া যাবে।
আসলে আল্লাহর খেলা বড খেলা!! তার মাইর ই বড মাইর,, কোথায় কাকে কিভাবে কিক মারেন তিনি ছাডা আর কেউ সেটা বুজতে পারেনা। এ সরকার ছাই দিয়ে ধরে তালিকা প্রকাশ করতে চাচ্ছে এরমধ্যে ও বাইং মাছের মত হাত পছকে বেরিয়ে এলো রাজাকার গোলাম আরিফ টিপুর নাম!!! যে কিনা রাজাকারদের বিচারের জন্য ফয়দাকৃত পুতুল আদালতের প্রধান আইনজীবী ।।। অন্যকারো নাম ও হয়ত প্রকাশ পেয়েছে বা পাবে ,, কিন্তু যার নামটা প্রথমে মিডিয়ায় আসলো সে হলো চেতনাবাহী দলের লোক এবং যে আদালতে একজনের অপরাধ আরেকজনের কাধে দিয়ে সাজা দেয়া হচ্ছে, সাক্ষী দিয়েছে তারা যাদের বয়স যুদ্ধের সময় ৩/৪/৫ বছর এমনকি যার বয়স ৯ মাস ছিলো তার সাক্ষ্যের মাধ্যমে (প্রথম আলোতে প্রকাশিত বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের লেখার থেকে তথ্য)। যারা বলছেনে আমি শুনেছি, এ এ ঘটনা হয়েছে,,,, যারা ঘটনা শুনেছেন কিন্তু যার বিচার হচ্ছে তার কোন সম্পৃক্ততার কথা বলতে পারেনাই।
সরকারি দলের লোক রাজাকারের তালিকায় থাকলে ও অসুবিধা নাই কারন তারা চেতনা জাতক ক্যাপ্সুল খেয়ে চেতনাবাহী তাই উনাদের নাম আসলে যুক্তি হিসেবে আসবে এটা ভুলে আসছে, কেউ ষড়যন্ত্র করেছে বা বলা হবে উনি মুক্তিবাহিনীর গোয়েন্দা হিসেবে নাম লিখিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।।
তবে আমরা তরুণরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর বিচারকের ভাষায় বলতে চাইঃ আমরা বর্রতমান এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু সাহেবের কথা বলছিনা, আমরা ৭১ সালের সেই যুবক আইনজীবী গোলাম আরিফ এর কথা বলছি এবং আমরা সেই যুবক গোলাম আরিফ এর বিচার চাই এ ট্রাইব্যুনালে।
বিষয়: রাজনীতি
৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন