রাজাকারের তালিকাঃ প্রাসংগিক কথা-২
লিখেছেন লিখেছেন বাকশাল ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০২:৫৪:৩০ দুপুর
আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো কারো সাথে স্বাধীনতা বিরোধী বা রাজাকার প্রসংগে আলোচনা হলে আমার দুটি আরজি থাকেঃ
১. রাজাকারের তালিকা সরকারি দলীল দস্তাবেজ এ আছে তা সম্পুর্ণ অপরিবর্তিত ভাবে প্রকাশ করা হোক
২. স্বাধীনতা পরবর্তী দালাল আইনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বা যাদের শাস্তি হয়েছিলো সেই তালিকা প্রকাশ করা হোক। তাহলে লোকজন নিজ দায়িত্বে জেনে নেবে কারা রাজাকার এবং কোন দলের। এবং আমি এটাও বলতাম আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি কেউ এটা প্রকাশ করবেনা। কারন যারা ওই টাইমে রাজাকার ছিলো যারা বেচে আছে তারা এখন এসকল কোন না কোন দলের সাথে যুক্ত। তাই তারা কেউই চাইবেনা এমনভাবে থুতু মারুক যা আবার নিজের গায়ে পডুক। এবং আমি জোর দিয়ে বলতাম যে অন্যকেউ প্রকাশ করতে চাইলেও আওয়ামীলীগ করবেনা, কারন তারাতো নিজেদের হাডির খবর নিজেরা বেশী জানে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েত তারা মানুষের এবং তরুণ প্রজন্মের আবেগ নিয়ে খেলা করে, ভুল পথে পরিচালনা করে।
আওয়ামীলীগ প্রকাশ না করার কারন হিসেবে আমার যুক্তি ছিলোঃ
১। ন্যশনাল এ্যাসেম্বলীতে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ১৬২টি আসন এর মধ্যে ১৬০ টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শতকরা হিসাবে ১০০টি আসনের মধ্যে ৯৯ টিতেই জয় লাভ করে।
২। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক এ্যাসেম্বলীর ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করে।
৩। ‘১৯৭০-এর নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ লোক আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। (বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, পৃষ্ঠা-১২)
৪। মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন আওয়ামী লীগ ৯৮ শতাংশেরও বেশি মানুষের সমর্থন পেয়েছে , বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র : তৃতীয় খণ্ড (পৃষ্ঠা-৪৮)।
তাহলে বুজাই যাচ্ছে এ অংশের বেশির ভাগ মানুষই এ দলকে ক্ষমতায় চাইছে এবং সাপোর্ট করতো। অন্যদলের লোক ছিলো খুবই নগন্য। তাই হাজার হাজার রাজাকার এ অংশের মানুষ থেকে হয়েছে যাদের বেশীরভাগ আওয়ামীলীগই করতো। তাই রাজাকারের তালিকা প্রকাশে তাদের জন্য ক্ষতিকর ই হবে। হয়ত স্বাধীনতার পর অনেক রাজাকার তারা দল বা মত চেঞ্জ করতে পারে।
বিষয়: রাজনীতি
৬০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন