রাজাকারের তালিকাঃ প্রাসংগিক কথা-1
লিখেছেন লিখেছেন বাকশাল ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩:১০ দুপুর
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ঠিক বিজয় দিবসের আগে রাজাকারদের তালিকার একটি অংশ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যার সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮৯ জন। এদেশের তরুণ প্রজম্মের মধ্যে এ বিষয় টি আগ্রহের বড জায়গায় পরিণত হয়েছে। তার কারণঃ
১. একটি দল একচেটিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাণিজ্য করে যাচ্ছে, যাতে মনে হচ্ছে তারাই মুক্তিযুদ্ধের সব ঠিকাদার
২. ক্ষমতাসীন দল মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা বলে, দালাল এবং দলীয় ভাবনার মিডিয়া তা ঢাক ঢোল পিটিয়ে সত্য হোক মিথ্যা হোক তা প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে
৩. মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেশের দালাল মিডিয়া আর একদলীয় লেখনির কারনে মনে হচ্ছে ইসলাম যারা মানে, লেবাসে যাদের ইসলামী মনে হয় তারাই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী
৪. রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে এবং অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে
৫.সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের আবেগ এবং চেতনা আমাদের দেশের ঘৃণ্য রাজনৈতিক চালে পডে একটা যাতনার কারন হয়ে দাডিয়েছে।
আমাদের তরুণ সমাজ লেখাপড়া, স্টাডি, গবেষণা এগুলার চেয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক নানাবিধ কাজে জডানো, তাই পডে গবেষণা করে সঠিক ইতিহাস এবং রাজাকারের হিসেব জানা আমাদের জন্য অনেকটা কস্টকর। রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন উনারা কোন নতুন তালিকা করেন নাই, এগুলা সরকারি দলিলে ছিলো, উনারা জাস্ট প্রকাশ করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার এ সহজ সরল সত্য উক্তির সাথে সম্পুর্ণ একমত। কারন রাজাকারের তালিকা নতুন করে করার কোন বিষয় নয়, এবং সুযোগ ও নেই, নতুন করে তালিকা করলে তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হবেনা। এটি যুদ্ধের সময় সরকারি বিভিন্ন অফিসের দলীলে আছে এবং থাকার কথা।
বিষয়: রাজনীতি
৬১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন