বাবরী মসজিদ নিয়ে বিরোধের রায়
লিখেছেন লিখেছেন বাকশাল ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৫১:০৯ রাত
ভারতের সুপ্রীম কোর্ট ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ নিয়ে বিরোধের যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণঃ
১। ৫০০ বছরের পুরণো মসজিদ আর মন্দিরের দাবী শত বছরের
২। সুপ্রীম কোর্ট রায়ে বলেছে মসজিদ খালি জায়গায় হয়নি, তাই বলে কি তাতে মন্দির ছিলো???
৩। মসজিদের নিচে স্থাপনা ছিলো, স্থাপনা মানেই কি মন্দির ?
৪। মসজিদের নিচে যে কাঠামো পাওয়া গেছে তা ইসলামিক ছিলোনা, স্থাপনা ইসলামিক বুজাতে কি বুজিয়েছে তা অস্পষ্ট !
৫। প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষাতে সেখানে মন্দির ছিলো তা বলা হয়নি, বলেছে কাঠামো ছিলো
৬। রায়কে self contradictory মনে হচ্ছে, কারন বিচারক বললেন শুধু বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কাউকে মালিকানা দেয়া যায়না। মন্দিরের দাবীত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই করা হচ্ছে
৭। একটি প্রতিষ্ঠান আইন অমান্য করে ভাংগা হয়েছে তা তদের সংবিধান এবং প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় অধিকারের উপর চরম আঘাত
৮। এ জায়গায় মন্দির ছিলো তা কেউ দেখেনি কিন্তু ৫০০ বছর ধরে এবং ভারতের জম্ম হওয়ার পর থেকে এখানে নামাজ আদায় হচ্ছে তা লক্ষ কোটি মানুষ দেখেছে
৯। বিচারক রায়ে বলেছে সেখানে মন্দির ছিলো তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে ধারণার উপর ভিত্তি করে মসজিদ ভাংগা এবং মন্দিরের যে দাবী সেটি যদি প্রমাণ না হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে এ রায় প্রদান করা হলো।????
১০। বিচারকদের রায়ে বুজা যাচ্ছে উনারা মসজিদ বা মন্দিরের সমাধান নয় উনারা এ জায়গার মালিকানা বিচার করেছেন, ৫০০ বছরের আগের মালিকানার বিচার এখন!!!! অথচ কট্টর হিন্দুদের দাবী এখানে মন্দির ছিলো তা ভেঙ্গে মসজিদ করা হয়েছে, কিন্তু রায়ে মন্দির ছিলো তার কোন প্রমাণ আসেনাই।
১১। এ রায়ের মাধ্যমে ভারত তার "সাংবিধানিক মুল্যবোধ" ( Constitutional morality ) হারিয়ে ফেলেছে এবং তাদের সংবিধানের স্যকুলারিজম এর বৈশিষ্ঠ্য হারিয়ে ফেলেছে।
সর্বোপরি অন্যায়কে যখন আইন আদালত প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সমর্থন করে তখন অন্যায়কারী তা বেশী করার জন্য উৎসাহিত হয় এবং অন্যায় করতে নিরাপদ বোধ করে। এ রায় ভারতে চরম কট্টর হিন্দুত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন...
বিষয়: বিবিধ
৭১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন