আবার আলোচনায় ত্রানের টাকা নেয়া বিচারপতি খায়রুল হক
লিখেছেন লিখেছেন বাকশাল ১২ আগস্ট, ২০১৭, ০২:১১:০২ দুপুর
প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়নি তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যন, মনে হচ্ছে রাজনৈতিক নেতা। এই অতিমাত্রায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় ধারণা হতে পারে যে তিনি অবসরজীবন থেকে রাজনীতির জগতে পা রাখার চেষ্টাকে জোরদার করছেন। এরকম ফাঁক ফোঁকর না খুজে সরাসরি ঘোষণা দিলেই হইয়। তার সমালোচনার কাজটি আইন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আইন কমিশন আইন, ১৯৯৬-এর ৬ নম্বর ধারায় কমিশনের কার্যাবলির যে তালিকা দেওয়া আছে, তাতে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা অন্তর্ভুক্ত নেই। তিনি বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের একটি লাভজনক পদে আসীন এবং সেই দপ্তরের স্থাপনা এবং সুবিধা ব্যবহার করে তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারেন না। আরো সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তিনি তার নিজের দেয়া রায় মানেন নাই, টাকার কাছে হেরে গেছেন। তাঁর নিজের ঘোষিত রায়েই অবশ্য বলা আছে যে অবসর গ্রহণের পর বিচারপতি প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ গ্রহণ করতে পারেন না। অথচ তিনিই প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ গ্রহণ করে বসে আছেন! কি চমতকার! জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন ও সেই আমলে জারি করা সামরিক আইন, আদেশ ও বিধানগুলোকে বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সামরিক শাসনের সময়ে সংশোধিত সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তনকে মার্জনা করেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ৯৫ অনুচ্ছেদ, সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন, জাতীয়তা ও নাগরিকত্বের মতো বিষয়গুলোতেও সামরিক শাসনামলে জারি করা সংশোধনীগুলো তিনি মার্জনা করে বৈধতা দিয়েছিলেন। অথচ এখন তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এই হলো প্রথম মামলা, যেখানে আদি সংবিধানের বিধানকে বাদ দিয়ে “মার্শাল ল প্রভিশনস”কে গ্রহণ করা হয়েছে।’ হাস্যকর খায়রুল হক!
বিষয়: বিবিধ
৬০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন