আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন ও মুহাম্মাদ (স.)কে রাসূল হিসেবে সন্তুষ্ট

লিখেছেন লিখেছেন udash kobi ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২৩:৫০ রাত

رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا رَسُولاً এর ফযিলত এবং হাদীসের পর্যালোচনা:

১.

عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا ‏.‏ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ ‏"

বাংলা: সা'দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মুওয়াযযিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলে, "আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু, লা- শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু, ওয়া রাসূলুহু, রাযীতু বিল্লা-হি রব্বান ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলামী দীনান" (আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। তাঁর কোন শারীক নেই। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল। আমি আল্লাহকে রব হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।) তার গুনাহ মাফ করা হবে। (সহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, হা:৩৮৬)

হাদীসটি সহীহ মুসলিম সহ হাদীসের প্রায় সকল গ্রন্থে এসেছে।

২.

عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه ، أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول مَنْ قَالَ رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ‏

বাংলা: আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি বলে, আমি আল্লাহকে রব্ব, ইসলামকে দীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রসূল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। (সহীহ ইবনু হিব্বান:৮৬৩)

হাদীসটি সহীহ ইবনু হিব্বান:৮৬৩, আল মুসতাদরাক:১৯৪৭, আবু দাউদ:১৫২৯, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৯৮৯৩ সহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে এসেছে। সহীহাহ:৩৩৪, হাদীসটি সহীহ

এই হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, যে ব্যক্তি দু'আ স্বরূপ এটা মুখে বলবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। এখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ নেই। বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে, মৌখিক উচ্চারণেই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। অন্য হাদীসে সকাল সন্ধ্যা এবং মুসলিম শব্দ এসেছে। তবে আবু সাঈদ খুদরী (রা.) এর অপর হাদীসে এসেছে-

৩.

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ‏"‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ সাঈদ! যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব (প্রতিপালক) রূপে, ইসলামকে দ্বীনরপে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীরূপে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট, তার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেলো। (সহীহ মুসলিম, নেতৃত্ব অধ্যায়, হা:১৮৮৪)

হাদীসটি সহীহ মুসলিম সহ হাকেমের আল মুসতাদরাক:২৪০৬, নাসাঈ:৩১৩১, বাইহাকীর সুনানুল কুবরা:১৭৯২৮, তাবারানীর মু'জামুল আওসাত:৮৭৩৭ সহ অন্যান্য গ্রন্থে এসেছে। এই হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে- যে ব্যক্তি আল্লাহকেই একমাত্র রব মানবে (তাওহীদের স্বীকৃতি), ইসলামকে দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মানবে এবং মুহাম্মাদ সা.কে নবীরূপে মানবে তথা তার সুন্নাতকে গ্রহণ করবে (রিসালাতের স্বীকৃতি) তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।

কারো শুধু (এই দু'আটি) মৌখিক উচ্চারণই যথেষ্ট নয় জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য। তাওহীদ ও রিসালাতের স্বীকৃতি এবং দ্বীন হিসেবে শুধু ইসলামকেই গ্রহণ করা শর্ত। তবে একজন মুসলমান বেশি বেশি এই দু'আটি পড়বে বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় এবং সালাতের পর। কেননা অন্যান্য বর্ণনায় এর ফযিলত স্বরূপ কিছু হাদীস এসেছে। যেমন-

৪.

عَنْ ثَوْبَانَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ ‏"‏ ‏

সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

"যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলে, 'আল্লাহ তা'আলা আমার রব, ইসলাম আমার দীন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নবী হিসেবে আমি সর্বান্তকরণে পরিতৃপ্ত আছি", তাকে পরিতৃপ্ত করা আল্লাহ্ তা'আলার করণীয় হয়ে যায়। (তিরমিযী:৩৩৮৯) হাদীসটির সনদ দূর্বল (যয়ীফুল জামে':৫৭৩৫) তবে তিরমিযী ও ইবনে হাজার (রহ.) এটাকে হাসান বলেছেন। অপর বর্ণনায় সকাল-সন্ধার কথা বলা হয়েছে।( দ্রষ্টব্য: যয়ীফুত তারগীব:৩৮৪)

৫.

عن المنيذر ، صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم - وكان يكون بإفريقية - قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : " من قال إذا أصبح : رضيت بالله ربا ، وبالإسلام دينا ، وبمحمد نبيا ، فأنا الزعيم لآخذ بيده حتى أدخله الجنة " .

মুনাইযির আল আসলামী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বলতে শুনেছেন: "যে ব্যক্তি ভোরে বলে, 'আল্লাহ তা'আলা আমার রব, ইসলাম আমার দীন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নবী হিসেবে আমি সন্তুষ্ট' আমি তার হাত ধরে নেতৃত্ব দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবো।" (তাবারানীর মু'জামুল কাবীর: ৮৩৮)

এই হাদীসটিকে হাসান বলেছেন আল্লামা হাইসামী, আলবানী (রহ.) বলেছেন, হাসান লিগাইরিহী। (দ্রষ্টব্য: মাযমাউয যাওয়ায়েদ:১৭০০৫, সহীহ আত তারগীব:৬৫৭)

এখানে শুধু সকালের কথা বলা হয়েছে।

৬.

আবু সাল্লাম (রহঃ) সূত্রে, একজন খাদেমে রাসূলের বরাতে বর্ননা করেছেন। যেমনটি আবু দাউদে এসেছে। তবে এখানে তিনবারের কথা এসেছে-

ما مِن عبدٍ مسلمٍ يقولُ حينَ يُصْبِحُ وحينَ يُمْسي ثلاثَ مرَّاتٍ رضيتُ باللهِ ربًّا وبالإسلامِ دينًا وبمحمَّدٍ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم نبيًّا إلَّا كان حقًّا على اللهِ أن يُرضِيَه يومَ القيامةِ

যে মুসলিম বান্দাহ সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তিনবার বলেঃ ‘আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছি’ এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে কিয়ামতে খুশি করবেন। (মুসনাদে আহমাদ:১৮৪৮৮) হাদীসটির সনদ হাসান। যেমনটি বলেছেন হাকেম, আল্লামা হাইসামী, ইবনে হাজার আসকালানী সহ অন্যান্যরা। শুয়াইব আরনাউত্বের মতে, সহীহ লিগাইরিহী (মুসনাদ:২৩১১১)। দ্রষ্টব্য: হাকেমের আল মুসতাদরাক:১৯৪৮, মাযমাউয যাওয়ায়েদ:১৭০০৪

হাদীসটির ভিন্ন ভাষ্য-

ما من عبد أو إنسان أو مسلم يقول حين يمسي وحين يصبح : رضيت بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد نبيا إلا كان حقا على الله أن يرضيه يوم القيامة "

কোনো মুসলিম বা কোনো মানুষ বা কোনো বান্দা সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে ‘‘আল্লাহ আমার প্রভু, ইসলাম আমার দীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার রাসূল হওয়ায় আমি সর্বান্তঃকরণে সন্তুষ্ট আছি ’’ এ কথা বললে, কিয়ামতের দিন তার উপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহর কর্তব্য হয়ে যায়। (তাবারানীর মু'জামুল কাবীর:৯২১, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৯৮৯২, ইবনে মাজাহ:৩৮৭০)

আবু দাউদে এসেছে-

مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا، إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ

(আবু দাউদ:৫০৭২) উপরের সমস্ত বর্ণনাগুণোতে একজন বর্ণনাকারী "সাবিক" এর কারণে আলবানীর মতে হাদীসটি দূর্বল। দ্রষ্টব্য: সিলসিলাতুয যইফাহ: ২০৫০, যয়ীফুল জামে':৫৭৩৪

৭.

عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : مَنْ قَالَ حِينُ يُمْسِي : رَضِيت بِاللهِ رَبًّا , وَبِالإِسْلامِ دِينًا , وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً ، فَقَدْ أَصَابَ حَقِيقَةَ الإِيمَانِ

আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) থেকে মুরসাল বর্ণনা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় বলে- ‘আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছি’ সে ঈমানের হাকীকত অর্জন করেছে। অর্থ্যাৎ প্রকৃত ঈমানের উপর আছে। (মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৯৮৯৪) হাদীসটি মুরসাল তবে সনদ সহীহ।

৮.

عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " بحسب امرئ من الإيمان أن يقول : رضيت بالله ربا ، وبمحمد رسولا ، وبالإسلام دينا "

ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোনো ব্যক্তির ঈমানের জন্য যথেষ্ট হবে এই কথাটি বলা- রদীতু বিল্লাহি রব্বা, অবিমুহাম্মাদিন রাসূলা, অবিল ইসলামি দীনা। (তাবারানীর মু'জামুল আওসাত:৭৪৬৮) হাদীসটিকে দূর্বল বলেছেন আলবানী। দ্রষ্টব্য: যয়ীফুল জামে':২৩২০

তবে ইবনে আব্বাস রা. সূত্রে সহীহ বর্ণনায় এসেছে-

"‏ ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً ‏"

সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পেয়েছে, যে রব হিসেবে আল্লাহকে, দীন হিসেবে ইসলামকে এবং রাসূল হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সন্তুষ্ট চিত্তে স্বীকার করেছে। (সহীহ মুসলিম:৩৪, মুসনাদে বাযযার:১৩১৮) হাদীসটির অপর ভাষ্য-

"‏ ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا ‏"

সেই ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ লাভ করেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলাকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবী হিসেবে খুশী মনে মেনে নিয়েছে। (তিরমিযী:২৬২৩) মুসনাদে আহমাদে এসেছে-

ذاق طعم الإيمان من رضي بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد نبيا رسولا (মুসনাদ:১৭৮১)

উপরোক্ত হাদীসগুলোর পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী এবং রাসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।

আল্লাহক প্রতিপালক হিসেবে মানা হলো একমাত্র তারই গোলামি করা। যেমন কুরআনে এসেছে, (ঈসা আ. সহ নবীরা বলেছেন-)

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ, তিনিই আমার রব ও তোমাদের রব। অতএব তাঁর ইবাদাত করো; এটিই সরল পথ’। (সূরা যুখরুফ, ৪৩:৬৪)

ইসলামকে দ্বীন হিসেবে সন্তুষ্ট হওয়ার মানে হলো জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করা। কেননা দ্বীন হলো একমাত্র ইসলাম। আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট দীন হচ্ছে ইসলাম। (আলে ইমরান:১৯)

মুহাম্মাদ (সা.)কে নবী ও রাসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার মানে হলো, নবীকে সবার উপরে অগ্রাধিকার দেয়া এবং সকল কর্ম সুন্নাহ মোতাবিক করা। আল্লাহ বলেন-

নাবী (স.) মু’মিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা ঘনিষ্টতর (সূরা আহযাব:৬)

হাদীসে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত মু'মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা এবং অন্যান্য লোকেদের চাইতে অধিকতর প্রিয় না হব। (বুখারী:১৫, মুসলিম:৪৪)

পুনশ্চ: হাদীসের বর্ণনাগুলোতে কখনো নবী কখনো রাসূল শব্দে এসেছে। সুতরাং ইচ্ছা করলে দুটো মিলিয়ে পড়া যাবে। সকাল-সন্ধ্যায়, সালাতের পশ্চাতে, যে কোনো সময় তিনবার কিংবা তারচে' অধিকবার পড়তে পারি।

رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا رَسُولاً

আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন

#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম

বিষয়: বিবিধ

২২০৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386876
১১ মার্চ ২০২১ সকাল ০৮:৩০
টাংসু ফকীর লিখেছেন : মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লেখা৤

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File