ভাগ্য বিড়ম্বনা (জীবন থেকে নেয়া)
লিখেছেন লিখেছেন udash kobi ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৫:৩৯ বিকাল
হাতের রেখা কথা বলে (তৃতীয় পর্ব)
হাতের রেখা দেখা অনেকেরই হবি। আমিও ছোটবেলায় মানুষের হাত দেখে মন্তব্য করে মজা পেতাম। হস্তরেখার বই পড়ে কিছু ব্যাপার জানা ছিল; আর ধারণা প্রবল করে কিছু বললেই হল। অনেকেই বিশ্বাস করত। কেউ বা মজা পেত। প্রতিটি মানুষেরই জীবনে কিছু সুখের মূহুর্ত, কিছু দু:খের স্মৃতি আছে। কষ্ট-বিষাদ-দূর্ঘটনা-হাসি-খুশি-প্রেম- ভালবাসা মিলিয়েই জীবন। এই জন্যই আমি যদি কারো হাত দেখে বলি, ছোট্ট বেলায় আপনার একটা বা দুটো ফাঁড়া ছিল; তাহলে সে ছোটবেলার কোনো দূর্ঘটনা বা বিপদের কথা মনে করার চেষ্টা করবে। এভাবে আমার কথার সাথে তারা তাদের জীবনকে মেলাতে চেষ্টা করে।
বিকেলে বন্ধু অভির বাড়িতে গেছি। ও আমার ঘনিষ্ট ও শ্রেষ্ঠ বন্ধু। ওর বাড়িতে ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় কেটেছে।
গিয়ে দেখি নতুন এক মেয়ে আমার বয়সী। জানতে পারলাম অভির মামাত বোন। শায়লা মিথি। অভ্যাস বশত: আর অভির বড় ভাবীর (আমার ভক্ত) তাগিদে মিথির হাত দেখতে লাগলাম। এক পর্যায়ে বললাম:
তোমার হাতে ২টা প্রেম দেখতে পাচ্ছি, দু:খের বিষয় (আমি করুণ মুখে বলতে লাগলাম) তোমার কোনো প্রেম সাকসেস হবে না। এক পর্যায়ে তোমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে।
আমার কথা শুনে ওর মুখে হাসি ফোটে উঠল,ভাবীদের মুখ করুণ হয়ে গেল। আমি তো অবাক, ঘটনা কী?
পরে অভির কাছ থেকে যা শুনলাম, তার সারমর্ম হল- অভির খালাত ভাই রশিদভাই (ভার্সিটির শিক্ষক, নতুন যোগ দিয়েছেন, আগে কয়েকদিন দেখেছি )ও মিথির সাথে প্রেম ছোটবেলা থেকে। পারিবারিকভাবে বিষয়টির সোরাহা হয় নি। তাই গতকাল ওরা পালিয়ে বিয়ে করে অভিদের বাড়ি এসেছে।
আমি অভিকে দুষতে লাগলাম, আগে কেন রশিদ ভাইয়ের বিখ্যাত প্রেমের ঘটনা বলে নি। ওকে ধমকিয়ে বাড়ি চলে আসলাম .... এ ছাড়া আর কী করতে পারতাম?
**********************************************************
বিড়ম্বনা তৃতীয় পর্ব ( মাটির হাড়ি )
োোগ্রামের বাড়ি, বৈশাখ মাস, বুরোধানের মওসুম!
একদিন মাটির হাড়ি পাতিল বিক্রেতা এসে তার জিনিস দেখাতে লাগল। একজন হাড়ি দেখতে চাইলে, সে জানাল তার কাছে মজবুত হাড়ি আছে। হাড়ির মজবুত কতটা, তা দেখাতে সে হাড়ি উপুর করে তার উপর উঠে দাঁড়াল। আমরা ছোটরা খুবই আশ্চর্য হলাম তার কৌশল না জানার কারণে (আসলে উপুর করার কারণে হাড়ির ভিতর পরিপূর্ণ বাতাসে আটকানো, বাতাসের চাপের কারণে তা ভাঙ্গছে না। এ ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা দরকার, কারণ মাটির উপর সুন্দর ভাবে বসাতে হবে যাতে ভিতর থেকে কোনো বাতাস বের হতে না পারে।) সে হাড়ির উপর উঠে কয়েকবার ভর দিল। একজন আবার তার উপর দাঁড়াতে বললে সে আবার দাড়ানো মাত্র তা ভেঙ্গে তার পা ভিতরে আটকে যায়। মাটির পাতিল বিক্রতার মুখ পাংশু হয়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন