কতিপয় স্টুপিড ধার্মিকেরা
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ১৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৮:৩৭ দুপুর
শয়তান কোন মানুষের অভিভাবকত্ব করেনা।
একমাত্র ইসলামই সকল মানুষের অভিভাবকত্ব করে।
সকল মানুষের।
তাই সকল হামলার মতই প্যারিস হামলার নিন্দা জানানোটা কোন মতেই মুসলমানের 'দয়ার প্রকাশ নয়'। দ্বায়িত্ববোধের প্রকাশ।
এইটাই ইসলাম, এইটাই স্বার্বজনীন মানুষের ধর্ম। সব কালের, সব মতের, সব রঙের মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এটা দলাদলি করে মানবতা থেকে ছিটকে পড়া নির্বোধ অমানুষের ধর্ম নয়।
ফিলিস্তিনে হামলা যারা করে তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে গিয়ে শয়তানের জঘন্য অনুসরন করে। প্যারিসে যারা হামলা করে তারা নিরপরাধ মানুষ হত্যার মত শয়তানের জঘন্য অনুসরন করেছে।
ফিলিস্তিন ও প্যারিসে যারা মারা গেছে সবাই নির্দোষ মানুষ।
পক্ষান্তরে হামলাকারীরা মানুষের শত্রু তথা শয়তানের অনুগামী।
নিরপরাধ মানুষের মৃতদেহে তোমার আমার বলে সিল দিওনা। শয়তানের বিভক্তি সৃষ্টির বিধ্বংসী প্রচারনায় সাহায্য করনা।
কিসের হিংসা তোমার?
যখন ইউরোপের সাধারন মানুষগুলো ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে ঘাম ঝরিয়ে নিজের গাটের টাকায় শোক প্রকাশ করে! কখনো সে মিছিল ঘুরে দেখেছ? খুঁজে পেয়েছ সে মানবতাবোধে বিশেষ কোন রঙ-এর উপস্থিতি?
হায়!
অথচ তোমরাই বিশ্বমানব দরদী মুহাম্মাদের সাঃ অনুসরনে এগিয়ে থাকার দাবী কর! রঙহীন নিঃশর্ত মানবতায় উদবুদ্ধ, মুক্তিপাগল সদ্য ইউরোপিয়ান নওমুসলিমেরা তোমাদের অবস্থা দেখে কুরআনের ছত্রে ছত্রে নিরপরাধ মজলুম মানুষের সাথে হিংসা করার বিধান খুঁজে হয়রান হয়!
আশ্চর্য হয়ে তোমাদের অন্তরে লুকিয়ে রাখা হিংসা-গ্রন্থের উৎস খুঁজে ফেরে!
ফিলিস্তিনে নোংরা হামলার বিরোধিতা করায় তাদেরও তো শুনতে হয়েছে- 'ওরা হিংস্র! মুসলিম! তাদের মানবাধিকার দিলে তারা তোমাদের মানবাধিকার অস্বীকার করবে! ওরা মুসলিম ছাড়া অন্য সবার মানবাধিকার হরন করে, তাই তাদের মরাই উচিৎ!'
জানো ঐ মানবাধিকার অস্বীকারকারী তথাকথিত 'মুসলিম' কারা?
জানো ইসলাম বিদ্বেষীরা কাদের দেখিয়ে মানবতাবাদী অমুসলিমদের ভুল বোঝাতে সক্ষম হয়?
জানো কি??
-জানতে চাইলে তোমার নিজেকেই আজ আয়নায় দেখ। মনের আয়নায় দেখে নাও নীরিহ পথচারীদের হতভাগ্য লাশগুলো তোমার হিংসার আগুনে বহুগুণ জ্বলতে বাধ্য হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের প্রতীশোধের নির্বোধ বিবেক তোমাকে আজ 'খোদ ইজরাইল' বানিয়ে ছেড়েছে!
মোঃ আমির এবং ড্যানিয়েল দুইজন নির্জাতনকারীর নাম। শুধু নামের আগে লাগানো 'মোহাম্মাদ' শব্দের জন্য আল্লাহ এতবড় জাহান্নাম ক্ষমা করে এতবড় জান্নাত বানিয়ে রাখেননি।
তোমার অন্ধ বিশ্বাস মনের অজান্তে আল্লাহর ইনসাফের কুফুরী করেছে। সংশোধন করে নাও! বোধের উন্নতি ঘটাও। নয়তো ঐ ইউরোপের হামলা তোমার ইমান পর্যন্ত হামলে খাবে।
আজ কোথায় তোমার বিশ্ব অভিভাবকত্বের হিম্মত? শয়তান তোমাকে উগ্র করেছে কি?
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য ইসরায়েলী শিশুদের তরফ থেকে এই উপহার
শত্রুদের মায়া দেখালে , আপন করে নিতে চাইলে তারা কি আচরণ করে তা গত ৬০-৭০ বছর ধরে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ফিলিস্তিন ।
দুধ কলা দিয়ে শাপ পুষে ছিল ফিলিস্তিনিরা । ইসরায়েলীরা সূচ হয়ে ঢুকে ফাঁড় হয়ে বের হয়েছে ।
ইউরোপিয়ানরা যখন ইহুদীদের তাড়িয়ে দিয়েছিল তখন ফিলিস্তিনিরাই তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল , সেটার কি নিদারুন প্রতি দানই না দিচ্ছে ইসরায়েলীরা !
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই যে অন্যায় - অত্যাচার করা হচ্ছে সেটার মূল হোতা এই ইহুদীরাই । তাদের সাথে মদদ দিচ্ছে নাসারারা যারা পথভ্রষ্ট ।
পবিত্র ক্বুরআনে সূরা বাকারার ৭ থেকে ৯ নং রুকুর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা এই ইহুদীদের নাফরমানি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন । বার বার আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে দয়া ও ক্ষমা করলেও তারা আল্লাহর নাফরমানি করেছে প্রতি নিয়তই। ফলে তারা হয়ে গেছে অভিশপ্ত.
প্রতিদিন শত শত মুসলমানকে পশ্চিমারা মারলেও এসব তথাকথিত মানবতাবাদিদের চৈতন্য আসে না । সেখানে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মাত্র শ দেড়েক লোক মারা গেল এতেই তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে !
যারাই করুক এটা কিন্তু পশ্চিমাদের নিজ হাতে ক্রয় করা পাপের ফসল । পশ্চিমা এসব নিরীহ লোক তাদের নেতাদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে লুট করে আনা তেল - সম্পদের বেনেফিশিয়ারী , সেটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ।
অন্যের মাথা ফাটিয়ে দেবে সেটা ঠিক আছে । আর সে যদি একটা চিমটি কাটে তাতেই সমস্যা হয়ে যায় !!!!!!
৯/১১ থেকে আজ পর্যন্ত যত নিরীহ মুসলমানদের তারা মেরেছে তার জন্য গোটা ইউরোপ আমেরিকার প্রতিটা মানুষও যদি এভাবে মারা যায় তাতে অন্তত আমার কাছে সেটা অন্যায়ের প্রতিশোধ বলেই মনে হবে ।
বাড়াবাড়ি মনে হবে না মোটেও ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন